ads

বৃহস্পতিবার , ৮ মে ২০১৪ | ১লা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

প্রসঙ্গ : সাংবাদিক বনাম ডাক্তার সংঘর্ষ

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
মে ৮, ২০১৪ ৪:৫৪ অপরাহ্ণ

babulশাহ আলম বাবুল : ঢাকা রাজশাহী আবার ঢাকা মেডিক্যালে ইন্টার্নি চিকিৎসকদের আক্রমনের শিকার হয়েছেন সাংবাদিকরা। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের উপর এ ধরণের হামলা সভ্য সমাজে শুধু দুঃখ জনকই নয়, নিন্দা জনকও বটে।  জানা যায় ৬ এপ্রিল সকালে ঢামেক হাসপাতালের নতুন ভবনের লিফটে ওঠাকে কেন্দ্র করে ইন্টার্নি চিকিৎসক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল­াহ হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে কয়েকজন যুবক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনায় হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা বন্ধ রেখেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
এ ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে জরুরি বিভাগে গেলে সংবাদকর্মীদের ওপর চড়াও হন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। তারা সংবাদকর্মীদের ধাওয়া দিয়ে হাসপাতালের গেটের বাইরে বের করে দেন।
এসময় এটিএন নিউজের ক্যামেরা পারসন আতাউর রহমান হিমেলের ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে তা ভেঙে দেন এবং হিমেলকে মারধর করেন।
স¤প্রতি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে সাটানো পোস্টারগুলো বিবেকবান মানুষের মনে নাড়া দিয়েছে। ওই পোস্টারগুলোতে দালালদের সাথে তুলনা করা হয়েছিল সাংবাদিকদের। দেশের বড় বড় শহরগুলোতে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠা ক্লিনিক বা প্রাইভেট হাসপাতালগুলোর দালাল যারা তারা কাদের জন্য কাজ করে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। হাসপাতালের জুরুরী বিভাগ থেকেও রোগীদের  ভাল চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায় ওই চক্র এটি নতুন কোন ঘটনা না হলেও ওই সব দালাল তাড়ানোর কোন ব্যবস্থা ডাক্তার সাহেবরা নেননি। বরং দিন দিন এদের সংখ্যা বেডেই চলেছে।
বার বার এধরনের ঘটনার পুনারাবৃত্তি গোটা চিকিৎসক সমাজের উপর সাধারণ মানুষের বিশ্বাস আর আস্থার ঘাটতি আনবে নিশ্চিত। যদিও হবু ডাক্তার সাহেবেরা তেমনটি ভাবেন না। কারন তাদের ওই ধরনের চিন্তা চেতনা কাজ করলে এমনটি ঘটার কথা না। সাংবাদিকদের মধ্যে অন্যমত বা পথের যে নেই সে কথাও বলছি না। তার পরও  একজন মানুষের জীবন-মরনের প্রশ্ন যেখানে জড়িত সেখানে তাদের আচরণ কি হওয়া উচিত এটা তারাই ভাল বলতে পারবেন। কারন একজন রোগীকে ব্যবস্থাপত্র দিলে বা কোন ইনজেকশন দিলে সাংবাদিক কখনোই বলতে পারে না ওই ইনজেকশনটি কেন দিলেন। প্রশ্ন তখনই আসবে যদি ওই ইনজেকশনে রোগীর মৃত্যূ ঘটে । তাও আবার অভিজ্ঞ কোন ডাক্তারের মতামতের ভিত্তিতে । আদৌ ওই রোগীর জন্য ওই মুহুর্তে ইনজেকশনটির কোন প্রয়োজন ছিল কিনা।
চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় গুলোর প্রধান ফটকে লেখা থাকে শিক্ষার জন্য এসা সেবার জন্য বেরিয়ে যাও। উনারা সেবার পরিবর্তে যখন লাঠি ধরেন তখনই প্রশ্ন উঠে।
স¤প্রতি প্রধান মন্ত্রী ডাক্তারদের উদ্দেশ্যে বললেন রোগীদের পাশে বিশ্বস্থ বন্ধুর মতো দাঁডতে হবে। সেই বিশ্বস্থতার প্রমান দিচ্ছেন ডাক্তার সাহেবেরা এভাবেই। রোগীদের উপর হামলা না করলেও রেহাই পাচ্ছেন না রোগীর লোকজন তার সাথে সাংবাদিকরাও । সব রাগ সাংবাদিকদের উপর কেন ?
দেশে প্রচুর ডাক্তার আছেন যাদের আচরনেরই অনেক রোগী হতাশা মুক্ত হতে পারে। অথচ মহৎ এ পেশার সাথে জড়িত থেকে যারা এভাবে মারমুখি অবস্থান নেন, স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে ঘটনা কি ? ক্যামেরা-কলমের চোখ ফাকি দিয়ে এমন কিছু কি করতে চান যা আপত্তিকর। সাংবাদিকের কলম আর ক্যামেরার বদৌলতেই ডাক্তারদের বড় বড় অর্জনগুলো প্রচার পায়। একজন ডাক্তারের পরিচিতি বেড়ে যায়। সরকারী  চাকুরী করে বিধি নিষেধ না মানা আজকার একটা রোগ হয়ে দাড়িয়েছে। এ রোগটি ডাক্তারদের মধ্যে লক্ষণীয় এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।  সরকারী হাসপাতালের ডাক্তারদের দিনের অনেকটা সময় প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে দেখা যায়। এমন কি বড় শহর থেকে এক-দেড়শ মাইল দুরে গিয়েও ওনার প্রাইভেট প্র্যাকটিস করলেও অস্বস্থি লাগে না । সরকারী দায়িত্ব পালন করার জন্য ওই সব এলাকায় বদলী বা নিয়োগ দিলে সেখানে বেশি দিন থাকতে চান না । হাসপাতালের চেম্বারে রোগীদের চেয়ে ঔষধ কোম্পানীর লোকদের সাথে বেশি সময় ব্যয় করতে দেখা যায়। ডাক্তারদের জন্য স্যাম্পুল দোকানে বিক্রি কিংবা প্রাইভেট ক্লিনিকের রোগীদের সেবন করতে দেখা যায় । সেসব ক্ষেত্রে ডাক্তারদের কোন বক্তব্য শুনা যায় না।
ডাক্তারের অবহেলায় রোগীর মৃত্যূ নতুন কোন ঘটনা নয়। একই দিন রাজধানীর বারডেম হাসপাতালের ডাক্তারের বিরুদ্ধে আবারও অবহেলায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ ওঠেছে। এ নিয়ে রোগীর স্বজনদের সঙ্গে চিকিৎসকদের হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে এধরনের ঘটনায় ক্লিনিকে হামলাও হয়েছে।
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কর্মরত সরকারী ডাক্তার সাহেবেরা বেশি দিন অবস্থান করতে চান না। মফস্বলের হাসপাতালগুলোতে ডাক্তার সংকট এখন নৈমিত্তিক ব্যাপার। মহৎ এ পেশায় জড়িয়ে মারমুখী আচরন সত্যিই দুঃখজনক। এছাড়া মানবিক কারণে ডাক্তার সাহেবদের কর্মবিরতি কিম্বা ধর্মঘট কতটা যুক্তিযুক্ত তা ভেবে দেখা দরকার।
এদেশের মানুষের গায়ের ঘামে অর্জিত অর্থের বিপুল অংশ চিকিৎসাখাতে ব্যয় হয় সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে। এক্ষেত্রে সরকারেরও আন্তরিকতার অভাব নেই। এহেন অবস্থায় পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কারো সংগে সংঘর্ষে জড়ানো কারোরই কাম্য নয়।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!