নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরায় জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে আদালতে একটি মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় ২৫ বিঘার একটি চিংড়ি ঘের জোর পূর্বক দখল করে নিয়েছে সন্ত্রাসীরা। দখলের পর তারা ওই ঘেরের প্রায় ৪ লাখ টাকার মাছ লুট করে নিয়েছে। গতকাল সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন জেলার আশাশুনি উপজেলার কমলাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজ সরদারের ছেলে ঘের মালিক গোলাম মোস্তফা সরদার।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে গোলাম মোস্তফা বলেন, তিনি এবং জনৈক ডেভিট আশাশুনি উপজেলার দাশেরআটি-কমলাপুর এলাকায় ২৫ বিঘা জমিতে দীর্ঘদিন ধরে চিংড়ি চাষ করে আসছেন। এই ২৫ বিঘা জমির মধ্যে ৩ একর জমি রেকর্ডীয় মালিকের কাছ থেকে হারির বিনিময় ইজারা নেয়া এবং বাকী ৪ একর সরকারি খাস জমি ২০০১ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ভূমি অফিস হতে (ডিসিআর) ইজারা নেয়া। উক্ত ৩ একর জমির সাবেক রেকর্ডের মালিক সাতকুড়িধর বর্তমানে স্থায়ী ভাবে ভারতে বসবাস করলেও আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা গ্রামের কুদ্দুস সরদারের ছেলে আক্তারুজ্জামান রিটু তার মাতা আনোয়ারা খাতুনের নামে একটি জাল বয়নামা তৈরী করে ওই জমি দখলের পায়তারা শুরু করে। এক পর্যায় ওই জমি দাবি করে আক্তারুজ্জামান রিটু আশাশুনি সহকারি জজ আদালতে দেওয়ানী ৪৩/২০০০ নং একটি মামলা রুজু করেন। দীর্ঘ শুনানী শেষে আদালত তার ওই মামলা খারিজ করে দিলে তিনি সাতক্ষীরা সাব জজ-১ আদালতে দেওয়ানী ১৫৫/২০০২ নং আপিল করেন। বিচার শেষে সাব জজ–১ আদালতের বিচারক ইজারা দেয়া সরকারি খাস ৪ একর জমি বাদে বাকী জমি রিটুর পক্ষে মালিকানা দেখিয়ে রায় দেন। আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে গোলাম মোস্তফার পক্ষে সরকার ভূমি আপিল বোর্ডে পুনরায় আপিল করেন। যা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আদালতে মামলা বিাচরধীন থাকাবস্থায় গত ২৩ মার্চ আক্তারুজ্জামান রিটু তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে দাশেরআটি-কমলাপুর মৌজার ডিসি আর ভুক্ত ১২ বিঘা জমিসহ ওই ২৫ বিঘার চিংড়ি ঘেরটি সম্পূর্ন জোরপূর্বক দখল করে নেয়। এসময় তারা ঘেরে থাকা প্রায় ৪ লাখ টাকার মাছ লুটপাট করে নেয় তারা। এঘটনায় থানা ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিলেও সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। পরে তিনি নিজে বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তিনি তার চিংড়ি ঘেরটি ফেরত পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও জেলা আ’লীগের নেতাদের জরুরী হস্তক্ষেপ দাবি করেন।
