ads

মঙ্গলবার , ৬ মে ২০১৪ | ৩রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

জীবন সায়াহ্নে বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম

রফিকুল ইসলাম আধার , সম্পাদক
মে ৬, ২০১৪ ৪:১৪ অপরাহ্ণ

abdul karimকুষ্টিয়া প্রতিনিধি : একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম বিনা চিকিৎসায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২ নং ওয়ার্ডে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। গত ২৪ এপ্রিল অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার চিকিৎসার ব্যয় ভার বহনে নিজের সব সম্বল শেষ করে টাকার জন্য মানুষের কাছে হাত পাততে হচ্ছে স্ত্রী রিজিয়া খাতুনকে।

Shamol Bangla Ads

তিনি জানান, সাহায্যের আবেদন নিয়ে লালন একাডেমিসহ সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত ধরনা দিয়েও কোনো কাজ হয়নি। কেউ বলেছে, দেখবো পরে আসেন আবার কেউ বলেছেন আবেদন রেখে যান, পাশ হলে ডাকবো। তাই সবধরনের সাহায্য সহযোগিতার আশা ছেড়ে অসুস্থ স্বামীকে বাঁচাতে পথে নেমেছে বৃদ্ধা রিজিয়া খাতুন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তার উন্নত চিকিৎসা চলছে।
বাউল আব্দুল করিম শাহর ধ্যান-জ্ঞান সবই লালনকে নিয়ে। বললেন, জীবনের সবটুকু ব্যয় করেছি লালন ও তার গানকে নিয়ে, বিনিময়ে পেয়েছি অনেক কিছু। তবে হিসেবের খাতা খুললে লাভের চেয়ে ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি। পিতার রেখে যাওয়া শেষ সম্বল ৫৫ বিঘা সম্পত্তিও বিক্রি করেছি। ঠাঁই হয়েছে সরকারি জায়গার একটি কুঁড়ে ঘরের মধ্যে। এক বেলা খেলে আরেক বেলা থাকতে হচ্ছে না খেয়ে। আর এখন সরকারি হাসপাতালেও টাকার অভাবে চিকিৎসা পাচ্ছি না।
একুশে পদক পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে এক লাখ টাকা দিয়েছিলেন। সেই টাকা দিয়ে জিকে খালের সরকারি জায়গায় একটি টিনের ঘর তুলেছেন এবং দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন।
ক্ষোভ প্রকাশ করে একুশে পদক প্রাপ্ত এই প্রবীণ বাউল বলেন, কোনো পদক চাইনা, দুবেলা খেয়ে সঠিক চিকিৎসা পেয়ে বেঁচে থাকতে চাই।
অশ্রু ভেজা কন্ঠে করিম শাহ্ জানালেন, জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল করেছি এই পথে এসে। আমার মতো কষ্ট যেন আর কোনো বাউলকে করতে না হয়। তাহলে তরুণরা এই দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। করিম শাহ্ লালন একাডেমির উন্নয়নে সারাজীবন কাজ করেছে, অথচ আজ সেই একাডেমির কেউও তার পাশে দাঁড়ায়নি।
লালন একাডেমির সাধারণ সম্পাদক রেজানুর রহমান খান চৌধুরী মুকুল বলেন, ইচ্ছা থাকলেও একাডেমির ফান্ডে কোনো টাকা না থাকায় আব্দুল করিম শাহকে আমরা কোনো সাহায্য করতে পারছি না।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!