তাপস চন্দ্র সরকার, কুমিল্লা : কুমিল্লার বুড়িচংয়ে আসমা আক্তার (২৫) নামে এক প্রবাসী স্ত্রী রহস্য জনক ভাবে ঘরের মেঝেতে কৃত্রিম রক্ত মেখে এবং বিছানার কাপড় চোপড় আগুনে পুড়িয়ে হত্যাকান্ডের মত একটি ঘটনা সাজিয়ে উধাও। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলা বাকশীমূল ইউনিয়নের জঙ্গলবাড়ি এলাকা এই ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ আসমা আক্তার মৃত আয়েত আলীর ছেলে প্রবাসী খোরশেদ আলম এর স্ত্রী। এ ঘটনায় আসমার চাচা বাদি হয়ে গত বুধবার রাতে বুড়িচং থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে। এ ঘটনায় এলাকায় চলছে তুলকালাম।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার আমরাতলী ইউনিয়নের রতœাবর্তী গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের মেয়ে আসমা আক্তার (২৫) এর সাথে ৫ বছর পূর্বে বুড়িচং উপজেলার বাকশীমুল ইউনিয়নের জঙ্গলবাড়ি গ্রামের মৃত আয়েত আলীর ছেলে কুয়েত প্রবাসী মোঃ খোরশেদ আলমের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর খোরশেদ আলম চাকুরী নিয়ে আবার কুয়েত প্রবাসে চলে যায়। এর মধ্যে আসমার গর্ভে একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করে।
এদিকে খোরশেদের আত্মীয়-স্বজনরা জানায় খোরশেদ বিদেশ যাওয়ার পর স্ত্রী আসমা আক্তার পরকীয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে পড়ে। গত ৫/৬ মাস পূর্বে প্রবাসীর স্ত্রী আসমা আক্তার এলাকার এক যুবকের হাত ধরে পালিয়ে যায় চার বছরের শিশু সন্তানকে ফেলে। পরে সামাজিক দেন-দরবারের মাধ্যমে আসমা আবার স্বামীরে ঘরে ফিরত আসে। ইতিমদ্যে খোরশেদ আলম কুয়েত থেকে স্ত্রীর নামে ৩ লক্ষাধিক টাকা আসমার একাউন্টে পাঠায় এবং ২৫ এপ্রিল খোরশেদ ছুটি নিয়ে দেশে আসবে বলে জানায়। এ আসার খবর পেয়ে আসমা আক্তার নিখোঁজ আসমা আক্তার এক সন্তানের জননী। আরফান নামে (৪) ছেলে আছে। খোরশেদ আলমের ছোট ভাই মোর্শেদ আলম জানায়, ২৫ এপ্রিল তার বড় ভাই ছুটিতে বাড়িতে আসবে।
এ দিকে গত ২৩ এপ্রিল বুধবার সকালে প্রবাসী খোরশেদ আলমের আত্মীয়-স্বজনরা ভোরে ঘুম থেকে উঠে দেখে তার চার বছরের শিশু পুত্র আরফান উঠানে কান্না কাটি করছে। তখন বাড়ির লোকজন তার ঘরে গিয়ে দেখে মেঝেতে রক্তের চুপ চুপ দাগ, ঘরের ওয়ালে ও দরজায় রক্তমাখা আঙ্গুলের দাগ এবং মেঝেতে আগুনে পুড়ানো কাপড় চোপড়। এ বিবর্ষ চিত্র দেখে বাড়ীর লোকজন অবাক হয়ে প্রথমে মনে করেন গৃহবধু আসমা আক্তারকে হত্যা করে লাশ গুম করা হয়েছে। পরবর্তীতে বুড়িচং থানা পুলিশকে খবর দিলে বুড়িচং থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জহিরুল ইসলাম ও ওসি তদন্ত কামরুজ্জামান সিকদার পি.পি এম সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে এসে দা, ছোরা, ঘরের মেঝেতে পুড়ে যাওয়া কাপড় চোপড় উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে বুড়িচং থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জহিরুল ইসলাম বলেন- ঘরের মেঝেতে ছিটানো রক্ত গুলো কৃত্রিম বলে মনে হয়েছে। পুরো ঘটনাটি পরকীয়া প্রেমকে আড়াল করার জন্য একটি হত্যাকান্ড সাজানোর অপচেষ্টা করেছে। তিনি আসমার প্রবাসী স্বামী ২৫ এপ্রিল দেশে ফেরার কথা রয়েছে এ খবর পেয়ে প্রবাসী খোরশেদের পাঠানো ৩ লক্ষ টাকার স্বর্ণ অলংকার পরকীয়া প্রেমিকের সাথে পালিয়ে গেছে। আমরা অল্প সময়ের মধ্যে তাদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো।
এদিকে, আসমা আক্তার এর চাচা মনির হোসেন প্রকৃত ঘটনাটি আড়াল করতে গত ২৩ এপ্রিল অজ্ঞাতনামা আসামী করে বুড়িচং থানায় একটি অপহরণ
