ads

বৃহস্পতিবার , ২৪ এপ্রিল ২০১৪ | ২রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

কুষ্টিয়ায় ২৩ বছরে জাসদের ৭০ নেতা-কর্মী খুন

রফিকুল ইসলাম আধার , সম্পাদক
এপ্রিল ২৪, ২০১৪ ১২:৫৬ অপরাহ্ণ

khun.jpg_10133.khunকুষ্টিয়া প্রতিনিধি : রক্তাক্ত জনপদ কুষ্টিয়ায় আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটেছে। সাম্প্রতিক সময়ে হত্যা, খুন, অপহরণ এবং অজ্ঞাত লাশ উদ্ধারের ঘটনাগুলো রীতিমত আতঙ্কিত করে তুলেছে সর্বস্তরের মানুষকে। আবারও অশান্ত হয়ে পড়েছে কুষ্টিয়া।

Shamol Bangla Ads

গত ১৪ এপ্রিল সকাল ৬টায় মিরপুর উপজেলার আহম্মদপুর গ্রামের একটি চায়ের দোকানে চা পান করার সময় উপজেলা জাসদের সাবেক সহ-সভাপতি ইসমাইল হোসেন পাঞ্জেরকে (৫৬) গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। নিহত পাঞ্জের হত্যা, অস্ত্রসহ একাধিক মামলার আসামি ছিলেন বলে জানা গেছে। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন সবুজসহ ১০ জনের নাম উলে­খ করে মামলা করা হয়। এ নিয়ে কুষ্টিয়ায় গত ২৩ বছরে জাসদের ৭০ জন নেতাকর্মী খুনের শিকার হয়েছেন। এসব আলোচিত হত্যাকান্ডের মধ্যে ১৯৯৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের আড়িয়া ইউনিয়নের কালিদাসপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সন্ত্রাসবিরোধী এক জনসভায় কাজী আরেফ আহমেদ, জেলা জাসদের সভাপতি লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী, স্থানীয় জাসদ নেতা ইসরাইল হোসেন ও শমসের মন্ডলকে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করে একদল সন্ত্রাসী। ১৯৯১ সালে ১৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলাকালে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করে মিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মারফত আলীকে। ১৯৯৮ সালে ২০ অক্টোবর ভোরে ঘুমন্ত অবস্থায় একদল দুর্বৃত্ত গুলি করে হত্যা করে ভেড়ামারা জাসদ নেতা রণজিৎ সিংহ রায়কে। একই বছরের ২১ নভেম্বর কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কমলাপুর বাজারে গুলি করে হত্যা করে তরুণ জাসদ নেতা নূর মুহাম্মদ বাবুকে। ২৮ সেপ্টেম্বর কুমারখালীতে নিহত হন ৪ জাসদ নেতা। এরা হলেন বেজন, আজিবর, নজরুল ও হিরণ। একই সালের ২২ সেপ্টেম্বর নিহত হন আল্লেক আলী। ৭ সেপ্টেম্বর নিহত হন শরিফুল ও মান্নান, ১২ জুন নিহত হন স্কুল শিক্ষক ও জাসদ নেতা আবদুল খালেক, ১৯ জুন চরমপন্থীরা গুলি করে হত্যা করে হরিনারায়নপুর স্কুলের শিক্ষক জাসদ নেতা আবদুর রশিদকে। একই বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি প্রতিপক্ষরা হত্যা করে জাসদ নেতা জামায়াত আলীকে। ৩১ জানুয়ারি নিহত হন জাসদ নেতা জহুরুল ও গোলাপ আলী। ১৯৯৬ সালের ১৩ জানুয়ারি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ভবানীপুরে নিহত হন তিন জাসদ নেতা। ৩১ জানুয়ারী নিহত হন জাসদ নেতা আবু বকর মাস্টার, ১ আগস্ট গুলি করে হত্যা করা হয় আকবর আলী, বক্কর, গোলাম, মুকুল ও সরোয়ার নামের পাঁচ জাসদ নেতাকে। ২০০০ সালের ১৩ জুলাই কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নচেয়ারম্যান জাসদ নেতা মাহমুদ হোসেন সাচ্চুকে জিকে ঘাটের বাসায় ঢুকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এছাড়া সন্ত্রাসীদের হাতে খুনের শিকার হন জাসদ নেতা ডা. আলা উদ্দিন ওরফে আলা ডাক্তার, দেবেন, রফিকুল , জমিদার লাল, খোকন, খাইরুল, শফি, বাবু, বিপুল, কাদের ওহাব, শহিদ, জয়নাল, কলম, কামাল, রফিক, নজরুল, মনোয়ার, ভিসি মহি উদ্দিন, মানোয়ার,আজিবর মেম্বার। ১৯৮০ সালের সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার আব্দালপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও জাসদ নেতা মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী। ১৯৭৫ সালের ১১ দৌলতপুর উপজেলার ছাতার পাড়ায় জাতীয় রক্ষীবাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে নিহত হন জাসদের ৮ জন নেতাকর্মী। নিহতরা হলেন, মুক্তিযোদ্ধা হাদি, মুসা, উম্মাদ, খলিল, নাজু, সমর, কালু ও মোমেন। সূত্র মতে, জাসদের অধিকাংশ নেতাকর্মী খুন হয়েছেন প্রতিপক্ষ গ্রুপের বিপ্লবী কমিউনস্ট পার্টি ও গণমুক্তি ফৌজের কর্মীদের হাতে।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, প্রতিটি হত্যাকান্ডকেই পুলিশ সমান গুরুত্ব দিয়ে থাকে। হত্যার পিছনে যে বা যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদেরকে খুঁজে বের করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!