এস এম জামাল, কুষ্টিয়া : সাভার রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির এক বছরেও কুষ্টিয়ার নিহত দশ শ্রমিকের পরিবারে কান্না থামেনি। গত বছরের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধ্বসে নিহত হয় কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার গোপ গ্রামের সেকেন আলীর মেয়ে নাজমা খাতুন, একই উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের ফরিদ আলীর মেয়ে জোসনা খাতুন, কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের আলমের মেয়ে শহিদা বেগম, কুমারখালী উপজেলার জগ্ননাথপুর ইউনিয়নের হোগলা গ্রামের শ্যামল চন্দ্র ঘোষের মেয়ে দীপঙ্কর ঘোষ, দৌলতপুর উপজেলার মহিষকুন্ডি ইউনিয়নের তরিঘোলা বিশ্ববাট গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে আমিরুল ইসলাম, দৌলতপুর উপজেলার হরিণগাছি গ্রামের নওয়াব আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম, খোকসা উপজেলার আমবাড়িয়া ইউনিয়নের তাহেরপুর গ্রামের আনসার আলীর ছেলে মাসুদ রানা, মাসুদ রানা, সদর উপজেলার হরিপুরের একটি মেয়ে ও কুমারখালীর দূর্গাপুর এলাকার এক যুবক আজ্ঞাত পরিচয় নিহত হয়। ঢাকার সাভার রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির এক বছর অতিবাহিত হলেও কুষ্টিয়ার নিহত দশ শ্রমিকের পরিবারে আহাজারি এখনো থামেনি। রানা প্লাজায় নিহত কয়েক জনের পরিবার জানান, একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে তারা আজ দিশে হারা। গত এক বছরে সরকারী-বেসরকারী কোন প্রতিষ্ঠান থেকে তেমন কোন সহায়তা পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করেন এসব পরিবারের সদস্যরা। রানা প্লাজা ধ্বসে নিহত দিপঙ্করের মা গীতা রাণী ঘোষ বলেন, দুই সন্তানের মধ্যে দিপঙ্করই ছিলো একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। দিপঙ্করের মৃত্যুর পর দিশেহীন হয়ে পড়েছে পুরো পরিবার।
