ads

বৃহস্পতিবার , ২৪ এপ্রিল ২০১৪ | ৫ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

আগৈলঝাড়ায় স্বেচ্ছাশ্রমে বেরীবাঁধ নির্মাণ : ৪শ’ একর জমিতে ধান-মাছ চাষ করে ভাগ্য বদলানোর স্বপ্ন দেখছেন ১ হাজার কৃষক

রফিকুল ইসলাম আধার , সম্পাদক
এপ্রিল ২৪, ২০১৪ ৮:৩০ অপরাহ্ণ

Photo- Agailjharaঅপূর্ব লাল সরকার, আগৈলঝাড়া (বরিশাল) : জনসাধারণের সম্মিলিত স্বেচ্ছাশ্রম এবং কৃষি বিভাগের পরামর্শে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার পার্শ্ববর্তী জল্লা ইউনিয়নের কুড়ুলিয়া গ্রামের ১ হাজার কৃষক পরিবারের ৪শ’ একর জমিতে বেরীবাঁধ নির্মাণ করে উফশী বোরো ধান চাষ করে প্রায় ১ হাজার মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের স্বপ্ন দেখছেন। যেখানে গত ৫০ বছরে কৃষকরা ৫০ মন ধানও পায়নি সেই জমিতে একসাথে বছরে প্রায় কোটি টাকার মাছ চাষ করে নিজেদের ভাগ্য বদলানোর স্বপ্ন দেখছেন জমির মালিক ও কৃষকরা। হারতা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী পরিত্যক্ত সেনের খালের মুখ (মাহমুদ ভেরী) থেকে কুড়ুলিয়া গ্রামের অনন্ত রায়ের বাড়ির পিছন থেকে পশ্চিম দিক হয়ে প্রায় ২ কি.মি লম্বা, ৭ ফুট উঁচু ও ৬ ফুট চওড়া ১টি বেরীবাঁধ সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে নির্মাণ করেছে স্থানীয় জমির মালিক ও কৃষকরা। স্থানীয়দের মতে, এই বেরীবাঁধটি অনেক আগেই সরকারী উদ্যোগে নির্মাণ হওয়া উচিত ছিল। বিস্তীর্ণ ওই বিলাঞ্চলে সরকারীভাবে বেরীবাঁধটি নির্মিত হওয়ায় একসাথে হাজার হাজার মন ধান উৎপাদন এবং মাছ চাষ করে কৃষকরা উপকৃত হবে। তারা খাদ্য ও অর্থে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ফিরে পাবে। ধান ও মাছ চাষীদের মধ্যে ছত্তার রাঢ়ী, আকবর রশিদ, অনন্ত রায়, সুনীল ঢালী, বিমল বিশ্বাস, রামজয় বাড়ৈ, অজিৎ বাড়ৈ, জামাল মল্লিকসহ শতাধিক কৃষক ও জমির মালিক জানান, সেনের খালের মুখে সরকারী উদ্যোগে ১টি ব্রিজ নির্মিত হলে বর্ষা মৌসুমে পানি যথাযথ নিস্কাষিত হত। এই বেরীবাঁধ নির্মাণে সরকারী সহযোগিতা পেলে কুড়ুলিয়া গ্রামের আরও ৪শ’ একর এক ফসলী জমিতে প্রতিবছর ১ থেকে দেড় হাজার মে.টন বোরো ধান উৎপাদন করা সম্ভব হত। সেই সাথে একই জমিতে ধানের সাথে মাছ চাষ করে এলাকায় মাছের চাহিদা পূরণ করে অন্যত্র মাছ রফতানী করা সম্ভব যেত। যেখানে গত ৫০ বছরে চাষীরা কোন ধান উৎপাদন করতে পারেনি। সেখানে স্বেচ্ছাশ্রমে বেরীবাঁধ নির্মাণের ফলে এবছর ওই অঞ্চলের সাধারণ মানুষ ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা প্রকাশ করছে। এ বেরীবাঁধ নির্মাণের ফলে সেনের খালের মুখ থেকে আগৈলঝাড়া পর্যন্ত খালটিতে জনগণের যোগাযোগের ক্ষেত্রেও নতুন ধারার সৃষ্টি হবে। এব্যাপারে নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ইকবাল ও জল্লা ইউপি চেয়ারম্যান উর্মিলা বাড়ৈ বলেন, চাষিদের ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগের সাথে সরকারী সহযোগিতার হাত প্রসারিত করা হলে কৃষিতে বিপ্লব ঘটাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে আরও একটি মাইল ফলক উন্মোচিত হবে।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!