জিয়াউর রহমান জিয়া,রাজিবপুর (কুড়িগ্রাম) : বৈশাখী মেলার নামে জুয়ার আসর বন্ধ করতে গিয়ে জুয়াড়ি ও মেলা আয়োজনকারীদের হামলার শিকার হয়েছেন রৌমারীর ইউএনও ও ওসি। পুলিশের ফাঁকা গুলিও দমাতে পারেনি বিক্ষুব্ধদের।

ওসি ও ইউএনওর বহনকারী মোটরসাইকেলও ভাঙচুর চালায় জুয়াড়িরা। আত্মরক্ষার্থে তাঁরা বাজারের একটি ঘরে আশ্রয় নেন। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে রৌমারী উপজেলার পাখিউড়া শেখের হাট নামক স্থানে ওই ঘটনাটি ঘটে।
পরে সাড়ে তিন ঘণ্টা অরুদ্ধ থাকার পর রাত সাড়ে ৯টার দিকে রৌমারী, রাজীবপুর, ঢুষমারী থানা পুলিশ এবং তিন পাল্টুন বিজিবি জওয়ান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অবরুদ্ধ ইউএনও, পুলিশকে উদ্ধার করেন।

যাঁরা জুয়াড়িদের হামলার শিকার ও অবরুদ্ধ ছিলেন তাঁরা হলেন রৌমারীর ইউএনও আব্দুল হান্নান, রৌমারী থানার ওসি শামীম সর্দার, এএসআই আলাউদ্দিনসহ তিন কনস্টেবল। তাঁদের মধ্যে এএসআই আলা উদ্দিন ও কনস্টেবল আব্দুল কাদের আহত হয়েছেন।
রৌমারী থানার ওসি শামীম সর্দার বলেন, ‘থানা থেকে ঘটনাস্থল শেখের হাটের দূরত্ব প্রায় ১৪ কিলোমিটার। যোগাযোগব্যবস্থা ভালো না থাকার কারণে চারটি মোটরসাইকেলে ইউএনও, আমি, একজন এএসআই, তিনজন কনস্টেবলসহ ঘটনাস্থল শেখের হাটে উপস্থিত হই।
এ সময় আমরা জুয়াড়িদের হাতেনাতে আটকও করি। কিন্তু হঠাৎ করে জুয়াড়িরা ও মেলার আয়োজনকারী বিক্ষুব্ধ হয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ইউএনও আব্দুল হান্নান ও পুলিশ জুয়ার আসর ছাড়াও মেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য তৈরি করা মঞ্চ ভাঙচুর করলে মেলার আয়োজনকারীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।
এ সময় জুয়াড়িরাও যোগ দেয় তাদের সঙ্গে। সব মিলে এলাকাবাসীও বিক্ষুব্ধ হয়ে ইউএনও পুলিশের ওপর হামলা করে। এ সময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে বলে জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে রৌমারীর ইউএনও (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) আব্দুল হান্নান সাংবাদিকদের জানান, অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবি জওয়ানরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে বিক্ষুব্ধরা সরে যায়।
এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে রৌমারী থানার ওসি শামীম সর্দার জানান, ওই ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি থানায়।
