ads

শুক্রবার , ১৮ এপ্রিল ২০১৪ | ২রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

চিতলমারীতে চরম আতংক নিয়ে শিক্ষা গ্রহণ করছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা

রফিকুল ইসলাম আধার , সম্পাদক
এপ্রিল ১৮, ২০১৪ ৩:৩৮ অপরাহ্ণ
চিতলমারীতে চরম আতংক নিয়ে শিক্ষা গ্রহণ করছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা

চিতলমারী (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় ১০৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক পর্যায়ে ৩১টি, নিম্ম মাধ্যমিক ২টি ও ৭টি মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে ২৮৪৩৭জন আর শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছে ৮৩৮জন। এ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রয়েছে পাঁকা স্থাপনা। স্থাপনা গুলোর অধিকাংশের বেহাল দশা। ভবনের ছাদ, পিলার ও দেয়াল থেকে প্লাষ্টার খসে পড়ছে। ছাদ ও পিলারের রড বেরিয়ে পড়েছে। বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা আর পাঠদান করছেন শিক্ষকরা। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। ইতোপূর্বে গত জুলাই মাসে আমবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদের ভীম ধ্বসে পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। গত ৮ই এপ্রিল ছাঁদের প্লাষ্টার ধ্বসে ৮০নং পঞ্চপল­ী সরকারী প্রাধমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেনীর রাজা শেখ(১০) সজল বিশ্বাস (১১) সবুজ ডাকুয়া (১০) অসিত বিশ্বাস(১০) আহত হয়েছে।

Shamol Bangla Ads

এ ব্যাপারে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক অরুন কুমার জানান, বিদ্যালয়ের ভবনের পিলার ফাটল, ছাদের প্লাষ্টার সব রুম থেকে ধ্বসে পড়ছে। বিকল্প কোন ভবন না থাকায় চরম আতংক নিয়ে শিক্ষার্থীদের এই ঝুঁকিপূর্ন ভবনে পাঠদান করাতে বাধ্য হচ্ছি।
ঝুকিপূর্ন তালিকায় থাকা একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকরা বলেন এমন করুণ দশার কারণে আমরা চরম আতংকের মধ্যে রয়েছি। উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর বিদ্যালয়টিতে ক্লাস করতে নিষেধ করেছে। তারপরও বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান করাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। শ্রেণীকক্ষের এমন দুর্দশার কারণে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা সব সময় চরম আতংকে রয়েছে। পড়ালেখায় মনোযোগী হতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। আর সন্তানকে স্কুলে পাঠিয়ে দুঃচিন্তার শেষ নেই অভিভাবকদের।
বিভিন্ন এলাকার অভিভাবকরা জানান, স্কুলের ভবনগুলো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় আমরা আমাদের বাচ্চাদেরকে এখানে পাঠিয়ে সব সময় একটা আতঙ্কের মধ্যে থাকি, না জানি কখন কি হয়। কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, প্রায় ছাদ থেকে প্লাষ্টার খোসে আমাদের গায়ে পড়ে। বিল্ডিয়ের মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করতে হয়। এদিকে বর্ষা মৌসুমে ছাদ চুঁইয়ে বৃষ্টির পানি ক্লাশরুম পড়ায় ঠিকমতো ক্লাস করতে পারে না শিক্ষার্থীরা। অফিসের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে যায়।
মাধ্যমিক পর্যায়ের কিছুদিন পূর্বে কচুড়িয়া দাখিল মাদ্রাসা ছাদের প্লাষ্টার খোসে পড়ে কয়েক ছাত্র-ছাত্রী আহত হয়েছে। এ ব্যপারে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুপার শেখ মোঃ বাকী বিল­াহ জানান, ভবনের অবস্থা খুবই জরাজীর্ণ। যে কোন সময় যে কোন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকলেও বিকল্প কোন ব্যবস্থা না করতে পারায় বাধ্য হয়ে এ ভবনে ক্লাশ নিতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে তিনি লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও জেলা প্রশাসক মহোদয়কে লিখিতভাবে অবহিত করেছেন। এ উপজেলা কালশিরা রাজেন্দ্র স্মৃতি, জিবিডি, বোয়ালিয়া শান্তিপুর বালিকা, চরবানিয়ারী ইউনিয়ন বালিকা, শান্তিখালী সবুজ সংঘ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হিজলা আলিম মাদ্রসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাঁদের রড, কলামের রড বেরিয়ে এসেছে, ছাদঁ ও দেওয়ালের প্লাষ্টার খোসে খোসে পড়ছে। ভবনের মেঝ বসে গেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোজাফফর উদ্দিন জানান, উপজেলার মধ্যে যে সমস্ত ঝুঁকিপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা উপজেলা প্রকৌশলী পাঠিয়েছেন সেই তালিকা শ্রেণীকক্ষ নির্মাণের জন্য শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রধান প্রকৌশলী এল,জি,ই,ডির কাছে পাঠানো হয়েছে। আশা করি অতি দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষা প্রকৌশল বা ফ্যাসিলিটিস ডির্পাটমেন্ট থেকে তিনি ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়ের কোন তালিকা পাননি। তবে এ উপজেলার কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন গুলো দ্রুত সংস্কার করা একান্ত প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী অমিতাভ সানা জানান, চিতলমারী উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে হতে ২৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ঝুঁকিপূর্ন উলে­খ করে ইতোপূর্বে উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে চিঠি দিয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে শিবপুর ইউনাইটেড, আড়–য়াবর্নি সরকারী (সাবেক মডেল), চরকচুরিয়া, রুইয়ারকুল, আমবাড়ী, গঙ্গাচন্না, কুনিয়া, ল²ীপুর, গরীবপুর মডেল, লড়ালকুল, কুনিয়া, ভেন্নাবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় অবস্থা খুবই আশংকাজনক।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!