ভোলা প্রতিনিধি : ভোলায় দিনব্যাপী মেয়র বৈশাখী উৎসব জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে সোমবার গভীর রাতে দেশ বরেণ্য শিল্পীদের এক ঝাঁক গানের মধ্যদিয়ে সমাপ্তি হয়েছে। শহরের বাংলা স্কুল মাঠে সকালে পান্তা ইলিশ, মঙ্গল শোভাযাত্রা । বিকালে বৈশাখী উৎসব মঞ্চে শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন। সংগীত অনুষ্ঠান চলে গভীর রাত পর্যন্ত দেশের অন্যতম সংগীত শিল্পী ন্যান্সী, পলাশ, ইমরান, প্রিতম, পূজা ও গৌতমসহ বিভিন্ন শিল্পীর দর্শক শ্রোতা মাতানো গানের মধ্য দিয়ে উৎসবের সমাপ্তি ঘটে। ভোলার ইতিহাসে এমন উৎসবের আয়োজন ছিল তৃতীয় বারের মতোন। পহেলা বৈশাখ সকাল থেকে শুরু করে এ উৎসবে জেলার হাজার হাজার মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে অংশ গ্রহণ করেন। এর আগে পহেলা বৈশাখের প্রথম সকালে পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন- জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল মমিন টুলু, জেলা প্রশাসক মোঃ সেলিম রেজা, ভোলা পৌরসভার মেয়র মোঃ মনিরুজ্জামান মনির ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ও পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন ভোলা প্রেস ক্লাবের সম্পাদক সামস্ উল আলম মিঠু ।
ভোলার লালমোহনের ৫১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রায় ৪ লাক্ষ মানুষ

ভোলার লালমোহনে ৫১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি নানা সমস্যার বেড়াজালে চিকিৎসা সেবা একেই বারে ভেঙ্গে পরেছে। প্রতিনিয়ত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলার প্রায় ৪ লাক্ষ মানুষ। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ২২ জন ডাক্তার কোঠা থাকলেও ডাক্তার কর্মরত রয়েছে মাত্র ৭ জন। প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত বিনামূল্যে রোগীদেখার নিময় থাকলেও ১২টা পর হাসপাতালে কোন ডাক্তার পাওয়া যায়না।
প্রতিদিন ১২ বাজার আগে ডাক্তাররা দরজা বন্ধ করে নিজ বাসার চেম্বারে প্রাইভেট রোগী দেখতে চলে যান। মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে কোন ডাক্তার পাওয়া যায়নী। দুর দুরান্ত থেকে চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ রোগীদের ঘন্টার পর ঘন্টা ডাক্তারের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। লালমোহন পৌর শহরের মোজামেল হক জানান, দুপুর ১২টার সময় আমার ১মাস ৪ দিনের শিশু বাতিজা বায়জিদকে নিয়ে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে এসে ডাক্তারের জন্য প্রায় দেড় ঘন্টা অপেক্ষা করেছি। এর মধ্যে জরুরী বিভাগ থেকে র্কতব্যরত ডাঃ আবু সুফিমানকে একাধীকবার মোবাইল করা হয়েছে।
তিনি দেড় ঘন্টা পর এসে আমার সাথে খারাপ বাক্য ব্যবহার করে আমার রোগীকে ভোলা রেফার করেন। আমি এই বিষটি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে মোবাইলে জানিও লাভ হয়নি। রফিক, খাদিজা সহ অনেক রোগী ডাক্তার না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে চিকিৎসা না নিয়ে ফিরে যান। অপর দিকে সরকারী ভাবে রোগী দেখার ফি ৩ টাকার নিয়ম থাকলেও নেওয়া হচ্ছে ৫ থেকে ১০ টাকা করে।
এব্যাপারে কর্তব্যরত ডাক্তার আবু সুফিয়ানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষটি এরিয়ে যান। এব্যাপারে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ অমলেন্দু বিশ্বাসকে একধিকবার তার ব্যাবহিত মোবাইল ফোনে ফোন করলে ও তিনি রিসিভড করেনি।
ভোলার চরফ্যাশনে ট্রাক-টেম্পুর সংঘর্ষে আহত ১০
ভোলার চরফ্যাশন-শশীভূষন সড়কে ইট বোঝাই মিনি ট্রাক ও যাত্রীবাহী টেম্পুর মুখোমুখি সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে কাশেমগঞ্জ বাজার সংলগ্ন ভুতার খেয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ইট বোঝাই একটি মিনি ট্রাক শশীভূষন থেকে চরফ্যাশনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়ে ভূতার খেয়া এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা যাত্রীবাহী একটি টেম্পুর সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে টেম্পুটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এসময় অন্তত ১০জন গুরুতর আহত হন।
পরে আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
