আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার ফল মার্কেটে এসেছে প্রচুর পরিমাণ গ্রীষ্মকালিন ফল তরমুজ। দাম সাধ্যের মধ্যে হলেও ক্রেতা শূন্যতার কারনে লোকশানের আশংকায় হতাশ হয়ে পড়েছেন তরমুজ ব্যবসায়ী মহল। ক্রেতা শূন্যতার কারনে অনেক ব্যবসায়ী তাদের মুলধন ফিরে পাবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ের মধ্যে পড়েছেন।
বাংলা চৈত্র মাস শেষ হয়ে নতুন বছর বৈশাখ মাস শুরু হয়েছে। কিন্ত তাপদাহ তেমন লক্ষ্য করা যাচ্ছেনা। প্রচন্ড তাপদহ অনুভব না হওয়ায় পানীয় ফল হিসাবে তরমুজের চাহিদা কমে গেছে। প্রতি বছর এ সময়ে প্রচুর পরিমাণ তরমুজের চাহিদা থাকলেও এ বছর দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র। আদমদীঘি, সান্তাহার, নশরতপুর সহ বিভিন্ন হাট ও বাজারে দোকানিরা বিপুল পরিমান তরমুজের আমদানি করে পরসা সাজিয়ে বসে আছেন ক্রেতার অপেক্ষায়। তরমুজের আমদানী বেশী দামও সাধ্যের মধ্যে কিন্ত দীর্ঘক্ষণ পর পর দেখা মিলছে দু’ একজন ক্রেতার। অনেক বিক্রেতা হাঁকিয়ে-হাঁকিয়ে ক্রেতা ধরার চেষ্টা করছেন। অথচ ক্রেতার দেখা নেই। চোখের সামনে ডিজিটাল পাল্লায় ওজন করে তরমুজের একাংশ কেটে খাইয়ে তারপর ক্রেতার পছন্দ হলে কেনেন। এত সুযোগ সুবিধার পরও যেন ব্যবসা যাচ্ছে মন্দা। একজন টিকিৎসক জানান গ্রীষ্মকালিন ফল তরমুজ মানব দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারি একটি ফল। আদমদীঘির সান্তাহার ফল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুল ইসলাম জানান সম্পূর্ণ দেশী এই ফলে কোন রাসায়নিক পদার্থের ছোঁয়া নেই। দাম প্রতি কেজি ১৫/১৬ টাকা হলেও এবছর ক্রেতা অশানুরূপ না হওয়ায় লোকশানের আশংকা রয়েছে।
আদমদীঘিতে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী গ্রেফতার

আদমদীঘি থানা পুলিশ সোমবার রাতে রেলের লোহার পাত চুরি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী চাঁনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করেছে। পুলিশ জানায় সান্তাহার ইয়ার্ড কলোনীর কাদের আলীর ছেলে চাঁন-এর বিরুদ্ধে সান্তাহার জিআরপি থানায় রেলওয়ের লোহার পাত চুরি সংক্রান্ত ঘটনায় একাধিক মামলা ওয়ারেন্ট রয়েছে। এর মধ্যে ২০০৭ সালের রেলের লোহার পাত চুরি মামলায় আদালত থেকে ১ বছরের সাজা হয়। সে ঢাকায় পালিয়ে ছিল। গত সোমবার রাতে এএসআই সুজা মিয়া গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চাঁনকে গ্রেফতার করা হয়।
