এম, এ করিম মিষ্টার, নীলফামারী : অপহরণের ১২দিন অতিবাহিত হলেও উদ্ধার হয়নি নীলফামারী ছমির উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। এতে করে ওই ছাত্রীর বিধবা মা ফুলবানু মেয়ের চিন্তায় এখন শয্যাশায়ী হয়ে পড়েছেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার নতুন বাজার এলাকার মৃত শওকত আলীর মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিন (১২) কে নিয়ে স্ত্রী ফুলবানু মানুষের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে অতিকষ্টে মেয়েকে লেখাপড়া করাচ্ছিল। সাবিনা লেখাপড়ার পাশাপাশি ভেলাধূলাতেও পারদর্শী ছিল। সে ২০১৩ সালে শেখ ফজিলাতুন নেছা গোল্ড কাপ ফুটবল টুর্ণামেন্টে উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়। এদিকে স্কুলে যাওয়া- আসার পথে সাবিনাকে প্রায় উত্যক্ত করতো একই এলাকার বখাটে শাহেন শাহ্, রাজা ও শাহ আলম। ১ এপ্রিল স্কুলে টিফিনের বিরতিতে সাবিনা টিফিন খাওয়ার জন্য বিদ্যালয়ের বাইরে বের হন। এ সুযোগে পূর্বেই ওৎপেতে থাকা বখাটে যুবকরা একটি মাইক্রোবাসে করে জোরপূর্বক সাবিনাকে তুলে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে সাবিনার মা থানায় গেলে পুলিশ গড়িমসি করলে পরে আদালতে মামলা করেন। ১২ দিন অতিবাহিত হলেও এখনও পুলিশ সাবিনাকে উদ্ধার করতে পারেনি।
সৈয়দপুরে ট্রলির শ্রমিকদের সাথে গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ২০

নীলফামারীর সৈয়দপুরে বালুবাহী ট্রলির শ্রমিক ও বালু ব্যবসায়ীদের সাথে সৃষ্ট সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহতদের সৈয়দপুর ১শ’ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ নিয়ে দুই পক্ষের টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার বিকেলে উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের জানেরপাড় গ্রামের বালু ব্যবসায়ী ট্রলি নিয়ে বালু বহন করছিল। এতে গ্রামের কাঁচা রাস্তাটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ওই গ্রামের মোসলেম উদ্দিন ট্রলির চালক হেলালকে এ রাস্তা দিয়ে ট্রলি চলাচলে বাঁধা দেয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। খবর পেয়ে একই গ্রামের ট্রলি ভর্তি বালুর মালিক বাবু, ট্রলির শ্রমিক ও তাদের লোকজন লাঠিসোডা নিয়ে ট্রলি চলাচলে বাঁধা প্রদানকারীদের উপর চড়াও হয়। এতে গ্রামবাসীর পাল্টা আক্রমনে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে উভয় পক্ষের গুরুতর আহত এনকাজ (২৪), মইনুল (১৮), মাহাবুব (২৫), মোসলেম (২৩), আলম (১৯), হাসান (৩৫), হালিম (৪০), তাহের (২৫), হেলাল (১৫), লতিফ (৩০), শরিফুল (১৮), লিয়ন (১৫) ও কালুয়া (২০) কে সৈয়দপুর ১শ’ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহিদার রহমান জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। তবে এ পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাননি বলে তিনি জানান।
সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি গঠন
নীলফামারীর সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর সরকারকে আহবায়ক করে কমিটিতে ২১জনকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। আহবায়ক কমিটি আগামী ৪৫দিনের মধ্যে সব পর্যায়ে সম্মেলন শেষ করে পুর্ণাঙ্গ জেলা সাংগঠনিক কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। আহবায়ক কমিটির অন্যান্যরা হলেন, অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন সরকার, বজলার রহমান, কাজী একরামুল হক, একেএম এহসানুল হক, আব্দুল হাই, জিয়াউল হক জিয়া, কাজী মাসুদ সরওয়ার শহীদ, শামসুল আলম, রফিকুল ইসলাম, সাইদুল হক বাবলু, গজনফর আলী মিন্টু, হায়াত আলী জাফরি, হায়দার আলী, আনিছ আনছারি, জহুরুল হক বাদশা, রেজাউল করিম রেজা, আব্দুল মতিন সিন্টু, এম এ পারভেজ লিটন, শরিফুল ইসলাম, ইয়াসিন আলী ও মোছাঃ রওনক জাহান রিনু। কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব সালাউদ্দিন আহমেদ জানান, নীলফামারী জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটিকেও আগামী ২৩এপ্রিল থেকে একমাসের মধ্যে সব পর্যায়ের সম্মেলন সমাপ্ত করে পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সৈয়দপুরে জমি বিক্রি নিয়ে তালবাহানা : একটি পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে
নীলফামারীর সৈয়দপুরে জমি বিক্রির কথা বলে ১ লাখ ৭৪ হাজার টাকা নিয়েও বিগত ৪ বছর ধরে বিক্রেতা তালবাহানা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতায় এখন ক্রেতা, তার স্কুল ও কলেজ পড়–য়া ছেলে-মেয়েসহ গোটা পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। জানা যায়, উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের সিপাইগঞ্জ গ্রামের জয়নুল তার ভাই তসলিম উদ্দিনের নিকট ৬ শতাংশ জমি বিক্রির কথা বলে কয়েক দফায় ১ লাখ ৭৪ হাজার টাকা নেয়। টাকা নেওয়ার পর তসলিম উদ্দিন তার ভাইকে জমি লিখে দিতে বললে জয়নুল তালবাহানা করে প্রায় ৪ বছর কেটে দেয়। এরপর বিষয়টি গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ইউনিয়ন পরিষদে সালিশসহ থানা পর্যন্ত গড়ায়। এসব সালিশের সিদ্ধান্ত মোতাবেক জমির মালিক জয়নুল তার ভাইকে টাকা ফেরত না দিয়ে টাকা আত্মসাত করার চক্রান্ত শুরু করে। এদিকে জয়নুল ওই জমিটি অন্য দুই জনের কাছে বিক্রি করে দেয়। ফলে দুই ভাইয়ের মাঝে শুরু হয় দ্ব›দ্ব। এই দ্ব›েদ্বর জের ধরে জয়নুল উল্টো তসলিম উদ্দিন ও তার স্কুল পড়–য়া নাবালক ছেলেকে আসামি করে নীলফামারী আদালতে একটি মামলা করে। জয়নুল ওই জমির উপর একট ভাংগা ও ব্যবহার অযোগ্য দোকানঘর পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে এই মামলা করে। বর্তমানে জয়নুল ও তার লোকজন তসলিম উদ্দিনকে ৭ শতক জমি লিখে দেয়ার চাপ প্রয়োগ করছে এবং নানাভাবে হুমকি প্রদর্শন করে চলেছে। এতে করে তসলিম উদ্দিন ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
