আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ বগুড়ার আদমদীঘি থানা পুলিশ গত ৩ মাসে বিশেষ অভিযান চালিয়ে নিয়মিত মামলা, মাদক সেবন. বহন বিস্ফোরক আইনে, খুন, অনৈতিক কার্যকলাপ মোটর সাইকেল ছিনতাই এবং ওয়ারেন্টমুলে সহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত করার অভিযোগে ৩১০ জনকে গ্রেফতার করেছে। থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স পৃথক পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে এ সব অপরাধীদের গ্রেফতার করেন।

পুলিশ জানান গত ১৯ জানুয়ারী মাসে খুন অপহরন মাদক সহ ১৫টি বিভিন্ন ধরনের মামলা হয়। ফেব্রæয়ারী মাসে ছিনতাই মাদক সহ ১৫টি মামলা. মার্চ মাসে খুন ধর্ষন সিদেল চুরি মাদক সহ ২১ টি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায়, ওয়ারেন্ট তামিল সহ অন্যান্য অপরাধে ৩ মাসে ৩১০ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করেছেন।এ ছাড়া মাদক বিক্রি সেবন ও ইভটিংজারদের ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জেল ও জরিমানা করা হয়েছে।। এ দিকে ছিনতাইকারী সহ মাদক দ্রব্য বিক্রি সেবন ও বহনকারীরা গ্রেফতার হওয়ায় মাদকের প্রসার সহ রাস্তায় ছিনতাই ছিচকে চুরি সহ অপরাধ প্রবনতা কমতে শুরু করলেও পুলিশের অব্যাহত অভিযানে মুল অপরাধীরা এখন অনেকেই আতœগোপনের রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।
আদমদীঘিতে ৬ষ্ঠ শ্রেনীর স্কুল ছাত্র নিখোঁজের ১৮ দিনেও সন্ধান মিলেনি
বগুড়ার আদমদীঘির চাঁপাপুর বাজার থেকে গোলাম রব্বানী (১৩) নামে ৬ষ্ঠ শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্র নিখোঁজের ১৮ দিনেও কোন সন্ধান মিলেনি। ফলে সে অপহরন হয়েছে নাকি স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে রয়েছে। এ নিয়ে অভিভাবক মহল শংকিত হয়ে পড়েছেন।
জানাযায়, আদমদীঘির কাঞ্চনপুর স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্র ও চাঁপাপুর বাজারের ছোলায়মান সরদারের ছেলে গোলাম রব্বানী গত ২৪ মার্চ বেলা ১০ টার তার বন্ধুদের সাথে বাড়ী থেকে বের হয়ে গিয়ে আর না ফিরে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়। অদ্যবদি তার কোন সন্ধান মিলেনি। ফলে অভিবাবক মহল ছেলের চিন্তায় শংকিত হয়ে পড়েছেন। তাকে অপহরন করা হয়েছে নাকি সেচ্ছায় াাত্মগোপনে রয়েছে। এ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।
আদমদীঘিতে বিশেষ অভিযানে নারী আসামী সহ ৫ জন গ্রেফতার

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ বগুড়ার আদমদীঘি থানা পুলিশ গত বুধবার রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে চুরি মারপিট মাদক সহ বিভিন্ন মামলায় আদালতের গ্রেফতারী পরোয়ানা মূলে ২ নারী সহ ৫ জন পলাতক আসামীকে গ্রেফতার কওে আদালতে প্রেরন করেছে। পুলিশ জানান বগুড়ার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার উজ্জল কুমারের নেতৃত্বে থানা পুলিশ রাতে বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ছোট জিনইর গ্রামের ইয়াদুল হোসে, নামা পোওতা গ্রামের আজাদ ও সাখাওয়াত, লকু কলোনীর আছমা বেগম ও সাওইল গ্রামের মুর্জনা বেগমকে গ্রেফতার করে।
আদমদীঘিতে স্কুল ছাত্রী অপহরণ মামলায় আরও একজন গ্রেফতার
বগুড়ার আদমদীঘিতে মনিকা রানী দেবনাথ (১৫) নামের এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরন মামলায় পুলিশ মুল অপহরনকারি নাজমুল হকের পিতা নজরুল ইসলামকে গত বুধবার রাতে গ্রেফতার করে পরদিন বৃহস্পতিবার আদালতে প্রেরন করেছে। এ নিয়ে এই মামলায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে ভিকটিমকে এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য ঃ , উপজেলার দত্তবাড়িয়া গ্রামের অনিল চন্দ্র দেবনাথের মেয়ে সাওইল স্কুলের ১০ম শ্রেনীর ছাত্রী মনিকা রানী দেবনাথ গত ৩ এপ্রিল সকাল ১০ টায় বাড়ী থেকে স্কুলে যাবার পথে নওজান পুকুরের পশ্চিম পাড় থেকে নাজমুল হক সহ তার সহযোগীরা জোড় পূর্বক অপহরন করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপহরন মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ এ পর্যন্ত নাজমুল হকের বাবা নজরুল ইসলাম (৫৪) মা নাছিমা বেগম (৪২) সাওইল গ্রামের হাজি আজিজার রহমান শেখ (৫৫) ও কে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করে।
আদমদীঘিতে শিশুকে পানিতে ডুবে হত্যা ঘটনা উদঘাটন ঃ নিহতের মায়ের স্বীকারোক্তি
বগুড়ার আদমদীঘির কদমা গ্রামে মাত্র ২১ দিনের ভুমিষ্ট হওয়া হোসেন নামের শিশু পুত্রকে ডোবার পানিতে ফেলে ডুবিয়ে হত্যা ঘটনা অবশেষে উদঘাটন হয়েছে। গত বুধবার নিহত শিশু হোসেনের মা রাজিয়া বেগম তার শিশু পুত্রকে ওই ডোবার পানিতে নিজেই ফেলে হত্যা করেছে। তবে তার শরীরে জিনের আছর থাকায় নিজ সন্তানকে এ লোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলেও বলে বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শাহারিয়া তারিক-এর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে মামলার তদন্তকারি এসআই দুলাল হোসেন জানান।
উল্লেখ্য ঃ আদমদীঘির কদমা গ্রামে রড মিস্ত্রীর ইউনুছ আলীর স্ত্রী রাজিয়া বেগমের সদ্য ভুমিষ্ঠ হওয়া ২১ দিনের শিশু হোসেনকে গত ৪ ফেব্রæয়ারী হোসেনকে কে বা কারা বাড়ীর পাশের পানি ভর্তি ডোবায় ফেলে হত্যা করে। পরদিন সকালে পুলিশ শিশু হোসেনের লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরন করেন। । এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হলে পুলিশ ওই গ্রামের আলতাফ হোসেনকে গ্রেফতার করে। এ দিকে দীর্ঘ দিন পর গত বুধবার নিহত শিশু হোসেনের মা রাজিয়া বেগমকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করলে সন্তান হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করে।
