ভোলা প্রতিনিধি : ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী শরীফিয়া দাখিল মাদ্রাসা পরিদর্শণ করলেন দক্ষিন বাংলার সফল দারিদ্র বিমোচক , সমাজ সেবিকা,নারী উদ্যোক্তা রেবা রহমান।
৮এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে রেবা রহমান মাদ্রাসা পরিদর্শন করার জন্য যান। ১৯৬২ সালে বোরহানউদ্দিন উপজেলার উদয়পুর রাস্তার মাথায় অতন্ত্য মনোরম পরিবেশে মাত্র ৫৫ জন্য শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে টবগী শরীফিয়া মাদ্রাসা। পরে ১৯৮৬ সালে আধুনিক ভোলা জেলার রুপকার মরহুম নাজিউর রহমান মঞ্জু মাদ্রাসাটিকে দাখিল মাদ্রাসা করার উদ্যোগ নেয়। ১৯৮৭ সালে মাদ্রাসাটি এমপি ভুক্ত করা হয়। মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও সুপার আলহাজ্ব মাওলানা আঃ হাই শরীফ বলেন, মরহুম নাজিউর রহমান মঞ্জুর সহযোগিতায় দীর্ঘ কয়েক যুগ মাদ্রাসাটি পরিচালিত হয়ে আসছিল। নাজিউর রহমানের মৃত্যুর পর প্রতিষ্ঠানটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারন বসত কোন প্রকার সাহায্য সহযোগিতা পায়নি মাদ্রাসাটি। মরহুম নাজিউর রহমান মঞ্জুর অবদানের মাদ্রাসাটি সম্পর্কে রেবা রহমান গত ৭ জুন জানতে পেয়ে মঙ্গলবার সকালে মাদ্রাসাটি পরিদর্শন করেন। শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রীদের সাথে আলাপ আলোচনা করে শিক্ষার মান বৃদ্ধি করার জন্য সকল প্রকার সাহায্য সহযোগিতা করার কথা জানান। রেবা রহমান সম্প্রতি এক লক্ষ টাকা দেয়ার ও অঙ্গীকার করেন।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, জড়াজীর্ন এই ভবনে প্রথম শ্রেনী থেকে দশম শ্রেনী পর্যন্ত প্রায় ৪৫০ জন শিক্ষার্থী পড়াশুনা করছে। শ্রেনী কক্ষ্যে উপস্থিতি ও শতভাগ। জেডিসি ও দাখিল পরীক্ষায় ফলাফল ও চোখে পড়ার মত।
রেবা রহমান আরো বলেন নাজিউর রহমান বেচে থাকলে আজকে মাদ্রাসার অবস্থা আরো উন্নতহত । নাজিউর রহমান নিজ অর্থায়নে জায়গার সংকুলান ও ভবন করে দিত শিক্ষকরা ও ছাত্রছাত্রীরা রৌদে পুড়ে আর বৃষ্টিতে ভিজতে হতনা। তবু আল্লাহর রহমতে এখন থেকে আমি ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনার মান বৃদ্ধি করতে সর্বত্তোম সহোযোগিতা করে যেতে চাই
