ভোলা প্রতিনিধি : ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইসমাইল রাসেল কর্তৃক ধর্ষনের শিকার গৃহবধু। বিকাল ৪টায় ইউপি পরিষদে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে গৃহবধুকে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঘটনা শুনে জেলা পুলিশ সুপার মোহাঃ মনিরুজ্জামান ভোলা সদর হাসপাতালে গৃহবধুকে দেখতে যান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভোলার চরফ্যাশন আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম যৌতুকের দাবীতে তার স্ত্রীকে মারধর করে। পরে গৃহবধুকে গুরুতর অবস্থায় চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনা ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি বিষয়টি মিমাংসার আশ্বাস দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে গৃহবধুকে বিচারের কথা বলে ইউপি পরিষদে ডেকে নিয়ে যায় ইউপি চেয়ারম্যান। পরে তাকে একা পেয়ে লম্পট চেয়ারম্যান রাসেল গৃহবধুকে ধর্ষন করে। এসময় ধর্ষিতার ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে ডাক্তার তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে রেপার করেন।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন রাসেলকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বিষয়টি সত্যি নয় বলে জানান। তিনি বলেন, আমাকে হেও প্রতিপন্ন করার জন্য রফিকুল ইসলামের বড় ভাই সিরাজুল ইসলাম এ নাটক সাজিয়েছে।
ভোলা সদর হাসপাতালে আরএমও ডাঃ নিত্যানন্দ চৌধুরী জানান, গৃহবধু টেস্ট রিপোর্ট পরীক্ষার জন্য দেওয়া হয়েছে। এখনও রিপোর্ট আসেনি। তবে রিপোর্ট আসলে ধর্ষনের শিকার কি না বোঝা যাবে।
এদিকে ঘটনা শুনে ভিকটিমকে দেখতে ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মোহাঃ মনিরুজ্জামান ভোলা সদর হাসপাতাল যান। তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানান, চরফ্যাশনে আবদুলাহপুরের জনৈক এক মহিলা ধর্ষনের শিকারের কথা আমরা শুনেছি। তবে ভিকটিমের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে কোন অভিযোগ আসেনি। তবে বিষয়টি তদন্তপূর্বক আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো।
