মজনু, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) : বিয়ের আসরে ২ ঘণ্টা কাজী আর বাড়ির লোকজন অনুরোধ করার পরও বিয়েতে ‘কবুল’ বলেনি কনে লিপি আক্তার (১৯)। এতে করে বাড়ির লোকজনদের মধ্যে বাঁধতে থাকে নানা সন্দেহের দানা। এরই মধ্যে শতাধিক লোকজনের মেজবানও শেষ। বাকি ছিল শুধু কবুল পড়া। বর মিন্নত আলী (২৩) কবুল পড়ার পর কাজী অনেক চেষ্টা করে কনের কবুল শুনতে পারেনি। শেষে বেরিয়ে আসে আসল তথ্য। ব্যাস ভেঙে গেল বিয়ে। গত শুক্রবার দুপুরে আড়াইহাজার উপজেলার বিশনন্দী ইউনিয়নের পূর্বপাড়া গ্রামে এ ঘটনার পর এলাকাতে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিয়ে না হওয়ায় প্রায় আড়াইঘণ্টা সময় ব্যয় করেও শেষ পর্যন্ত খালি হাতে ফেরত যেতে হয় কাজীকে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি মোবাইল ফোনে জানান, পূর্ব পাড়া এলাকার ইসমাইল মিয়ার মেয়ে লিপি আক্তারের সঙ্গে একই ইউনিয়নের তেতিয়াগ্রামের এলাহী মিয়ার ছেলে মিন্নত আলীর বিয়ে ঠিক হয় শুক্রবার দুপুরে। বিয়ের সকল আয়োজনও সম্পন্ন ছিল আগে থেকেই। দুপুর থেকেই চলে আপ্যায়ন। দুই বাড়ির লোকজন ভোজন পর্বও শেষ করতে থাকে। এর মধ্যে বিয়ে পড়ানো শুরু হয়। দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে পড়ানোতে ছেলে পক্ষের কাজ শেষে যখন মেয়ের কাছে যাওয়া হয় তখনই শুরু হয় বিপত্তি। কনে কবুল পড়তে রাজি না। প্রায় ২ঘণ্টা চেষ্টার পর বিফল হলে জানা গেছে মেয়ের প্রেম আছে অন্য এক ছেলের সঙ্গে। এ কারণেই সে এ বিয়েতে রাজি না। পরে বিয়ে ভেঙ্গে দেয়া হয়।
