ads

রবিবার , ৬ এপ্রিল ২০১৪ | ২রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

উপকূলের সাড়ে ৫ হাজার হতদরিদ্রের ভাগ্য পরিবর্তন

রফিকুল ইসলাম আধার , সম্পাদক
এপ্রিল ৬, ২০১৪ ৫:২৮ অপরাহ্ণ

barguna-mapমো.মহসিন মাতুব্বর, আমতলী (বরগুনা) : বরগুনার আমতলীতে স্থানীয়ভাবে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে আয় বাড়িয়ে ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেছে ৫ হাজার ৫ শ হতদরিদ্র গ্রামীণ মানুষের। এতে তাদের জীবনমানের উন্নতি ঘটেছে।
শাকসবজি চাষ, গরু মোটাতাজাকরণ, হাঁস-মুরগি পালন, ও মৎস্য চাষ, মিনি গার্মেন্টস, কম খরচে বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের সুবিধা নিশ্চিত হওয়ায় এ সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
বে-সরকারী সংস্থা এনএসএস এর রি-কল প্রকল্পের মাধ্যমে অক্সফার্মের অর্থায়নে আমতলী উপজেলার আরপাঙ্গাশিয়া ও গুলিশাখালী ইউনিয়নে বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন প্রকল্পের সহযোগিতায় তাদের স্থায়ী আয় ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
ইতোমধ্যেই আমতলী উপজেলার আরপাঙ্গাশিয়া ও গুলিশাখালী ইউনিয়নে গ্রামীণ জনপদের প্রায় ৫ হাজার ৫শ হতদরিদ্র পরিবারের আর্থ-সামাজিক ক্ষমতায়ন হয়েছে।
এনএসএসএর প্রশিক্ষন কেন্দ্রে নেওয়া প্রশিক্ষণ কাজে লাগিয়ে রি-কল প্রকল্পের সহযোগিতায় এলাকার নারী উদ্যোক্তারা নিজ এলাকায় স্বাবলম্বী হচ্ছে ফলে হতদরিদ্র মহিলাদের আয় ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
স¤প্রতি কথা হয় আঙ্গুলকাটা গ্রামের শাপলা গনসংগঠনের মহিলা সমিতি’র সভানেত্রী পাপড়ী বেগমের সঙ্গে। তিনি জানান, স্বামী ও ৩ সন্তান কে সঙ্গে নিয়ে কয়েক বছর আগেও তিনি অতি কষ্টে দিনাতিপাত করছিলেন। রি-কল প্রকল্পের মাধ্যমে তিনি সবজি চাষ করে ‘ পণ্য উৎপাদনের কাজ করছেন। একইভাবে আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের গ্রামের রুনা বেগম বলেন অতি কষ্টে জীবনযাপন করছিলেন, তখন তিনি এ সিবিওর অন্তর্ভুক্ত হয়ে আয়বর্দনমূলক কাজ শুরু করেন। এখন তার সিবিওর মহিলারা নিজ বাড়িতে থেকেই প্রত্যেকে দৈনিক ১২০ থেকে ২০০ টাকা করে রোজগার করছেন।
অন্যদিকে প্রকল্পটির মাধ্যমে ইউনিয়ন দুটিতে প্রায় ক্ষুদ্র ব্যবসা,কৃষি কাজ,হাসপালন সবজি চাষ করে বিক্রি করে প্রায় ৫ হাজার ৫শ পরিবার স্বাবলম্বী হয়েছেন। কথা হয় উন্নত পদ্ধতিতে হাস চাষ করে সফলতা অর্জনকারী গুলিশাখালী ইউনিয়নের আঙ্গুলকাটা গ্রামের রুনু (৪০), হামিদা(৫০), শাহিনর(৩৫)র সঙ্গে।তারা বলেন রি-কল প্রকল্পের – সহযোগিতায় স্থানীয়ভাবে গড়ে ওঠা সিবিও গনসংগঠনের , সহযোগিতা নিয়ে তারা বাড়িতে উন্নত ‘ দেশীয় জাতের হাস পালন করছেন।
তিনি আরো জানান, ি নিয়মিত প্রানী সম্পাদ অফিস থেকে সহযোগিতা, জ্ঞান এবং দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, উন্নত মানের ভ্যাকসিন, ওষুধ, হাসের খাবারসহ যাবতীয় সমস্যা সমাধানের পরামর্শ পাচ্ছেন। ফলে তার স্বাস্থ্যবান হাঁস ও অধিক উর্বর ডিমের উৎপাদন উত্তরোত্তর বাড়ছে।
রাধাঁ রানী জানান, গাভী পালনের যাবতীয় ব্যয় সংকুলানের পর তিনি চার সন্তানের দুধ ও পুষ্টির চাহিদা মিটিয়ে প্রতিদিন আট লিটার দুধ বিক্রি করে ২৫০ টাকা পর্যন্ত আয় করছেন।
রি –কল প্রকল্পের –ফিল্ড ফেসিলিটেটর মনিরা সুলতানা সখি জানান, এ অঞ্চলে এ প্রকল্পের মাধ্যমে অনেক হতদরিদ্র মানুষের কর্মসংস্থান ও আয়ের স্থায়ী সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।এনএসএসর নির্বাহি পরিচালক এ্যাডঃ শাহাবুদ্দিন বলেন উপকূলয়ি আমতলী উপজেলার আরপাঙ্গাশিয়া ও গুলিশাখালী ইউনিয়নে অক্সফার্মের অর্থায়নে রি-কল প্রকল্পের মাধ্যমে হতদরিদ্র মানুষের ভাগ্যর উন্নয়নে আয়বর্ধন মূলক কাজ চলছে। যাতে হতদরিদ্র মানুষগুলো নিজেদের পায়ে নিজেরা দাড়াতে পারে। প্রকল্পর কাজ শুরু হয় ২০১১ সালে কাজ চলবে ২০১৭ সাল পর্য়ন্ত। কাজ শুরু থেকে এ পর্যন্ত ৯৪ লাখ ৮৩ হাজার টাকার বিভিন্ন ভাবে সহায়তা দেয়া হয়েছে হতদরিদ্রদের ।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!