আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : সান্তাহার-পার্বতীপুর রেলওয়ে চোরাচালানী রুটের ইজারা ও নিয়ন্ত্রন কে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৮ টায় বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহার জংশন স্টেশানে রাজশাহীগামী আন্তঃনগর তিতুমীর ট্রেনে দফায় দফায় হামলা ঘটনায় সান্তাহার জি.আর.পি থানার এএসআই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ২৬ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ রাতেই সান্তাহার পূর্ব লকু কলোনীর মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে শাহাজান (৩২) ও কলসা কোঁচকুড়ির বাবলু‘র ছেলে নুপুর (২৮) কে গ্রেফতার করে। শুক্রবার সকালে তাদের কে বগুড়া জেল হাজতে প্রেরন করে। এ ঘটনায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। সৈয়দপুর রেলওয়ে সহকারী পুলিশ সুপার সিকদার মো: হাসান ইমান ঘটনান্থল পরির্দশন করেছেন ষ্টেশানে নিরাপত্তা জোড়দার করতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য ঃ গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৮ টায় নিলফামারী থেকে আন্তঃনগর তিতুমীর ট্রেনটি সান্তাহার রেলওয়ে জংশন ষ্টেশান হতে ছাড়ার প্রাক্কালে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত প্রায় শতাধিক সন্ত্রাসীরা ট্রেনের হুস পাইপ খুলে দিয়ে চলাচল বন্ধ করে হামলা চালায় এবং যাত্রীদের মালামাল লুট করে।এ সময় ট্রেনের পরিচালক আব্দুল মালেক বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা তাকে পিটিয়ে আহত করে । বাঁচাতে গেলে ট্রেনের টিকেট কালেক্টর আরাফাত হোসেনও হামলার শিকার হন। ঘটনার এক পর্যায়ে স্থানীয় আওয়ামী, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের প্রায় দুই শতাধিক নেতা-কর্মী সান্তাহার জংশন ষ্টেশন এলাকায় লাঠি-সোডা নিয়ে উপস্থিত হয়ে সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করে স্টেশন এলাকার দখল নেয়। এ সময় ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে চরম আতংক সৃষ্টি হয় এবং প্রাণভয়ে যাত্রীরা ট্রেনের দরজা-জানালা বন্ধ করে দেয়। স্থানীয়রা জানান, ট্রেনের ওই রুটে ভারতীয় চোরাই পথে আসা মামলামালে ট্রানজিট রুট হিসাবে তার ইজারা ও নিয়ন্ত্রন নিয়ে সান্তাহার আওয়ামীলীগ ও জাতীয়পাটি সমর্থিত দুটি গ্রæপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে গত বৃহস্পতিবার রাতে একটি গ্রæপ আধিপত্য গ্রহন করতে গিয়ে এ ঘটায়। সান্তাহার জিআরপি থানার অফিসার ইনচার্জ শরিফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতার স্বীকার করে জানান আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পুনরায় যেন কোন অপ্রতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য ষ্টেশন এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। বর্তমানে আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পাটীর সমর্থিতদের টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মুহুর্তেই অপ্রতিকর ঘটনার আশংকা রয়েছে। ওই হামলায় আহত ট্রেনের পরিচালক আব্দুল মালেককে প্রথমে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ও পরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। টিকেট কালেক্টর আরাফাত হোসেন স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সান্তাহারে গলায় ফাঁস দিয়ে মাদকসেবীর আত্মহত্যা

আদমদীঘির সান্তাহার ইয়ার্ড কলোনীর রেলের বাসায় বসবাসকারি আলামিন ওরফে বাপ্পি (২৮) নামের এক হেরোইন খোর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সে শাহার আলীর ছেলে। এ ব্যাপারে গতকাল শুক্রবার সকালে আদমদীঘি থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। আলামিনের বাবা শাহার আলী জানায় তার ছেলে দীর্ঘ দিন যাবত হোরোইন নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে। তার নেশার কারনে অতিষ্ট হয়ে বেশ কয়েক বার জেলে পাঠানো হয়েছে। তার পরও নেশা ছাড়ানো সম্ভব হয়নি। গত শুক্রবার রাতের খাবার শেষে বাপ্পি শয়ন ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। ভোরে তার মা রিমামনি ডাকতে গিয়ে দেখতে পান ঘরের ভিতর লোহার এ্যাংগেলের সাথে কেট্স এর ফিতায় গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত। পরে বাপ্পিকে নেমে স্থানীয় চিকিৎসকের নিকট নেয়া হলে মৃত ঘোষনা করেন।
আদমদীঘিতে স্কুল ছাত্রী অপহরনের অভিযোগে পিতা-পুত্রসহ আটক ৩
বগুড়ার আদমদীঘিতে মনিকা রানী দেবনাথ (১৫) নামের এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরনের অভিযোগে পুলিশ গতকাল শুক্রবার দুপুরে অপহরনকারির পিতা ও ভাই সহ ৩ জনকে আটক করেছে। তবে মুল অপহরনকারি নাজমুল হককে আটক কিংবা অপহৃত ছাত্রীকে এখনও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ জানান আটককৃতরা হলো আদমদীঘির সাওইল গ্রামের নজরুল ইসলাম (৫৫) তার পুত্র নুর ইসলাম (২৫) ও পরশী আব্দুল মান্নানের ছেলে রাজিব (১৮)। এ ব্যাপারে ভিকটিমের বাবা অনিল চন্দ্র দেবনাথ বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। জানাযায়, উপজেলার দত্তবাড়িয়া গ্রামের অনিল চন্দ্র দেবনাথের মেয়ে সাওইল স্কুলের ১০ম শ্রেনীর ছাত্রী মনিকা রানী দেবনাথ গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় বাড়ী থেকে স্কুলে যাবার পথে নওজান পুকুরের পশ্চিম পাড় থেকে নাজমুল হক সহ তার সহযোগীরা জোড় পূর্বক অপহরন করে নিয়ে যায়।
সান্তাহারে বাড়ীতে আগুন ; দেড় লক্ষ টাকার ক্ষতি

আদমদীঘির সান্তাহার হার্ভে স্কুল মোড় এলাকার আবুল কালাম আজাদের বসত বাড়ীতে কে বা কারা শত্রæতামূলক পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে প্রায় দেড় লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধণ করেছে। জানা গেছে, আবুল কালাম আজাদ প্রতিদিনের মত বৃহস্পতিবার রাতে পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত অনুমান ৩ ঘটিকার সময় পূর্ব শত্রæতামূলক তার বসত বাড়ীতে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায়।আগুন দ্রæত ছড়িয়ে পড়ে এবং আধাপাকা বাড়ীর বাঁশ, টিন আসবাবপত্র, কাপড়-চোপড় পুড়ে সহ মালামাল ভস্মিভূত হয়। খবর পেয়ে স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকান্ডে তার প্রায় দেড় লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন।
