নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ইরি-বোরো ফসলের মাঠ এখন অপরূপ সবুজের সমারহ। বগুড়ার শস্য ভান্ডার হিসেবে পরিচিত নন্দীগ্রাম উপজেলা। এই উপজেলায় ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়। এবারও ফসলি জমির চিত্র দেখে ধারণা করা হচ্ছে আলাহর রহমতে প্রাকৃতিক কোন দূর্যোগ না হলে এবারও বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানাযায়, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে নন্দীগ্রাম উপজেলায় ২০ হাজার ৫ শ’হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষ করা হয়েছে। এতে ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিকটন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও তার চেয়ে বেশি ফলন হতে পারে। ইরি-বোরো চাষ সবচেয়ে ব্যয়বহুল। যার কারণে কৃষকরা এবারও আর্থিক সংকট নিয়ে ইরি-বোরো চাষ করছে। নন্দীগ্রাম উপজেলার ৭০ ভাগ কৃষক ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে ইরি-বোরো চাষ করে আসছে। এর মধ্যে ৫০ ভাগ কৃষক জমির কাগজ পত্র ব্যাংক, এনজিও সহ বিভিন্ন সংস্থায় জমা দিয়ে ঋণ গ্রহন করে। ২০ ভাগ কৃষক দাদন ব্যবসায়ী মহাজনদের নিকট থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে ইরি-বোরো চাষ করছে। ব্যাংক, এনজিও সহ বিভিন্ন সংস্থা ও মহাজনদের নিকট থেকে ঋণ নিয়ে কৃষকরা চাষাবাদ করে খুব একটা লাভবান হতে পারেনা। উপজেলা কৃষি অফিসার মশিদুল হকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এবার ধানের বাম্পার ফলনের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। এলক্ষ্য নিয়ে আমরা মাঠে রয়েছি। ইতিমধ্যেই ফসলি জমির ধানের গাছ গামর হয়েছে। বৈশাখ মাসের মাঝামাঝি সময়ে ধান কাটা শুরু হবে।
