আনোয়ার হোসেন, রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাও) : উৎপাদিত ফসলের নায্য মূল্য না পেয়ে কৃষক ঝুঁকে পড়েছে মরিচ চাষের দিকে। আগ্রহ হারাচ্ছে অন্য ফসলের প্রতি।

অন্য ফসলের তুলনায় কম ঝুঁকিপূর্ন তাই মসলা জাতীয় ফসল মরিচ চাষ’র দিকে কৃষক আগ্রহ বাড়াচ্ছে। অল্প খরচে বেশী লাভজনক হওয়ায় এবার জেলায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। জেলার মরিচ চাষীরা মরিচ গাছের যতœ নিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে।
জেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ বলেন, মরিচ উষ্ণ ও শুস্ক জলবায়ু উপযোগী ফসল। সব ধরনের দো-আঁশ মাটিতে মরিচ চাষ ভাল হয়। ২০-৩০ ডিগ্রী সেঃ তাপমাত্রা মরিচ চাষের জন্য ভাল। বিগত বছরগুলোতে জেলার নারগুন, রায়পুরসহ কয়েকটি ইউনিয়নে মরিচ চাষে অনেকে স্বাবলম্বী হয়েছে বলেও তিনি জানান।
রাণীশংকৈল রাউৎনগর গ্রামের মরিচ চাষী তোতা জানায়, গত বছর এক একর জমিতে মরিচ চাষ করে বেশ লাভবান হওয়ায় এবার তিন একর জমিতে মরিচ চাষ করেছি।
কৃষি তথ্যমতে, মরিচের চারা রোপনের ৩০/৪০ দিনের মধ্যে গাছে ফুল আসে। ৫০/৬০ দিনের মধ্যে মরিচ সংগ্রহ করা শুরু হয়। কাঁচা মরিচের ফলন প্রতি হেক্টরে ৬-৭ টন। অন্যদিকে শুকনো মরিচের হেক্টর প্রতি ফলন ১.৫-২ টন। তাছাড়াও হেক্টর প্রতি ৯০/১০০ কেজি মরিচের বীজ প্রক্রীয়া সম্ভব।
দেশে মরিচের চাহিদা সিংহভাগ পুরন করে আর্থিকভাবে স্ববলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন ঠাকুরগাওয়ের অধিকাংশ মরিচ চাষী।
জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বেলায়েত হোসেন জানান, ঠাকুরগাওয়ের কৃষকরা মরিচ চাষ করে লাভবান হয়ে আসছে। কৃষকরা থ্রিপস, জাবপোকা, কান্ডকাটা পোকা সহ ক্ষতিকর পোকামাকড়, , মড়ক ও পঁচা রোগ হতে মরিচ ফসলকে রক্ষা করতে পারলে অধিক লাভবান হতে পারবে।
এলাকার মরিচ চাষীরা আমাদের প্রতিনিধিকে জানায়, অনেক সময় উপ-সহকারী কৃষিকর্মকর্তাদের না পেয়ে আমাদের অনেক ক্ষতির সম্মুখিন হতে হয়। তাঁরা আমাদের ঠিকমতো সহযোগিতা করলে মরিচ চাষে বাম্পার ফলন হবে।
