শ্যামলবাংলা ডেস্ক : উপজেলা নির্বাচনের চতুর্থ দফায় আজ ২৩ মার্চ রবিবার ৪৩ জেলার ৯১ উপজেলায় ভোট গ্রহণশুরু হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ চলবে। নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী এলাকায় সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
এই নির্বাচনকে ঘিরে সর্বত্রই বিরাজ করছে উদ্বেগ-উত্কণ্ঠা। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় সহিংসতা বেড়ে যাওয়ার কারণে আজ অতিরিক্ত সতর্কাবস্থা গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ার জন্য শনিবার পৃথকভাবে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যালট পেপার বা বাক্স ছিনতাইয়ের চেষ্টা হলে গুলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ ছুটিতে থাকাবস্থায় গতকাল যুক্তরাষ্ট্র থেকে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। এতে তিনি রিটার্নিং অফিসার, জেলা পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসকসহ নির্বাচনী কাজে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন।
যে ৯১ উপজেলায় আজ ভোটগ্রহণ হচ্ছে সেগুলো হলো ঢাকার ধামরাই, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ, ফরিদপুর; ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু; পাবনার ঈশ্বরদী, নড়াইলের নড়াইল সদর; পিরোজপুর সদর, ভাণ্ডারিয়া, মঠবাড়িয়া ও জিয়ানগর; টাঙ্গাইলের কালিহাতী, মধুপুর, নাগরপুর ও ভূঞাপুর; হবিগঞ্জের সদর, নবীগঞ্জ, আজমিরীগঞ্জ ও লাখাই; জয়পুরহাটের পাঁচবিবি; রাজশাহীর তানোর, বাগমারা ও পুঠিয়া; কুষ্টিয়ার দৌলতপুর; পটুয়াখালীর সদর, দুমকী, বাউফল, গলাচিপা ও মির্জাগঞ্জ; ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া, নাসিরনগর; কুমিল্লার মেঘনা ও বরুড়া; চাঁদপুরের শাহরাস্তি; ফেনীর সোনাগাজী ও ফুলগাজী; দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ ও ফুলবাড়ী; খুলনার তেরখাদা, রূপসা, বটিয়াঘাটা, দাকোপ ও ফুলতলা; যশোরের সদর ও কেশবপুর, সাতক্ষীরার কলারোয়া, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ, বাগেরহাট মোল্লারহাট ও চিতলমারী; বরিশালের আগৈলঝাড়া, উজিরপুর ও বানারীপাড়া; ভোলার তজুমুদ্দীন, দৌলতখান ও মনপুরা; গাজীপুরের কালিয়াকৈর; রাঙামাটির জুড়াছড়ি, সিলেট সদর ও কানাইঘাট; চট্টগ্রামের বাঁশখালী, রাউজান, ফটিকছড়ি, রাঙ্গুনিয়া, বোয়ালখালী, সাতকানিয়া ও আনোয়ারা; ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, শেরপুরের নালিতাবাড়ী, সিরাজগঞ্জের চৌহালী, মৌলভীবাজার সদর, শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ, নাটোরের বড়াইগ্রাম, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া, সুনামগঞ্জের শাল্লা ও ধর্মপাশা; চুয়াডাঙ্গার জীবননগর, ঝালকাঠি সদর, কাঁঠালিয়া, নলছিটি ও রাজাপুর, বগুড়ার গাবতলী, নেত্রকোনা, মদন, কিশোরগঞ্জ, ভৈরব, ইটনা, মিঠামইন, তাড়াইল ও কটিয়াদী; বরগুনার বেতাগী; কক্সবাজারের রামু ও কুতুবদিয়া এবং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি।
চতুর্থ ধাপে ৪৩ জেলার ৯১ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩শ ৮৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪শ ৮৫ ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩শ ১২ জন লড়ছেন। এই ৯১ উপজেলায় এক কোটি ৩৮ লাখ ৫৯ হাজার ২শ ৭৮ ভোটার। এর মধ্যে পুরুষ ৬৯ লাখ ৭ হাজার ৯শ ৫৬ ও নারী ৬৯ লাখ ৫১ হাজার ৩শ ২২ জন। মোট ভোটকেন্দ্র পাঁচ হাজার ৮শ ৮২টি। প্রিসাইডিং অফিসার পাঁচ হাজার ৮শ ৮২ জন। ভোটকক্ষ ৩৭ হাজার ৩শ ৩৮টি।