ভোলা প্রতিনিধি : ভোলার দৌলতখানে ভোটারদের ভোট প্রদানে বাধা ও প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও সতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় ১০জন আহত হয়েছে ।
রোববার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার ফকিরবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
এতে কমপক্ষে ১০জন আহত হয়েছেন। আহতদের নামপরিচয় তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। পরে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভোলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। এদিকে ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় বিএনপির বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম মোস্তাফা মিন্টু, দৌলতখানে বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মুন্সী জহিরুল ইসলাম ও মনপুরায় জামায়াত সমর্থিত ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মো.রফিকুল ইসলাম ভোট বজর্ন করেছেন।
রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভোটকেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার, জাল ভোট দেওয়া ও এজেন্টদের মারধরের অভিযোগে এ ভোটবর্জনের ঘোষণা দেন তারা। অন্যদিকে তজমুদ্দিন উপজেলায় বিএনপির বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম মোস্তফা মিন্টু মোবাইল ফোনের মাধ্যমে, মনপুরার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মো.রফিকুল ইসলাম উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ও দৌলতখানের চেয়ারম্যান প্রার্থী মুন্সী জহিরুল ইসলাম উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের ঘোষণা করেন।
এবং ভোলার মনপুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও এক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। সকাল পৌনে ১১টার দিকে মনপুরা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তারা।
নির্বাচন বর্জনকারী প্রার্থীরা হলেন- চেয়ারম্যান প্রার্থী শামছুদ্দিন বাচ্চু চৌধুরী (বিএনপি), রাকিব চৌধুরী (স্বতন্ত্র) ও রাজিব চৌধুরী (স্বতন্ত্র) এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ইয়াসমিন জাহান মিনু (স্বতন্ত্র)।
ভোটকেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার, এজেন্টদের মারধর ও জালভোট দেওয়ার অভিযোগে তারা ভোট বর্জন করেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান। অপর দিকে ভোলার দৌলতখান উপজেলায় জাল ভোটের অভিযোগে আওয়ামী লীগ সমর্থিত বিদ্রোহী প্রার্থী মামুনুর রশিদ বাবুল চৌধুরী ভোট বর্জন করেছেন।
রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।
তিনি অভিযোগ করেন, সকাল ১১টা পর্যন্ত কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ চলছিল। এর পর থেকে কেন্দ্রে জাল ভোট পড়ে। এসময় তিনি পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি জানান।
জেলা রিটার্নিং অফিসার আবু সাইদ জানান, তিনি এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাননি। ভোট বর্জনের বিষয়টিও কেউ জানায়নি। নির্বাচন বর্জনের বিষয়টি প্রার্থীদের পক্ষ থেকে কেউ লিখিতভাবে আমাদের জানানো হয়নি।
তবে দৌলতখান উপজেলা নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, দৌলতখানের চেয়ারম্যান প্রার্থী মুন্সী জহিরুল ইসলামের কাছ থেকে ভোট বর্জনের আবেদন পত্র পেয়েছি।