কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : চতুর্থ দফা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার মধ্য দিয়ে আজ ২৩ মার্চ রবিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ভোট গ্রহণ। এতে চরম আতংক ও অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী, কর্মী, সমর্থক ও ভোটাররা। সরকার দলীয় সংসদ সদস্যের সশস্ত্র কর্মী বাহিনী বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে বিএনপি সমর্থিত ভোটার, নেতা ও কর্মীদের ভোট কেন্দ্রে যেতে নিষেধ করেছে। ভোট কেন্দ্রে গেলেও এমপি সমর্থিত আওয়ামলীগ প্রার্থীকে ভোট দিতে বলা হয়েছে। না দিলে ভোটের পরে দেখে নেয়ারও হুমকি দেয়া হয়েছে। ফলে তারা নিরাপত্তা ও অনিশ্চয়তার বেড়াজালে বন্দী হয়ে ভোট কেন্দ্রে যাবে কি না তা নিয়েও চরম সংশয়ে রয়েছে। একতরফার নির্বাচন করতে এমপি ও তার দলবল ইতিমধ্যে বিএনপি ও জাসদ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রচার মাইক, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল ও অফিস ভাংচুর করেছে। পিটিয়ে ও গুলি করে আহত করা হয়েছে অন্তত ২০জন বিএনপি কর্মীকে। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ আতুব্বর মন্ডলের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানাগেছে। আর এ আতংক ছড়িয়ে পড়েছে দৌলতপুরের ১৪ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ও পাড়া মহলাসহ সর্বত্র। এদিকে উদ্বেগ উৎকন্ঠার মধ্য দিয়ে এমপি সমর্থিত আওয়ামীলীগ প্রার্থী বাদে সব প্রার্থীই তাদের প্রচার প্রচারনা শেষ করেছে। এ উপজেলায় ৬ জন চেয়ারম্যান ও ১০ জন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ মোট ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও শেষ মূহুর্তে আওয়ামলীগের এক প্রার্থী রেজওয়ানুল হক রেজু ভোটের লড়াই থেকে সরে দাড়িয়েছেন। আগামীকালের নির্বাচনে ১২৬ টি ভোট কেন্দ্রের ৮৯৭টি বুথে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মোট ভোটার সংখ্যা রয়েছে ৩ ল ৫ হাজার ৮০৮ জন। এরমধ্যে পুরুষ সংখ্য ১ ল ৫১ হাজার ৭৬৪ জন এবং মহিলা ১ ল ৫৪ হাজার ৪৪জন। আর এ নির্বাচনে যে সব প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, এরা হলেন চেয়ারম্যান পদে বিএনপি সমর্থিত শহিদুল ইসলাম সরকার (দোয়াত-কলম), আওয়ামলীগ এমপি সমর্থিত ফিরোজ আল মামুন (হেলিকপ্টার), শেষ মূহুর্তে বসে যাওয়া রেজওয়ানুল হক রেজু (মোটরসাইকেল), জাসদ সমর্থিত শরিফুল কবীর স্বপন (কাপ-পিরিচ), জাতীয় পার্টি সমর্থিত আলী আকবর (টেলিফোন) ও বিএনপি’র বিদ্রোহী নুরুজ্জামান হাবলু মোলা (আনারস)। এছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামলীগ দলীয় ফারুক আহমেদ (টিউবয়েল) ও ময়েন উদ্দিন (চশমা), ্িবএনপি দলীয় আরিফুল ইসলাম নান্নু (উড়োজাহাজ) ও মাহবুবুর রহমান (বাল্ব), জাতীয় পার্টির দেলোয়ার হোসেন (তালা), স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল জলিল (টিয়া) এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ্িবএনপি দলীয় মাহমুদা খাতুন (ফুটবল) ও রুকসানা আলম (হাঁস) এবং আওয়ামলীগ দলীয় ইকফাত আরা জলি (কলস) ও ফজিলাতুননেছা (বৈদুতিক পাখা) প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন। আর এ নির্বাচন অবাঁধ ও সুষ্ঠ করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ইতিমধ্যে সেনা বাহিনীর সদস্যরা গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে টহল শুরু করেছেন। এবিষয়ে দৌলতপুর সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোকতার হোসেন জানান, নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সেই সাথে শান্তিপূর্ন ও সুষ্ঠ নির্বাচন সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতিও গ্রহণ করা হয়েছে।