ভোলা প্রতিনিধি : ভোলার দৌলতখান, মনপুরা ও তজুমদ্দিনে উপজেলা পরিষদের শেষ মুহুর্তে প্রচারণা শেষ। এখন চলছে ভোট গ্রহণের সর্বশেষ প্রস্তুতি।
নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণের লক্ষে ৫ স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। মাঠে থাকছে পুলিশ, র্যাব, নৌ বাহিনী, কোস্টগার্ড ও র্যাব। ৩ উপজেলার ৯৩টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৬২টি ভোটকেন্দ্রকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থীরা ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা জন্য নানা প্রতিশ্রুতি দিলেও সাধারণ ভোটারা চাচ্ছেন এলাকার উন্নয়ন।
জানা গেছে, জেলার ৭টি উপজেলার মধ্যে ইতোমধ্যে ৪টি উপজেলার নির্বাচন শেষ হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত হচ্ছে দৌলতখান, মনপুরা ও তজুমদ্দিন উপজেলা পরিষদের নির্বাচন।
এসব উপজেলা থেকে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ৩৩ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১২ প্রার্থীর মধ্যে আ’লীগ সমর্থিত ৬ প্রার্থী এবং বিএনপি সমর্থিত ৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
জয়ের ব্যাপারে প্রার্থীরা আশাবাদী থাকলেও নদী ভাঙন, দস্যুতা রোধ, নারী শিক্ষার উন্নয়নসহ নানামুখী উন্নয়ন করতে যিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে তাকেই ভোটাররা চাইছেন। তবে, নির্বাচন নিয়ে আতঙ্কের কথাও প্রকাশ করছেন কেউ কেউ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, একটি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত দৌলতখান উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা এক লাখ ৬৬ হাজার ৩১ জন। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা হলেন- মঞ্জুররুল আলম খান (আ’লীগ), মামুনুর রশিদ বাবুল, (আ’লীগ-বিদ্রোহী), জহুরুল ইসলাম খুশবু (বিএনপি) ও শেখ ফরিদ (স্বতন্ত্র)।
তবে, চেয়ারম্যান পদে আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে। এ উপজেলার ৪২টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৯টি কেন্দ্রে ঝুঁকিপূর্ণ। অন্যদিকে, ৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত তজুমদ্দিন উপজেলায় ৭৪ হাজার ১৯৮ জন। এ উপজেলা থেকে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন ও নারী চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যানর পদের প্রার্থীরা হলেন- অদিদ উল্যাহ জসিম (আ’লীগ), ফকরুল আলম জাহাঙ্গির (আ’লীগ-বিদ্রোহী), অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম বাছেদ (বিএনপি), গোলাম মোস্তফা মিন্টু (বিএনপি-বিদ্রোহী), মোস্তাফিজুর রহমান বিএনপি-বিদ্রোহী)।
এ উপজেলায় উভয় দলেই একাধিক বিদ্রাহী প্রার্থী রয়েছে। উপজেলার ৩১টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৫টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ।
ভোলার মূল-খণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরার ৪ ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা ৪৪ হাজার ৯৬৮ জন। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ প্রার্থী লড়লেও মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে সেলিনা আক্তার চৌধুরী (আ’লীগ), সামসুদ্দিন বাচ্চু চৌধুরী (বিএনপি) মধ্যে। এ উপজেলার ২০টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১৮টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ।
নির্বাচনকে ঘিরে প্রশাসনের নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার কথা জানিয়ে ভোলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণের লক্ষে প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।
জেলা রিটার্নিং অফিসার আবু সাঈদ বাংলাউজকে জানান, ভোট গ্রহণের লক্ষে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। নির্বাচনী সামগ্রী পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।