বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি : সরকারি সিদ্ধান্তে সম্প্রতি বাংলাদেশি শ্রমিকরা মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমিয়ে সে দেশের কোম্পানির প্রতারণার শিকার হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। সে দেশে কর্মরত কোম্পানিতে চুক্তি মোতাবেক শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরিতো পাচ্ছে না উল্টো এ নিয়ে কথা বললে কোম্পানির লোকজন তাদের উপর শারীরিক নির্যাতনও চালাচ্ছে। নিযুক্ত শ্রমিকরা বাংলাদেশি দূতাবাসে চুক্তিভিত্তিক ন্যায্য মজুরি না পেয়ে অভিযোগ করলেও এ যাবত দূতাবাস কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় তারা সেখানে মানবেতর দিন যাপন করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা থেকে যাওয়া মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত কয়েকজন শ্রমিক। শ্রমিকরা মুঠোফোনে ইতোমধ্যে তাদের পরিবারের লোকজনের মাধ্যমে বালিয়াডাঙ্গী প্রেস ক্লাবে কর্মরত সংবাদ কর্মীদের তাদের দুঃখ-দুর্দশার কথা বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মিডিয়ায় প্রকাশের অনুরোধ জানান।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানির জন্য চুক্তি মোতাবেক বাংলাদেশ সরকার লটারির মাধ্যমে জনবল প্রেরণের সিদ্ধান্ত নেয়। সে প্রেক্ষিতে বিভিন্ন দফায় দেশের বহু সংখ্যক শ্রমিক সরকারের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমায়। ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার লটারি বিজয়ী বেশকিছু শ্রমিক গত ১০ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার টাং জেলা শহরের লাদাং কসমা কপারাশী কো. লিলিমিটেড-এ চুক্তিভিত্তিক কাজে যোগ দেয়। সে দেশের ওই কোম্পানির চুক্তি মতে দৈনিক ৮ ঘন্টা পরিশ্রমের বিনিময়ে মাসিক ৯৫০ মালয়েশিয়ান ডলার পরিশোধের কথা থাকলেও কোম্পানি ১৮৫ মালয়েশিয়ান ডলার পরিশোধ দিচ্ছে। উল্টো ৮ ঘন্টা পরিশ্রমের স্থলে কোম্পানি তাদের ১৩ ঘন্টা শ্রমিক হিসেবে খাটিয়ে নিচ্ছে। প্রতিবাদ করলেই তাদের উপর নেমে আসে কোম্পানির অমানবিক নির্যাতন। ন্যায্য মজুরি ও নির্যাতনের বিষয়ে সেখানে কর্মরত শ্রমিকরা বাংলাদেশ দূতাবাসে অভিযোগ করার পরেও কোন কাজ হয় নি। উপায়ান্তর না পেয়ে শ্রমিকরা মুঠোফোনে বিষয়টি তাদের পরিবারের মাধ্যমে স্থানীয় সাংবাদিকদের বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মিডিয়ায় প্রচারের অনুরোধ জানান।
শ্রমিকদের পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি হস্তক্ষেপের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা কামনা করেছেন।