ads

শনিবার , ২২ মার্চ ২০১৪ | ৩রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

পেকুয়ায় চোরের বিচার করতে গিয়ে ছাত্রলীগ নেতার তোপের মুখে বঙ্গবন্ধু পরিষদ সভাপতি

রফিকুল ইসলাম আধার , সম্পাদক
মার্চ ২২, ২০১৪ ১:০৮ অপরাহ্ণ
পেকুয়ায় চোরের বিচার করতে গিয়ে ছাত্রলীগ নেতার তোপের মুখে বঙ্গবন্ধু পরিষদ সভাপতি

পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি : পেকুয়ায় চুরির অপরাধে এক যুবলীগ নেতার বিচার করতে গিয়ে ছাত্রলীগ নেতার তোপের মুখে পড়ে দু’দফা অবরোদ্ধতার শিকার হয়েছে পেকুয়া উপজেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান। মোস্তাফিজকে অবরোদ্ধতা থেকে মুক্ত করতে দু’পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছে। ২১ মার্চ সকাল ৯ টা থেকে ১২টার মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

Shamol Bangla Ads

প্রত্যক্ষদর্শী ও অবরোদ্ধতার শিকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ১৮ মার্চ দিবাগত রাত ১১টার দিকে পেকুয়া সদরের মৌলভী পাড়ার বাসিন্দা জসিম উদ্দিনের কাছ থেকে একই এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে ৪/৫টি মামলার পলাতক আসামী যুবলীগ কর্মী রবিউল আলম রবু ৫শ টাকা ও মোবাইল কড়ে নেয়। এঘটনায় স্থানীয় সমাজ কমিটিতে বিচার দিলে সমাজ কমিটির সম্পাদক ও সাবেক পেকুয়া উপজেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান কমিটির অন্যান্য প্রতিনিধিদের নিয়ে শালিসের মাধ্যমে রবুকে টাকা ও মোবাইল জসিমকে ফেরত দিতে নির্দেশ দিলে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের ছোট ভাই উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন সম্পাদক ফোরকান রবুর বিচার করার অপরাধে ২০ মার্চ দিবাগত রাত ২টা পর্যন্ত মোস্তািিফজকে আটকে রাখে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে পরে মোস্তাফিজের আত্মীয় স্বজন সহ আওয়ামীলীগ নেতা আবুল কাশেমের হস্তক্ষেপে মোস্তাফিজকে অবরোদ্ধতা থেকে মুক্ত করে। পরের দিন ২১ মার্চ সকাল ৯টার দিকে মোস্তাফিজের সাথে টুনুর ওই বিষয়ে কথা কাটা কাটির সূত্র ধরে ছাত্রলীগ নেতা ফোরকান, রবু, ইসলামের ছেলে আবুল শামা ও জামাল হোসেনের ছেলে নুরুল আলম আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আবারো মোস্তাফিজের বসতঘরে হামলা করে মোস্তাফিজকে অবরোদ্ধ করে রাখে। এসময় মোস্তাফিজের আত্মীয় স্বজনরা ও ফোরকানের লোকজনের সাথে দফায় দফায় হামলা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা ফোরকান গ্রæপের হামলায় নুরুল আমিন ও তার ছেলে মিজান গুরুতর আহত হয়। মোস্তাফিজ গ্রæপের লোকেরা হাতুড়ি দিয়ে ফোরকানের ভাই আবুল হাসেম টুনুকে বেধড়ক পিঠিয়ে আহত করে। আহতদের পেকুয়া সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় বঙ্গবন্ধু পরিষদ নেতা মোস্তাফিজের বসতঘর ও টেংরা সহ কয়েকটি বসতঘরের টেংরা ভাংচুর ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরে আওয়ামীলীগ নেতা আবুল কাশেমের হস্তক্ষেপে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ পরিস্থিতি শান্ত করার আপ্রাণ চেষ্টা চালায়। পরে প্রায় দুপুর ১২টার দিকে পেকুয়া থানার এস.আই.রেজাউল করিম চৌধুরী ও এস.আই মকবুল পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সমর্থ হয়। এব্যাপারে পেকুয়া থানার এস.আই রেজাউল করিম চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। স্থানীয় লোকজন বলেন, দু’পক্ষই সরকার দলীয় হওয়ায় কেউ কাউকে ছাড় না দেয়ার বিষয়ে অনড় থাকায় এখনও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
প্রেরক

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!