ভোলা প্রতিনিধি : ভোলায় তৃতীয় ধাপে দৌলতখান, তজুমদ্দিন ও মনপুরা উপজেলা নির্বাচনের আর মাত্র কয়েক ঘন্টা বাকি আছে। গতকাল শুক্রবার মধ্য রাত থেকে নির্বাচনী প্রাচারণা বন্ধ হয়ে গেছে। তবে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে কেন্দ্রে যাওয়ার বিষয়ে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিশেষ করে দৌলতখান উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের শক্ত দুই প্রার্থী থাকায় সেখানে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। দৌলতখান আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ বাবুল চৌধুরীর অভিযোগ হামলা মামলা দিয়ে তার কর্মী সমর্থক ও এজেন্টদেরকে এলাকা ছাড়া করা হচ্ছে।
গতকাল শুক্রবার নির্বাচনের প্রচারণার শেষ দিন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিদ্রোহী প্রার্থী মানুনুর রশিদ বাবুল চৌধুরী বলেন, দৌলতখান উপজেলায় নির্বাচনের কোন পরিবেশ নেই। ৪২টি কেন্দ্রের সব কয়টিকেই চরম ঝুকিপূর্ণ। তিনি অভিযোগ করেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল আচরণ বিধি লংঘন করে এসব কাজ করছেন। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সাংসদ মুকুল বলেন, মামুনুর রশিদ বাবুল চৌধুরী উল্টাপাল্টা অভিযোগ করছেন।
দৌলতখান উপজেলায় আওয়ামী লীগের সাাধারণ সম্পাদক বিদ্রোহী প্রার্থী মামুনুর রশিদ বাবুল তার বিজ বাড়িতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী মঞ্জুতার আলম খানের পক্ষে পুলিশ প্রশাসন কাজ করছে। মঞ্জুর আলম খানের পক্ষে দায়ের করা মামলায় তার আত্মীয় স্বজনসহ আওয়ামী লীগের ২৫০ নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে। অথচ তার পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলা পুলিশ গ্রহণ করছে না। এমন কি মামলা ছাড়াই পুলিশ গভীর রাতে তার কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে হানা নিয়ে তল্লাশীর নামে হয়রানী করছে। কন্দ্র ভিত্তিক দার নির্বাচনী সমন্বয়কারীদেরকে মারধর করে উল্টো পুলিশ দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত তার ৪০ জন কর্মী আহত হয়েছেন। বাবুল চৌধুরী বর্তমান পরিস্থিতিকে ২০০১ সালের বিএনপি আমলের যে ধরণে অত্যাচার নির্যাতন চালানো হয়েছে তার সাথে তুলনা করে বলেন, আওয়ামী লীগ করার অপরাধে কি আজ তার উপর এ ধরর্ণে অত্যাচার নির্যাতন করা হচ্ছে। অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এদিকে ভোলা-২ আসনের সাংসদ আলী আজম মুকুল তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি কোন প্রভাব বিস্তার করছেন না। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে মামুনুর রশিদ বাবুল চৌধুরীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মঞ্জুরুল আলম খান বলেন, বাবুল চৌধুরী নির্বাচনী আচরণ ভঙ্গ করছেন। তিনি গায়ে পড়ে ঝগড়া করছেন।
অপর দিকে দৌলতখানের নির্বাচনকে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার লক্ষে, গতকাল শুক্রবার বিকালে দৌলতখান উপজেলা সম্মেলন কক্ষে জরুরি নির্বাচনী আইন শৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে জেলা প্রশাসক মো: সেলিম রেজা, জেলা রিটার্নিং অফিসার আবু সাঈদ ও পুলিশ সুপার মো: মনিরুজ্জামনসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। জেলা প্রশাসক মো: সেলিম রেজা বলেন, উপজেলার নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠ ু করার জন্য প্রশাসন থেকে সব ধরণের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।