ads

শুক্রবার , ২১ মার্চ ২০১৪ | ৩০শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

হেরেও সুপার টেনে বাংলাদেশ

রফিকুল ইসলাম আধার , সম্পাদক
মার্চ ২১, ২০১৪ ২:০৫ অপরাহ্ণ

BD tশ্যামলবাংলা স্পোর্টস : হংকংয়ের ইনিংসের বয়স ১৩.১ ওভার হতেই জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম যেন স্বস্তি নিঃশ্বাস ফেলল, সঙ্গে পুরো বাংলাদেশও। জায়ান্ট স্ক্রিনে ভেসে উঠল ‘বাংলাদেশ দ্বিতীয় পর্বে’। তবে স্বস্তির সঙ্গে লজ্জা নিয়েও বাড়ি ফিরতে হয়েছে স্বাগতিকদের। আইসিসির সহযোগী সদস্য হংকংয়ের কাছে ২ উইকেটে পরাজয়ের লজ্জা, যা কি-না টি২০ বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অঘটনও। এমন হারের পর দ্বিতীয় পর্বে মাথা তুলে দাঁড়ানোর মতো শক্তি থাকবে তো বাংলাদেশের!
এমন ব্যাট করলে এই প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। অথচ টি২০ বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো ব্যাটিংয়ের সুযোগ এসেছিল। অনেকে আবার একটু আগ বাড়িয়ে সুপার টেনের আগে অনুশীলন বলেও ম্যাচটিকে চালিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নেওয়ার বদলে হারিয়ে ফেললেন ব্যাটসম্যানরা। মাত্র ২৭ রানে শেষ ৭ উইকেটের পতন হয়। কুড়ি ওভার ব্যাটিং পর্যন্ত করতে পারেননি তারা। বোলারদের কৃতিত্বে ম্যাচ শেষ ওভারে গড়ালেও ব্যাটসম্যানরা কি দায় এড়াতে পারবেন! এর পরও রক্ষা, টুর্নামেন্ট থেকে যে আউট হতে হয়নি। আগের দুই ম্যাচে জয় এবং রানরেটটা ভালো থাকায় কোনোমতে টিকে থাকা গেছে। হংকং যদি ১৩.১ ওভারে এ রান তাড়া করে ফেলত, তাহলে কিন্তু সব কূলই হারাতে হতো। নেপাল চলে যেত দ্বিতীয় পর্বে। অবশ্য যেভাবে রাজ্জাক, আল-আমিনরা বোলিং শুরু করেছিলেন তাতে মনে হচ্ছিল, আরও আগে বুঝি কাজ শেষ করে দেবে হংকং। তবে সাকিবের জন্য সেটা সম্ভব হয়নি। দ্বিতীয় ওভারে সাকিবকে বোলিংয়ে নিয়ে আসেন অধিনায়ক। বাঁহাতি এ স্পিনারকে দিয়ে টানা চার ওভার বল করিয়ে টুর্নামেন্টে টিকে থাকাটা নিশ্চিত করা হয়। চার ওভারের স্পেলে মাত্র ৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে সাকিব শুধু টিকে থাকাই নিশ্চিত করেননি, কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছিলেন হংকংকে। অবশ্য প্রথম ওভারে আল-আমিন ফিরতি ক্যাচ না ফেললে এবং রাজ্জাকের বলে থার্ডম্যানে আরও একটি ক্যাচ রুবেলের হাত না ফসকালে আরও আগেই চাপে পড়ে যেত হংকং। এর পর রিয়াদের দুই উইকেট কিছুটা আশা জেগেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়।
তামিম ইকবালের ছিল জন্মদিন। তার ওপর নিজের মাঠ। জন্মদিনকে স্মরণীয় করে রাখার এর চেয়ে ভালো সুযোগ আর পেতেন না তিনি। কিন্তু কী করলেন তামিম। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই অদ্ভুতভাবে ব্যাট চালিয়ে বোল্ড হয়ে এলেন। তামিম শুধু নিজের জন্মদিনটিকেই মাটি করেননি, বাংলাদেশের বিশ্বকাপকে ধূসর করে দিয়েছেন। ওই ওভারের শেষ বলে এলবির ফাঁদে পড়েন তিন নম্বরে আসা সাব্বির রহমানও। তবে তৃতীয় উইকেটে সাকিব ও এনামুল শক্ত হাতেই হাল ধরেছিলেন। শুরুর বিপর্যয় কাটানোর সঙ্গে রানরেটও চাঙ্গা করে তুলেছিলেন তারা দু’জন। পাওয়ার প্লের শেষ স্পিনার নাদিমকে টানা তিনটি চার মারার পর সম্ভবত জোশে পেয়ে বসেছিল এনামুল হক বিজয়কে। টানা চতুর্থ চারের আশায় ওভারের শেষ বলটিতেও মেরেছিলেন বিজয়। কিন্তু বোলার নাদিম বলটা একটু টেনে দেন। বল বিজয়ের ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় স্টাম্পে। এর পরও দলের অবস্থা খারাপ ছিল না। পাওয়ার প্লের ছয় ওভার শেষে রান ৩ উইকেটে ৫১। বিজয় আউট হওয়ার পর সাকিব ও মুশফিক একটু দেখে-শুনে খেলছিলেন। কিন্তু একাদশ ওভারে সাকিব আউট হওয়ার পরই শুরু হয় আত্মহত্যার মিছিল। অধিনায়ক মুশফিক, অভিজ্ঞ মাহমুদুল্লাহদের যেন কী এক অজানা রোগে পেয়ে বসে। প্রতি ওভারে উইকেট হারাতে থাকে। এর মাঝে ১৪ নম্বর ওভারে ফরহাদ রেজা ও আবদুর রাজ্জাক পরপর দুই বলে আউট হয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন। স্পিনার নিজাকাত খানকে হ্যাটট্রিক বঞ্চিত করলেও পরের ওভারে ঠিকই সাজঘরের পথ ধরেন রুবেল। অপর প্রান্তে স্বীকৃত ব্যাটসম্যান নাসির থাকার পরও বিগ হিটে যান আল-আমিন এবং ক্যাচ দিয়ে আসেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ১৬.৩ ওভারে ১০৮ (তামিম ০, এনামুল ২৬, সাব্বির ২, সাকিব ৩৪, মুশফিক ২৩, নাসির ১৪*, ফরহাদ ০, রাজ্জাক ০, রুবেল ০, আল-আমিন ১; নাদিম ৪/২১, নিজাকাত ৩/১৯, তানভীর ২/২৪, ইরফান ১/১৭)
হংকং: ১৯.৪ ওভারে ১১৪/৮ (ওয়াকাস ০, ইরফান ৩৪, অ্যাটকিনসন ৭, চ্যাপম্যান ৫, বাবর ১, নিজাকাত ১২, মুনির ৩৬, তানভীর ০, আমজাদ ১২*, নাদিম ২*; সাকিব ৩/৯, মাহমুদুল্লাহ ২/১৩, সাব্বির ১/৩, আল-আমিন ১/২৬, রাজ্জাক ১/৩১)
ম্যাচ সেরা: নাদিম আহমেদ

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!