ভোলাহাট (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার বজরাটেক সবজা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস শুকুর ও সভাপতি আফরাজুল হক বাবুর বিরুদ্ধে শাস্তির রায় হলেও রহস্যজনক কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিরব ভূমিকায় হতাশ এলাকাবাসি।
স্কুল সূত্র জানায়, স¤প্রতি প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি ম্যানেজিং কমিটির অন্যান্য সদস্যদের চোখের আড়ালে নানা দূনীর্তি, অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাত, প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনায় জড়িয়ে পড়লে তাদের মধ্যে চাপা উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ পর্যায়ে ম্যানেজিং কমিটির দফায় দফায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হলে সমাধান করতে না পারায় নিজেদের মধ্যে অডিট কমিটির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে দূনীর্তি অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি প্রমাণ হলে জুড়ি বোর্ড তৈরী করে প্রধান শিক্ষককে অর্থ দন্ডে দন্ডিতসহ এক দিনের বরখাস্ত করলেও পার পেয়ে যান সভাপতি। বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকদের দৃষ্টিগোচর হলে দেশের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ফলাও করে সংবাদ প্রচার হলে স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি কাড়ে। প্রশাসন স্ব-উদ্যোগে তদন্ত কমিটি গঠন করে তাদের বিরুদ্ধে অপরাধের সকল তথ্য প্রমাণ কমিটির কাছে মেলে। তদন্ত কমিটি তাদের পাওয়া তথ্য প্রমাণসহকারে প্রতিবেদন প্রদান করলে সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিভিন্ন দপ্তরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনিক ভাবে প্রেরণ করা হয়। প্রেক্ষীতে ২৭ ফের্রুয়ারী বাংলাদেশ সচিবালয়ের সিনিয়ার সহকারী সচিব কাউসার নাসরীনের স্বাক্ষরীত প্রধান শিক্ষক আব্দুস শুকুরের দূনীর্তি, অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাত করায় এমপিও স্থগিত/বাতিলের নিদের্শ দিয়ে ঢাকা শিক্ষা ভবন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে পত্র প্রেরণ করেন। অপর দিকে একই সময় তিনি রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানকে সভাপতি আফরাজুল হক প্রশাসনিক ও আর্থিক অনিয়ম, অব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত থাকায় তার সদস্য পদ থেকে বাতিল করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নিদের্শ প্রদান করেন। প্রত্যেকটি চিঠির অনুলিপি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর প্রেরণ করা হয়। চিঠি প্রেরণের পরও নিদের্শনা বাস্তবায়ন না হওয়ায় ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসি ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা চরম হতাশায় পড়েছেন এবং দ্রুত নিদের্শ বাস্তবায়ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানিয়েছেন।