শ্যামলবাংলা ডেস্ক : জিয়া অরফানেজ ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন নিম্ন আদালত। ১৯ মার্চ বুধবারই এর আগে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য সময় চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের করা আবেদন নামঞ্জুর করেন ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালত।
![Shamol Bangla Ads](https://shamolbangla24.com/wp-content/uploads/2024/01/Ad-1-scaled.jpg)
অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য বুধবার দুপুর ১টার দিকে সাদা রঙের একটি মাইক্রোবাসে আদালত প্রাঙ্গণে পৌঁছান সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। এরপর তিনি ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে যান। শুনানি শুরুর আগেই খালেদা জিয়ার পক্ষে সময় আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। আদালত ওই আবেদন নামঞ্জুর করেন। এসময় খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা হট্টগোল শুরু করলে এজলাস কক্ষ ত্যাগ করেন বিচারক বাসুদেব রায়। বিচারক বাসুদেব এজলাস কক্ষ ত্যাগের পর খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তার প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিচারকের এজলাসের দুপাশে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। খালেদা জিয়া তখন আদালত প্রাঙ্গণে ছিলেন।
খালেদা জিয়ার মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি উপলক্ষে আদালত প্রাঙ্গণে নেওয়া হয় বিশেষ নিরাপত্তা। মোতায়েন ছিল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য। আশপাশের এলাকায় যানবাহন চলাচলে শর্তারোপ করা হয়। এদিকে সকাল থেকেই ওই এলাকায় বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে। ভিড় করেন বিএনপি ও সমমনা সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরাও।
দুদকের বিশেষ পিপি মোশারফ হোসেন কাজল মঙ্গলবার জানান, খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জিয়া অরফানেজ ও চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ সংগ্রহ করেছেন। দীর্ঘ বিলম্বিত এ মামলা দুটিতে প্রতিবারই হাইকোর্টে সময় চাওয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত বিভিন্ন কারণে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ৪১ বার ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ১১ বার খালেদা জিয়ার পক্ষে সময় আবেদন করা হয়েছে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি আদালত খালেদা জিয়াকে হাজির হতে শেষ সময় বেঁধে দিয়েছিলেন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী ও তার তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। তবে হারিছ চৌধুরী এ মামলায় শুরু থেকেই পলাতক। অন্যরা জামিনে আছেন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে বিদেশ থেকে আসা দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলাটি দায়ের করা হয়। এ মামলায় গত বছর ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। মামলাটিতে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। দুটি মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক হারুনুর রশীদ।
![](https://shamolbangla24.com/wp-content/uploads/2023/11/final01.gif)