শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় বিএনপি-জামায়াতের হুড়োহুড়িতে ফাঁকা মাঠে গোল করেছে আওয়ামী লীগ। ১৫ মার্চ শনিবার তৃতীয় দফায় অনুষ্ঠিত শ্রীবরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আশরাফ হোসেন খোকা চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেছেন।
শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাচনের মাঠে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ছাড়াও একজন বিদ্রোহী প্রার্থী এবং জামায়াতের প্রার্থী সহ মোট ৩ জনের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ‘বল’ নিয়ে হুড়াহড়ির সুযোগ নিয়ে গোল করে বসে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী। এদিকে, নির্বাচনী খেলায় নিজ দলের বিপরীতে আত্মঘাতি গোল করার অভিযোগ উঠেছে জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক ও শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতি আসনের সাবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেলের বিরুদ্ধে।
নির্বাচনী ফলাফলে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের প্রার্থী আশরাফ হোসেন খোকা ২৮ হাজার ৭২২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। অপরদিকে, বিএনপি প্রার্থী আব্দুর রহিম দুলাল ২৫ হাজার ৭২৯ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় ও জামাতের মোহাম্মদ নূরুজ্জামান বাদল ২৩ হাজার ২১৬ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন। বিএনপি’র অপর বিদ্রোহী প্রার্থী সুরুজ্জামান ৩ হাজার ৯১৮ ভোট পেয়েছেন। ভোট পর্যালোচনায় দেখা যায়, বিএনপির দুই প্রার্থী ও জামায়াত মিলে মোট পেয়েছেন ৫২ হাজার ৮৬৩ ভোট, অর্থাৎ আওয়ামী লীগের বিজয়ী প্রার্থীর প্রায় দ্বিগুন।
অপরদিকে বিএনপি সমর্থিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক ভাবে মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন ২৯ হাজার ৮১০ ভোট এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লিপি বেগম রেকর্ড সংখ্যক ৬৩ হাজার ৫৯৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
শ্রীবরদী উপজেলা বিএনপি’র তৃলমূল নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, বিএনপি ও জামায়াত প্রার্থীদের মাধ্যে একটি সমন্বয় করতে পারলে বিএনপি প্রার্থীর জয় একেবারে নিশ্চিত হতো। কিন্তু ওই আসনে রুবেলের সমকক্ষ হয়ে কেউ যাতে করে পরবর্তিতে এমপি মনোনয়ন চাইতে না পারে তার জন্যই দল ও জামায়াতের মধ্যে আন্তরিকতার সাথে মিমাংসার চেষ্টা করেননি জেলা বিএনপি সাধারন সম্পাদক ও সাবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেল। বরং রুবেলের অনুসারি নেতারা বিভক্ত হয়ে তিন প্রার্থীর প্রচারনায় প্রকাশ্যে অংশগ্রহন করলেও রহস্যজনক কারণে দলীয় কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে তৃণমূলের ওইসব নেতা-কার্মীরা অভিযোগ করেছেন।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক রুবেল তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জামায়াতের সাথে কয়েকবার বসেও কোন ফল হয়নি। আর বিএনপির অপর বিদ্রোহী প্রার্থী সুরুজ্জামনের দলীয় কোন পদ নেই। তবে তিনি বিএনপির সমর্থক।