কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : এলেন গাইলেন আর লাখো মানুষের মন জয় করলেন ক্লোজআপ ওয়ান তারকা লালনকণ্যা বিউটি। কুমারখালীর ছেঁউড়িয়ায় লালনের আখড়াবাড়ীতে পাঁচদিনব্যাপী লালন স্মরণোৎসব এর ৩য় দিনে লালন মঞ্চে সঙ্গীত পরিবেশন করেন তিনি। এর আগে ফকির লালন শাহের জীবন ও দর্শন নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন আলোচকরা।
তারপরই লালন সঙ্গীতের আসরে সঙ্গীত পরিবেশন করেন লালন একাডেমির শিল্পীরা।
পরে রাত ১টা বাজার কিছু সময় আগে লালন মঞ্চে ওঠেন লালন কণ্যাখ্যত শিল্পী বিউটি। এরপর শুরু হয় হেলায় হেলায় দিন চলে যায়,কৃষ্ণ প্রেমে পোড়া দেহ, সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে সহ মোট ৮টি গান পরিবেশন করেনি তিনি।
এর আগে বিউটি রাত সাড়ে ১১টার দিকেব লালন একাডেমিতে হাজির হন। এ সময় তিনি এক সাক্ষাৎকারে বিউটি বলেন, এই লালন একাডেমিই আমাকে আজকের এই ক্লোজআপ ওয়ান তারকা বিউটি বানিয়েছে। আমাকে না ডাকলেও আমি এখানে ছুটে আসার চেষ্টা করি। আমি সারাজীবন লালনের গান গেয়ে শোনাতে চায়। জানাতে চাই লালনের সেই মর্মগাথা বানীর সুর।
বর্তমান ব্যস্ততা, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আজ মুখোমুখি কথা হয় ক্লোজআপ ওয়ান তারকা বিউটির সাথে।
তিনি বলেন, ক্লোজআপ ওয়ানের পর থেকে লালনের মাজার প্রাঙ্গনে যতগুলো আয়োজন থাকে তার সবগুলোতেই আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এই জন্যে গর্ববোধ করি। কারণ উৎসবগুলোতে যত লোক আসেন তারা সকলেই আমার গান শুনতে চান।
এরআগে কয়েক বছর এই লালন একাডেমিতে আসা হয়নি কেন এমন প্রশ্নে জবাবে বলেন এর আগের এক অনুষ্ঠানে আমি আমেরিকায় লালন সাঁইজির গান নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম এবং আরেকবার ঈদেও কারনে এখানে আসা হয়নি। তবে আমার মন এই লালন সাইঁজির আখবাড়ীতে পড়ে থাকে।
পাশ্ববর্তী চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গায় জন্ম নেয় বিউটি। আর ছোটবেলা থেকেই লালনের প্রতি একটা টান অনুভব করেন তিনি। কিন্তু লালন সংগীতশিল্পী হবো এটা কখনও ভা বেননি। তবে ক্লোজআপ ওয়ান প্রতিযোগীতায় যেদিন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল স্যার আমার নাম দিলেন লালনকন্যা, সেদিন থেকেই লালনসংগীত শিল্পী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করে আসছি।
বিউটি বলেন, গত বছর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় (ইউডা) থেকে সংগীতের উপর সম্মান শেষ করেছি। ভবিষ্যতে সংগীতের উপর উচ্চতর ডিগ্রি ও বাংলার ফোক গান নিয়ে কাজ করতে চাই। তাছাড়া সুযোগ পেলে সংগীতের উপর পিএইচডি করতে চাই। বর্তমানে আমার চতুর্থ একক অ্যালবামের কাজও এগিয়ে চলেছে। এই অ্যালবামের সবগুলো গানের সুর করছেন লুৎফর হাসান ও রাজেশ এবং সঙ্গীতায়োজন করেছেন সুমন কল্যাণ ও রাজেশ। পাশাপাশি লালনের অপ্রচলিত কিংবা যেসব গানের সঙ্গে লোকে খুব একটা পরিচিত নয়, সেরকম ১০টি গান দিয়ে একটি অ্যালবাম প্রকাশের ইচ্ছা আছে। অন্যদিকে কনসার্ট ও টিভি অনুষ্ঠানের পাশাপাশি চলচ্চিত্রের কয়েকটি গানেও প্লেব্যাক করছি।
তিনি তার সংসারধর্ম নিয়ে জানালেন, আসলে সংসারই আমার কাজের প্রেরণা জোগাচ্ছে। মূলত আমার স্বামী হাসান ফেরদৌস আহমেদ আমাকে সবসময়ই ভালো কিছু করার তাগাদা দিয়ে থাকেন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন আমাদের কুষ্টিয়া প্রতিনিধি এস এম জামাল