পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি : খুলনার পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৪ চেয়ারম্যান ও হেভিওয়েট প্রার্থীসহ জামানত হারিয়েছেন ১১ প্রার্থী। মোট প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের একভাগও না পাওয়ায় এসকল প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে সহকারী রিটানিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবির উদ্দীন জানিয়েছেন। এবারের নির্বাচনে জাতীয় নির্বাচনের প্রভাব পড়ায় হেভিওয়েট প্রার্থীদের জামানত হারানো অন্যতম কারন হিসাবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। উলেখ্য শনিবার ৩য় দফার ৪র্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ১৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন। ১ লাখ ৮৫ হাজার ৬০৩ জন ভোটারের মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন ১ লাখ ১৩ হাজার ৯৩ ভোটার, এরমধ্যে ২ হাজার ৯০৬ টি ভোট বাতিল বলে গণ্য হয়। চেয়ারম্যানপদে ৬ প্রার্থীর মধ্যে ১৯ দলীয় জোট মনোনিত বিএনপি নেতা এ্যাড. স.ম বাবর আলী ৫৯ হাজার ৩০৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। নিকটতম আ’লীগের বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রশীদুজ্জামান পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৩৭৮ ভোট, চেয়ারম্যানপদে জামানত হারানো ৪ প্রার্থী হচ্ছেন উপজেলা জাপা ও পাইকগাছা নাগরিক কমিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর ৭ হাজার ৩৪২, সিপিবি’র বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কৃষ্ণপদ মন্ডল ৪ হাজার ৭৩২, বাস্তব প্রতিষ্ঠাকরণ পার্টির জিএম আবদার রশীদ ২২৫ ও স্বতন্ত্র শেখ সোহরাওয়ার্দ্দী ২০৬, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ প্রার্থীর মধ্যে ৬০ হাজার ৪৫৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা জামায়াতের আমির মাওঃ শেখ কামাল হোসেন, নিকটতম স্বতন্ত্র ডাঃ টিকেন্দ্র নাথ মন্ডল ৩৫ হাজার ১৫৬, ভাইস চেয়ারম্যানপদে জামানত হারানো প্রার্থীরা হচ্ছেন আ’লীগের স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মোঃ মুজিবর রহমান সানা ৭ হাজার ৫৫২, বিএনপি নেতা এসএম মুজিবর রহমান ২ হাজার ৫৭৭, মোঃ আব্দূল গফুর ১ হাজর ৩৬৫, ইউনাইটেড কমিউনিষ্টপার্টির শাহজাহান সিরাজ সাজু ৯৭৪ ও যুবদল নেতা শেখ সামছুল আলম পিন্টু ৩২৫, মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান পদে ৪ প্রার্থীর মধ্যে ৫৭ হাজার ৫৫৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন জামায়াত নেত্রী শাহানারা খাতুন, নিকটতম আ’লীগের ইউপি সদস্য দীপ্তি চক্রবর্তী ৩৭ হাজার ৪৫৩, জামানত হারানো বিএনপি নেত্রী ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান রাবেয়া হোসেন ৭ হাজার ২৪৩ ও ওয়ার্কাস পার্টির মোছাঃ মাসুমা খাতুনের প্রাপ্ত ভোট ৩ হাজার ৪২৬।