রাজশাহী প্রতিনিধি : কে বোঝে খোদার অপার নিলে। দেহের সকল গঠন সঠিক থাকলেও নাড়ী ভুড়ী বাহিরে এমন সন্তান জন্ম নিয়েছে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম উত্তর পাড়ায় আবুল হোসেনের বড় ছেলে মহরম আলীর স্ত্রীর গর্ভে। নাড়ী ভুড়ী পেটের বাহির অবস্থায় ওই পুত্র সন্তানটি বেঁচে আছে ২২ ঘন্টা। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শিুশুটিকে দেখার জন্য আগ্রহপ্রবন এলাকাবাসী ওই বাড়িতে ভিড় জমিয়েছেন।
ওই নবজাতকের মাতা রোজিনা বেগম জানান, গত শনিবার রাত ১০ টার সময় পেটের ব্যাথা আরম্ভ হয়। পরে পারিবারিক ভাবে তাকে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। রাত ১২ টার সময় নর্মালী বাচ্ছা প্রসব করেন তিনি। কিন্ত সম্পূর্ণ দেহের গঠন ঠিক থাকলেও পেটের নাভী পথে নাড়ী ভুড়ী বাহিরেই রয়েছে। এমতাবস্থায় কর্তব্যরত চিকিৎসক বিষয়টি দেখে অবাক। কি করবেন ভেবে না পেয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, দ্রুত অপারেশন করা লাগবে তাতে ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ হবে। এরপরেও রুগীটি বাচবে কিনা সন্দেহ রয়েছে। অর্থনৈতিক ভাবে খুবই দরিদ্র পরিবার হওয়ায় তাৎক্ষনিক টাকার যোগান দিতে পারেনি। পরে টাকার অভাবে ওই অবস্থায় রুগীটি বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। আজ বোববার রাত সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত শিশুটি জিবিত রয়েছে। শেষ চিকিৎসা হিসেবে গ্রামের অনেক পুরাতন ও অভিজ্ঞ পলী চিকিৎসক ডাঃ নূরুজ্জামান ভান্ডারীকে ডাকেন তারা। ডাক্তার সাহেব শিশুটিকে দেখে বলেন, এমতাবস্থায় আর কিছুই করার নাই। কারণ নাড়ীভুড়ি গুলো ফুলে যাওয়ার কারণে সেগুলো আর ভিতরে প্রবেশ করানো যাবেনা। তবে প্রসবের পর তাৎক্ষনিক ভাবে নাড়ী ভুড়ীগুলো পেটের ভিতর ঠুকিয়ে দিয়ে সেলাই করলে বাচ্ছাটি বেঁচে যেত। এমন রুগী এর পূর্বে তিনি আরো ২ টি পেয়েছিলেন। তিনি চিকিৎসা দিয়ে এখনো তারা সুস্থ্য অবস্থায় বেঁচে আছেন।