শ্যামলবাংলা ডেস্ক : উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় দফার নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বেশিরভাগ উপজেলায় জয়লাভ করেছেন। ৮১টি উপজেলার মধ্যে ৭৮টি উপজেলার চূড়ান্ত বেসরকারি ফলাফল পাওয়া গেছে। চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ৪০টি, বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ২৮টি, জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী ৭টি, জেএসএস (সন্ত্ত) সমর্থিত প্রার্থী ২টি ও এলডিপি ১টি উপজেলায় জয়লাভ করেছেন।
চাঁদপুর: চাঁদপুরের কচুয়ায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত শাহজাহান (কাপ-পিরিচ) ৭৬ হাজার ৬শ ৬৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত শাহজালাল প্রধান (টেলিফোন) পেয়েছেন ২০ হাজার ২শ ৬৫ ভোট।
নীলফামারী: নীলফামারী সদরে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের আবুজার রহমান (আনারস) ৭৭ হাজার ৬শ ২৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতের খায়রুল আনাম (টেলিফোন) পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৪শ ২৬ ভোট।
রৌমারী: কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মজিবর রহমান বঙ্গবাসী ১৭ হাজার ৩২১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত সাহেদ হোসেন সোনা পেয়েছেন ১১ হাজার ৭শ ৬৯ ভোট।
চিলমারী: কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত শওকত আলী সরকার বীরবিক্রম (হেলিকপ্টার) ১০ হাজার ৪শ ২৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বিদ্রোহী সোহরাব হোসেন (দোয়াত-কলম) পেয়েছেন ১০ হাজার ২শ ৭২ ভোট।
ধামইরহাট: নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী মঈন উদ্দীন (আনারস) ৫৭ হাজার ৩শ ৮২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বদিউল আলম (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৯শ ৪৯ ভোট।
মান্দা: নওগাঁর মান্দা উপজেলায় জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী আব্দুর রশীদ (কাপ-পিরিচ) পেয়েছেন ৫৬ হাজার ৭শ ৮৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত এসএম ব্রুহানী সুলতান গামা (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন ৫৬ হাজার ১শ ৪৬ ভোট।
ভোলাহাট: চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত আনোয়ারুল ইসলাম (চিংড়ি) ৩১ হাজার ৬শ ৮২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত আশরাফুল হক (কাপ-পিরিচ) পেয়েছেন ১৯ হাজার ১২৪ ভোট।
ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মজনু মৃধা ১৫ হাজার ৯শ ৬৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আব্দুল মান্নান (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন ১৫ হাজার ৭শ ৮৯ ভোট।
গৌরীপুর: ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আহাম্মদ তায়েবুর রহমান হিরণ (দোয়াত-কলম) ৫১ হাজার ৬৫০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শরীফ হাসান অনু (আনারস) পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৩শ ৮৯ ভোট।
চারঘাট: রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আবু সাইদ চাঁদ (মোটরসাইকেল) ৬৫ হাজার ২শ ৪৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের ফখরুল ইসলাম (আনারস) পেয়েছেন ৪২ হাজার ৫শ ১৪ ভোট।
দুর্গাপুর: রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী (মোটরসাইকেল) ৫৩ হাজার ২শ ৭৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী গোলাম সাকলায়েন (কাপ-পিরিচ) পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৭শ ৯১ ভোট।
গোদাগাড়ী: রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত ইসহাক (দোয়াত-কলম) ৭৬ হাজার ৫শ ৩৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত এ কে এম আসাদুজ্জামান আসাদ (মোটরসাইকেল) ৪৫ হাজার ৯শ ০৮ ভোট পেয়েছেন।
সীতাকুণ্ড: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত এসএম আল মামুন (কাপ-পিরিচ) ৩৯ হাজার ২শ ৮০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত কাজী সালাহউদ্দিন পেয়েছেন ৩৬ হাজার ১শ ৮৭ ভোট।
চন্দনাইশ: চট্টগ্রামের চন্দনাইশে ১৯ দল সমর্থিত এলডিপির প্রার্থী আব্দুল জব্বার চৌধুরী (দোয়াত-কলম) ৪৩ হাজার ৬শ ৮২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের এমএ কাসেম (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৫শ ৩০ ভোট।
রামপাল: বাগেরহাটের রামপালে আওয়ামী লীগ সমর্থিত শেখ আবু সাঈদ (দোয়াত-কলম) ৪৪ হাজার ৩১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াত সমর্থিত মওলানা জুলফিকার আলী (আনারস) পেয়েছেন ১৭ হাজার ৩শ ৪৮ ভোট।
বাগেরহাট সদর: বাগেরহাট সদরে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের খান মুজিবর রহমান (আনারস) ৬৬ হাজার ৯২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত সৈয়দ নাছির আহমেদ মালেক (দোয়াত-কলম) পেয়েছেন ২৪ হাজার ৩শ ২১ ভোট।
পাইকগাছা: খুলনার পাইকগাছা উপজেলায় বিএনপির অ্যাডভোকেট স ম বাবর আলী (দোয়াত-কলম) ৫৯ হাজার ৩শ ৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের রশীদুজ্জামান (আনারস) পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৩শ ৭৮ ভোট।
যশোর: যশোরের মণিরামপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগের আমজাদ হোসেন লাভলু (আনারস) ৮৯ হাজার ৩শ ৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতের গাজী এনামুল হক (কাপ-পিরিচ) পেয়েছেন ৮০ হাজার ৫শ ১৫ ভোট।
চৌদ্দগ্রাম: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় আওয়ামী লীগের আব্দুস সোবহান ভূইয়া হাসান (আনারস) ১ লাখ ৭৭ হাজার ৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিন্দ্বন্দ্বী ১৯ দলীয় জোটের কামরুল হুদা (দোয়াত-কলম) পেয়েছেন ২৪ হাজার ৫৯ ভোট।
নাঙ্গলকোট: কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায় আওয়ামী লীগের সামছুউদ্দিন কালু (আনারস) ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিন্দ্বন্দ্বী ১৯ দলীয় জোটের নজির আহাম্মদ ভুঁইয়া (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন ২৩ হাজার ১৯২ ভোট।
হোমনা: কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় ১৯ দলীয় জোটের প্রার্থী আজিজুর রহমান মোল্লা (মোটরসাইকেল) ৩৯ হাজার ৮৩৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের রেহানা বেগম (দোয়াত-কলম) পেয়েছেন ২৫ হাজার ৭শ ৬৮ ভোট।
তিতাস: কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিএনপির সালাহ উদ্দিন সরকার (ঘোড়া) ৩৬ হাজার ২শ ২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের পারভেজ হোসেন সরকার ২৪ হাজার ৬৫ ভোট পেয়েছেন।
মধুখালী: ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আজিজুর রহমান মোল্লা (আনারস) ৪৫ হাজার ৪শ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত মফিজুর রহমান মঞ্জু (দোয়াত-কলম) ৪০ হাজার ৭শ ৬৫ ভোট পেয়েছেন।
ফুলবাড়িয়া: ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিএনপির অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান (চিংড়ি) ৫৪ হাজার ৭শ ২৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আব্দুল মালেক সরকার মাল্কী (ঘোড়া) পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৪শ ৬৭ ভোট।
ফুলপুর: ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিএনপির অ্যাডভোকেট আবুল বাশার আকন্দ (দোয়াত-কলম) ৫০ হাজার ৭শ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আতাউল করিম রাসেল (ঘোড়া) পেয়েছেন ২৯ হাজার ৮শ ৫৭ ভোট।
গাইবান্ধা: গাইবান্ধার সদরে জামায়াতের আব্দুল করিম (দোয়াত-কলম) ৫৯ হাজার ৯শ ৭৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ সারোয়ার কবির (ঘোড়া) পেয়েছেন ৩২ হাজার ২৯ ভোট।
টুঙ্গিপাড়া: গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী গাজী গোলাম মোস্তফা ৩০ হাজার ৯শ ৬৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত সোলায়মান বিশ্বাস পেয়েছেন ১১ হাজার ৯শ ২৩ ভোট।
পোরশা: নওগাঁর পোরশা উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলাম ৩৫ হাজার ১৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত তৌফিকুর রহমান পেয়েছেন ৩৩ হাজার ২শ ৮২ ভোট।
নবাবগঞ্জ: দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী নুরে আলম সিদ্দিকী (হেলিকপ্টার) ৩৪ হাজার ২শ ৯০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আতাউর রহমান (আনারস) পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৬শ ৪৭ ভোট।
মুলাদী: বরিশালের মুলাদী উপজেলায় আওয়ামী লীগের তারিকুল হাসান খান মিঠু (আনারস) ৭৫ হাজার ৯শ ৯১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আ. ছত্তার খান (কাপ-পিরিচ) পেয়েছেন ৫ হাজার ৭শ ৮ ভোট।
নবীনগর: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় বিএনপির শফিকুল ইসলাম ৫৮ হাজার ৪শ ৩২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী মলাই মিয়া পেয়েছেন ৩১ হাজার ৮শ ১২ ভোট।
কালিগঞ্জ: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের শেখ ওয়াহেদুজ্জামান (আনারস) ৬১ হাজার ৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আজিজুর রহমান (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন ৫৬ হাজার ৯২ ভোট।
বাগেরহাট: বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট শাহ-ই-আলম বাচ্চু (দোয়াত কলম) ৭৬ হাজার ৯শ ৭৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত আব্দুল মজিদ জব্বার (আনারস) পেয়েছেন ১৪ হাজার ৮শ ৮২ ভোট।
ফরিদপুর: ফরিদপুরের সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর (আনারস) ৮৪ হাজার ৯শ ২৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী বিএনপি সমর্থিত মাহাবুবুল হাসান পিংকু (টেলিফোন) পেয়েছেন ৬২ হাজার ৮শ ৫৩ ভোট।
সেনবাগ: নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ ৩৭ হাজার ১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের লায়ন জাহাঙ্গীর আলম মানিক পেয়েছেন ২৬ হাজার ২শ ৭ ভোট।
চাঁদপুর: চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আবদুর রশিদ মজুমদার (আনারস) ৫১ হাজার ৬শ ৫৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী-নজরুল ইসলাম তালুকদার (কাপ-পিরিচ) পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৯৯ ভোট।
ভোলা: ভোলার সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মোশারেফ হোসেন (কাপ-পিরিচ) ১ লাখ ৫৬ হাজার ৩শ ৮৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত ফারুক মিয়া (আনারস) পেয়েছেন ৯ হাজার ৯শ ৪ ভোট।
বাগেরহাট: বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী কামাল উদ্দিন আকন (আনারস) ২৭ হাজার ৬শ ৭৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত মতিয়ার রহমান খান (ঘোড়া) পেয়েছেন ৮ হাজার ১শ ৪৪ ভোট।
বরিশাল: বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সরদার খালেদ হোসেন (কাপ-পিরিচ) ৩৬ হাজার ৬শ ৫১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী সুলতান আহমেদ খান পেয়েছেন ৯ হাজার ৮শ ১৯ ভোট।
গাইবান্ধা: গাইবান্ধার সাদুল্যাপুরে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী সাইদুর রহমান মুন্সি (কাপ-পিরিচ) ৪৮ হাজার ১শ ২৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত শাহরিয়ার খান বিপ্লব (আনারস) পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৩শ ৪৬ ভোট।
ফেনী: ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী দিদারুল কবির রতন (ঘোড়া) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৯৩ হাজার ৫৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ১৯ দল সমর্থিত আকবর হোসেন (টেলিফোন) পেয়েছেন ৫ হাজার ৩শ ৩২ ভোট। এ উপজেলার দুইটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।
নেত্রকোনা: নেত্রকোনা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কামরুল হাসান শাহীন (দোয়াত-কলম) ৫৫ হাজার ৯শ ১৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মজিবুর রহমান খান (আনারস) পেয়েছেন ৪৯ হাজার ২শ ২০ ভোট।
সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী শামছুল আলম ঝুনু মিয়া (আনারস) বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২৪ হাজার ৮শ ৭৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী রেজাউল করিম শামীম আহমদ (দোয়াত-কলম) পেয়েছেন ২৪ হাজার ১শ ৩ ভোট।
লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় চূড়ান্ত ফলাফলে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আইয়ুব আলী(ঘোড়া) ৩৬ হাজার ১শ ৯২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ফারুক ইমরুল কায়েস (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন ২৯ হাজার ৩শ ৯ ভোট।
কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আইয়ুব আলী। আনারস প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৪২ হাজার ৮৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী জহিরুল ইসলাম (দোয়াত কলম) পেয়েছেন ৩০ হাজার ৪শ ৪৬ ভোট।
কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী পনির উদ্দীন আহমেদ জয়লাভ করেছেন। কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে পনির উদ্দীন পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৮৩৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী সাইদুর রহমান ব্যাটারি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৮ হাজার ২৫ ভোট।
দিনাজপুর: দিনাজপুরের সদরে আওয়ামী লীগের কবিরুল ইসলাম ৭০ হাজার ৮শ ৪২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মোকারম হোসেন পেয়েছেন ৬০ হাজার ৬শ ২৮ ভোট।
একটি কেন্দ্র স্থগিত থাকলেও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে বেশি ভোটে এগিয়ে থাকায় জাহিদ বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন বলে উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানিয়েছে।
ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী নুরুল ইসলাম (কাপ-পিরিচ) ৩৫ হাজার ৪শ ৬৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী একেএম শামীম ফেরদৌস টগর (ঘোড়া) ১৭ হাজার ৪শ ১৫ ভোট পেয়েছেন।
শরীয়তপুর: শরীয়তপুরের সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আবুল হাশেম তপদার। আনারস প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৪৬, ৯৬৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত মাহবুব মোর্শেদ টিপু পেয়েছেন ১১০১৪ ভোট। তিনি ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন। এ উপজেলায় ভোট কেন্দ্র ৫৮টি। মোট ভোটার সংখ্যা ১৩২০৯২।
জামালপুর: জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে আ.লীগের মনোনীত প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ (দোয়াত-কলম) ৫৭ হাজার ২৯৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহ মনিরুল ইসলাম মনির (আনারস) পেয়েছেন ৫১ হাজার ২৩২ ভোট।
শরীয়তপুর: শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এ কে এম ইসমাইল হোসেন। মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৪৮ হাজার ১১৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আনোয়ার হোসেন খান পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৯৫ ভোট। তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে লড়েছেন।
মোহনগঞ্জ: নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলায় বিএনপির প্রার্থী আকম শফিকুল হক আনারস প্রতীক নিয়ে ২৮ হাজার ৪২৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী লতিফুর রহমান রতন। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে মোট ভোট পান ২২ হাজার ২৫টি।
দক্ষিণ সুরমা: সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আবু জাহিদ বিজয়ী হয়েছেন। ঘোড়া প্রতীকে আবু জাহিদের প্রাপ্ত ভোটের পরিমাণ ৩০ হাজার ৫৮৩। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতের মাওলানা লোকমান আহমদ মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২৬ হাজার ৩৩৭ ভোট।
ঘিওর: মানিকগঞ্জের ঘিওরে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী খন্দকার লিয়াকত হোসেন। তিনি পেয়েছেন ২১ হাজার ৭৪৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব পেয়েছেন ১২ হাজার ৯০৮ ভোট।
বড়লেখা: মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলায় আওয়ামী লীগের রফিকুল ইসলাম সুন্দর কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২৯ হাজার ৯শ’ ৪৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াত সমর্থিত এমাদুল ইসলাম দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৮ হাজার ২২৬ ভোট।
শ্রীবরদী: শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মো. আশরাফ হোসেন খোকা আনারস প্রতীক নিয়ে ২৮ হাজার ৫১ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটকতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আব্দুর রহিম দুলাল কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৭৪৮ ভোট।
বুড়িচং: কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১৯ দলীয় জোট প্রার্থী বিএনপির এটিএম মিজানুর রহমান টেলিফোন প্রতীকে ৪৩ হাজার ৯৬০ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাজ্জাদ হোসেন স্বপন আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৩৪২ ভোট।
ব্রাহ্মণপাড়া: কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত জাহাঙ্গীর খান চৌধুরী আনারস প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২৭ হাজার ৪৩৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ১৯ দলীয় জোট প্রার্থী সামছুল আলম টেলিফোন প্রতীকে পেয়েছেন ২১ হাজার ৫০৪ ভোট।
দেলদুয়ার: টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে বিএনপির সমর্থিত প্রার্থী এস এম ফেরদৌস আহমেদ মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ৩৯ হাজার ৪৯১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল কালাম সিদ্দিকী (মঈন সিদ্দিকী) আনারস প্রতীক পেয়েছেন ২১ হাজার ৫৯২ ভোট।
ধনবাড়ি: টাঙ্গাইলের ধনবাড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী মীর ফারুক আহমাদ ফরিদ দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে ৩১ হাজার ৪৪৫ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী হাবিবুল্লাহ ফকির ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৪ হাজার ৬৪৮ ভোট।
কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জ সদরে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী শরিফুল ইসলাম। আনারস প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৬১ হাজার ৫৯৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আশফাকুল ইসলাম টিটু পেয়েছেন ৪৭ হাজার ৯৭৮ ভোট। তিনি কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে লড়েছেন।
কুলিয়ারচর: কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলায় ৪৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪৪টি কেন্দ্রের বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী নুরুল মিল্লাত (দোয়াত কলম) পেয়েছেন ৪২ হাজার ৩৭৩ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের সৈয়দ হাসান শাহরিয়ার মহসিন (আনারস) পেয়েছেন ৩০ হাজার ২৪২ ভোট।
চরভদ্রাসন: ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী এজিএম বাদল আমিন দোয়াত-কলম প্রতীকে ৮ হাজার ৩২৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশাররফ হোসেন মুসা টেলিফোন প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ৯০৫ ভোট।
আলফাডাঙ্গা: ফরিদপুরের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী এম এম জালালউদ্দিন আহম্মেদ। হেলিকপ্টার প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ১৯ হাজার ১৫৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত মকিবুল হাসান পটু আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৪১ ভোট।
সদরপুর: ফরিদপুরের সদরপুরে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী কাজী শফিকুর রহমান কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে ৩৩ হাজার ২৮০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এইচ এম শাহেদিদ গামাল লিপু দোয়াতা-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ২৩ হাজার ৭৯১ ভোট।
মংলা: বাগেরহাটের মংলা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আবু তাহের হাওলাদার বেসরকারি ফলাফলে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি চিংড়ি মাছ প্রতীক পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৫২৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মোল্যা আ. জলিল ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৬ হাজার ৩২৯ ভোট।
আক্কেলপুর: জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী কামরুজ্জামান কমল চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন। মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৮৩১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসর পেয়েছেন ৩৪ হাজার ১২৬ ভোট। তিনি ঘোড়া প্রতীক নিয়ে লড়েছেন।
বাঘাইছড়ি: রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় জেএসএস (সন্তু) প্রার্থী বড় ঋষি চাকমা দোয়াত-কলম প্রতীক পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১৯ হাজার ২৭১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেএসএস (এমএন লারমা) সুদর্শন চাকমা ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১২ হাজার ২১৬ ভোট।
বরকল: রাঙামাটির বরকল উপজেলায় ৯ হাজার ৩৮০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন জেএসএস (সন্তু) প্রার্থী মনি চাকমা (হেলিকপ্টার)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের সন্তোষ চাকমা (দোয়াত-কলম) পেয়েছেন ৬ হাজার ১৬৭ ভোট।
কাউখালী: রাঙামাটির কাউখালী উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী এসএম চৌধুরী পেয়েছেন ১৩ হাজার ৫০৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী অর্জুন মনি চাকমা পেয়েছেন ১১ হাজার ৫০৮ ভোট।
বান্দরবান: বান্দরবান সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত আবদুল কুদ্দুস চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেছেন। মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে আবদুল কুদ্দুস পেয়েছেন ১১ হাজার ১৯১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জনসংহতি সমিতির (জেএসএস-সন্তু লারমা) প্রার্থী উ উইন মং জলি আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৯ হাজার ১৩১ ভোট।
আলীকদম: বান্দরবানের আলীকদম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আবুল কালাম চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেছেন। তিনি দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮ হাজার ৩৩১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জামাল উদ্দীন কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫ হাজার ৪৬৮ ভোট।
দামুড়হুদা: চুয়াডাঙ্গা জেলার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী মওলানা আজিজুর রহমান মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ৫৮ হাজার একশ’ ৫৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ আজাদুল ইসলাম আজাদ কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৮ হাজার নয়শ’ ২৩ ভোট।