শ্যামলবাংলা ডেস্ক : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও ঢাকা মহানগরের সদস্য সচিব আব্দুস সালাম রবিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে ঢাকার মহানগর হাকিম শাহরিয়ার মাহমুদ আদনান তাদের আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
হরতাল-অবরোধের মধ্যে গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর গাড়িতে পেট্রোল বোমা ছুড়ে বাংলামোটরে পুলিশ হত্যা এবং ৩০ নভেম্বর মালিবাগ ও গত ৩ জানুয়ারি পরীবাগে বাসে পেট্রোল বোমা ছুড়ে মানুষ হত্যা ও নাশকতার তিনটি মামলায় গত ২০ জানুয়ারি হাই কোর্ট থেকে আট সপ্তাহের জামিন পান ফখরুল। ওই তিন মামলায় মির্জা আব্বাস এবং রমনা থানার একটি মামলায় আব্দুস সালামকেও জামিন দেয় হাই কোর্ট।
পরে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ গত ৯ মার্চ ওই তিনজনসহ পাঁচ বিএনপি নেতার জামিন বাতিল করে দেয়।
রবিবার আপিল বিভাগের রায়ের বিষয়ে জানিয়ে বিচারিক আদালতের কাছে আবারো জামিনের আবেদন করেন ফখরুল, আব্বাস ও সালাম।
তিন বিএনপি নেতার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী নিতাই রায় চৌধুরী, জয়নুল আবেদীন ও মাসুদ আহমেদ। তারা বলেন, আপিল বিভাগ জামিন বাতিলের আদেশে একটি পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন, যার সত্যায়িত অনুলিপি তারা পাননি। তাছাড়া বিএনপির তিন নেতাই অসুস্থ, মামলার এজাহারেও তাদের কারো নাম নেই। সামাজিক মর্যাদাসম্পন্ন এই ব্যক্তিরা জামিনে গেলে পলাতক হবেন না।
রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি আবু আবদুল্লাহ আপিল বিভাগের আদেশের ব্যাখ্যা তুলে ধরে জামিনের বিরোধিতা করেন।
আধঘণ্টা শুনানি শেষে বিচারক নথিপত্র দেখে আদেশ দেবেন জানিয়ে আইনজীবীদের বলেন, জামিনের সম্ভাবনা ‘ক্ষীণ’।
তিনি খাস কামরায় চলে যাওয়ার মিনিট দশেক পর তিন বিএনপি নেতাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ আসে।
এদিকে শাহবাগে বাসে বোমা ছুড়ে যাত্রী হত্যা মামলাতেও আপিল বিভাগ আসামিদের জামিন বাতিল করেছিল। ওই মামলাতেও রোববার জামিন চেয়েছিলেন বিএনপির তিন নেতা। কিন্তু মামলার নথি বিচারকের সামনে ছিল না বলে জামিন শুনানি হয়নি।
তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশের পর বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা আদালত প্রাঙ্গণে মিছিল করেন