শ্যামলবাংলা ডেস্ক : উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ১৫ মার্চ শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৮১ উপজেলায় ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। চলছে ভোটগণনা। এবারও দু’দলে বিদ্রোহীদের নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। নির্বাচনকে ঘিরে গ্রামীণ জনপদে চলেছে উৎসবের আমেজ। একই সঙ্গে ছিল সহিংসতার আশঙ্কা। নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোয় রয়েছেন সেনাসদস্যরা। এই নির্বাচনে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে চায় বিএনপি। অন্যদিকে গোলযোগ এড়াতেই সতর্ক দৃষ্টি আওয়ামী লীগের।
প্রথম দু’ধাপে প্রত্যাশিত ফল না পেলেও আজ শনিবার ভোটের মাঠে অন্তত ৪৮ উপজেলায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। অন্যদিকে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন ৪০ উপজেলায়। এবারের ৮১ উপজেলার চেয়ারম্যান পদে ৩২টিতে আওয়ামী লীগ ও ৩৩টিতে বিএনপি একক প্রার্থী দিতে পেরেছে। চারটিতে রয়েছেন বিএনপির শরিক জামায়াতের একক প্রার্থী। প্রথম দু’ধাপে ভালো ফল পেয়ে বিএনপি উজ্জীবিত। আওয়ামী লীগও ঘুরে দাঁড়াতে চায়। এদিকে নিজ দলের বিদ্রোহীদের বাগে আনতে ব্যর্থ হয়ে বহিষ্কারের পথ বেছে নিয়েছে বড় দু’দল। তবে তাতে তেমন ফল পাওয়া যাচ্ছে না। দল থেকে বহিষ্কার হলেও প্রার্থীরা বেশ ভালোভাবেই টিকে থাকছেন ভোটের যুদ্ধে।
তৃতীয় ধাপে ৪১ জেলার ৮১ উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এক হাজার ১১৯ প্রার্থী। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৪১৯, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪২৩ ও সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৭৭ জন। নির্বাচনে ভোটারদের ভোটদানে সহায়তার জন্য রয়েছেন পাঁচ হাজার ৪৪৪ জন প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ৩৫ হাজার ৩৩১ এবং পোলিং অফিসার ৭০ হাজার ৬৬২ জন। আর ভোটকেন্দ্র পাঁচ হাজার ৪৪৪টি, কক্ষ ৩৫ হাজার ৩৩১।
তৃতীয় ধাপে যে ৮১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হয়েছে সেগুলো হলো ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর, দিনাজপুর সদর ও নবাবগঞ্জ, নীলফামারী সদর, লালমনিরহাটের আদিতমারী, কুড়িগ্রাম সদর, রৌমারী ও চিলমারী, রাজশাহীর গোদাগাড়ি, চারঘাট ও দুর্গাপুর, চুয়াডাঙ্গার দামুরহুদা, যশোরের মনিরামপুর, নড়াইলের লোহাগড়া, বাগেরহাট সদর, মোড়েলগঞ্জ, রামপাল, মোংলা ও শরণখোলা, খুলনার পাইকগাছা, সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ, ভোলা সদর, বরিশালের মুলাদী, হিজলা ও বাবুগঞ্জ, গাইবান্ধা সদর ও সাদুল্লাপুর, সিলেটের দক্ষিণ সুরমা, মৌলভীবাজারের বড়লেখা, টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী ও দেলদুয়ার, কুমিল্লার নাংগলকোট, হোমনা, বুড়িচং, চৌদ্দগ্রাম, ব্রাহ্মণপাড়া, তিতাস, জয়পুরহাটের আক্কেলপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, ভোলাহাট ও শিবগঞ্জ, নওগাঁর মান্দা, পোরশা ও ধামইরহাট, পিরোজপুরের নেছারাবাদ, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ, শেরপুরের শ্রীবর্দী, ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া, গৌরীপুর, মুক্তাগাছা, ফুলপুর ও ধোবাউড়া, নেত্রকোণা সদর ও মোহনগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ সদর, কুলিয়ারচর ও হোসেনপুর, ফরিদপুর সদর, আলফাডাঙ্গা ও সদরপুর, চরভদ্রাসন, ভাংগা ও মধুখালী, গোপালগঞ্জের টুংগীপাড়া, শরীয়তপুর সদর ও নড়িয়া, সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ, চাঁদপুরের কচুয়া ও হাজীগঞ্জ, নোয়াখালীর সেনবাগ, লক্ষ্মীপুরের কমলনগর, চট্টগ্রামের চন্দনাইশ ও সীতাকুণ্ড, রাঙ্গামাটির বরকল, বাঘাইছড়ি ও কাউখালি, মানিকগঞ্জের ঘিওর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর, ফেনীর দাগনভূঁইয়া এবং বান্দরবান সদর ও আলী কদম।