শ্যামলবাংলা ডেস্ক : উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ৮১ উপজেলায় চলছে ভোটগ্রহণ। ১৫ মার্চ শনিবার সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে; যা চলবে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
এবারও দু’দলে বিদ্রোহীদের নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। নির্বাচনকে ঘিরে গ্রামীণ জনপদে চলছে উৎসবের আমেজ। একই সঙ্গে রয়েছে সহিংসতার আশঙ্কা। নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোয় পোঁছেছেন সেনাসদস্যরা।
এই নির্বাচনে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে চায় বিএনপি। অন্যদিকে গোলযোগ এড়াতেই সতর্ক দৃষ্টি আওয়ামী লীগের। রাজনৈতিক দলগুলো দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ী করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। কোথাও কোথাও প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে দলগুলোয় বিভক্তি দেখা দিয়েছে। প্রতিদিনই সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে। নির্দলীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক অসুস্থ প্রতিযোগিতার কারণে তৃতীয় ধাপে নির্বাচনকে ঘিরে নির্বাচনী সহিংসতাও বেড়েছে। সহিংসতার কারণে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল মোবারক বলেন, যে কোনো মূল্যে নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধ করা হবে। এ প্রসঙ্গে আরেক কমিশনার মোহাম্মদ আবু হাফিজ বলেছেন, ধাপে ধাপে নির্বাচন করার কারণে দ্বিতীয় ধাপে কিছু সহিংসতা হয়েছে। প্রথম ধাপের ফল আগে জেনে যাওয়ার কারণে রাজনৈতিক দলগুলো পরের ধাপে প্রার্থীর জয় নিশ্চিত করতে আরও তৎপর হয়ে ওঠে। এ জন্য সহিংসতা হয়। ধাপে ধাপে নির্বাচন করাটা ভুল ছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এবারের ৮১ উপজেলার চেয়ারম্যান পদে ৩২টিতে আওয়ামী লীগ ও ৩৩টিতে বিএনপি একক প্রার্থী দিতে পেরেছে। চারটিতে রয়েছেন বিএনপির শরিক জামায়াতের একক প্রার্থী। প্রথম দু’ধাপে ভালো ফল পেয়ে বিএনপি উজ্জীবিত। আওয়ামী লীগও ঘুরে দাঁড়াতে চায়।
এই ধাপে ৪১ জেলার ৮১ উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এক হাজার ১শ ১৯ প্রার্থী। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৪শ ১৯, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪শ ২৩ ও সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২শ ৭৭ জন। নির্বাচনে ভোটারদের ভোটদানে সহায়তার জন্য রয়েছেন ৫ হাজার ৪শ ৪৪ জন প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ৩৫ হাজার ৩শ ৩১ এবং পোলিং অফিসার ৭০ হাজার ৬শ ৬২ জন। আর ভোটকেন্দ্র ৫ হাজার ৪শ ৪৪টি, কক্ষ ৩৫ হাজার ৩শ ৩১।
ইসির তথ্য মতে, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে একজন প্রিসাইডিং অফিসার এবং প্রতিটি কক্ষে একজন সহকারী প্রিসাইডিং ও দু’জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করেন। ৪১ জেলার ৮১ উপজেলায় মোট এক কোটি ৩১ লাখ ৮৫ হাজার ১৩ জন ভোটার। এসব ভোটার নিজ নিজ পছন্দের প্রার্থীকে তাদের ভোট দেবেন। পুরুষ ভোটারের চেয়ে নারী ভোটার বেশি। দেখা গেছে, ৬৬ লাখ ১শ ৩১ নারী এবং পুরুষ ভোটার ৬৫ লাখ ৬৭ হাজার ৮শ ৩২ জন। চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান- এ তিনটি পদের বিপরীতে ব্যালট মুদ্রণ হয়েছে এক কোটি ৩১ লাখ ৮৫ হাজার ১৩টি।গ ত ৬ ফেব্রুয়ারি ৮৩ উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি।