বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি : ভোট কারচুপি কেন্দ্র দখল, জাল ভোট, বিরোধী এজেন্টদের বের করে দেয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ করেছেন বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার বিএনপি ও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি সমর্থিত প্রার্থীরা। উপজেলার ৩৫ কেন্দ্রের মধ্যে ২০ টি কেন্দ্রে পুনঃনির্বাচন দাবী করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিএনপি সমর্তিত প্রার্থী কামরুল ইসলাম হিমু খানের পক্ষে বিএনপি নেতারা । শনিবার দুপুর ২ টার সময় বাবুগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন কেন্দ্রিয় বিএনপির সহ সভাপতি বেগম সেলিমা রহমান। লিখিত অভিযোগে তিনি বলে, প্রশাসনের সহযোগিতায় গতকাল শনিবার সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার পর সকাল ৯ টারসময় এক যোগে বিভিন্ন ইউনিয়নের কেন্দ্র গুলো দখল করে নেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ।
অপরদিকে, উপজেলা নির্বাচন অফিসে পুনরায় নির্বাচনের দাবী জানিয়ে লিখিত দিয়েছেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির প্রাথী বজলুর রহমান মাষ্টার। অভিযোগে তারা দুই প্রার্থীই পুনরায় ২০ কেন্দ্রে নির্বাচন করার দাবী জানান।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে কেন্দ্র দখল ও জাল ভোট দেয়ার অভিযোগ এনে বেগম সেলিমা রহমান তার বক্তব্যে এ সময় আরো বলেন, সরকার দলীয় সমর্থিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে কেন্দ্র দখল ও প্রশাসন পক্ষ নিয়েছেন। এ সরকারের প্রহসনের নির্বাচন আমরা চাইনা। রাষ্ট্্িরয় সন্ত্রাসের কাছে জাতী আজ জিম্মি। বিএনপি এ উপজেলায় পুনঃনির্বাচনের জন্য, ২০ টি কেন্দ্র গুলো হলো আগরপুর ইউনিয়নের ৬ টি , কেদারপুরে ৩ টি, দেহেরগতিতে ২ টি, চাদপাশায় ৩ টি, রহমতপুরে ৬টি ও মাধবপাশায় ২ টি কেন্দ্র। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি এবায়দুল হক চান, উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইসরাত হোসেন কচি, জেলা যুবদল সহ সভাপতি জাহাঙ্গির আলম, উপজেলা সহ সভাপতি আঃ করিম, সরোয়ার মাহামুদ, চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, ছাত্রদল নেতা আরিফুর রহমান শিমুল সহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
এ ছাড়াও ওয়ার্কার্স পার্টি প্রার্থী বজলুর রহমান মাষ্টার আ’লীগের দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কেন্দ্র দখল, জাল ভোট ও তার এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ এনে পুনরায় নির্বাচনের দাবী করেছেন।
এ ছাড়াও বাবুগঞ্জের চাদপাশা ইউনিয়নের আরজি কলিকাপুর ভোট কেন্দ্রে দখল করাকে কেন্দ্র করে। পুলিশের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ ১৪ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে। এতে স্কুল শিক্ষক সহ ৫ জন আহত হয়েছে এবং আগরপুর ও উত্তর দেহেরগতি এলাকায় ক্ষমতাসীন দলের সাথে বিভিন্ন প্রার্থীদের বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ ও হামলায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।