শ্রীবরদী (শেরপুর) প্রতিনিধি : আজ ১৫ মার্চ শনিবার অনুষ্ঠিত হবে শেরপুরের সীমান্তবর্তী শ্রীবরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ইতোমধ্যেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ব্যালট পেপার সহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌছে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি গ্রহণ করা হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা। ইতিমধ্যেই নির্বাচন উপলক্ষ্যে উপজেলা সদরে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র্যাবের অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে।
উপজেলার ৬৭টি কেন্দ্রে ৩৭০টি ভোট কক্ষে আজ ৮৯ হাজার ২৯৯ জন নারী ও ৮৭ হাজার ৪শত ৬৪ জন পুরুষ ভোটার তাদের ভোট প্রয়োগ করবেন। চেয়ারম্যান পদে ৯জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করবেন। এরা হলেন আ’লীগ সমর্থিত উপজেলা আ’লীগ সভাপতি আশরাফ হোসেন খোকা (আনারস), বিএনপি সমর্থিত উপজেলা বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহিম দুলাল (কাপ পিরিচ), জামায়াত সমর্থিত নরুজ্জামান বাদল (ঘোড়া), স্বতন্ত্র প্রার্থী সারোয়ার আলম খোকন(দোয়াত কলম), আক্রামুজ্জামান (টেলিফোন), আলহাজ্ব মোঃ সুরুজ্জামান (মটর সাইকেল), খোরশেদ আলম ফর্সা (হেলিকেপ্টর), খন্দকার ফারুক আহম্মেদ (ব্যাটারী) ও শফিকুল ইসলাম লিটন (চিংড়ি মাছ), ভাইস চেয়ারম্যান পদে আ’লীগ সমর্থিত আব্দুল হামিদ সোহাগ(তালা), বিএনপি সমর্থিত যুবদল নেতা আব্দুলাহ আল মামুন দুলাল(চশমা), মোফাজ্জল হোসেন (মাইক) ও ফরিদ আহম্মেদ নিলু মন্ডল (টিয়া পাখি), মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লিপি বেগম(ফুটবল) ও শাহানাতুল আরেফিন সুমী(কলসী)। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে গত বুধবার রাতে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষ সোমেশ্বরিতে প্রার্থীদের সাথে মত বিনিময় করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা মিসেস হাবিবা শারমিন। এ সময় সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি ও পুলিশ বাহিনীর প্রতিনিধি, প্রতিদ্ব›িদ্বতা প্রার্থীরা ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। গতকাল শুক্রবার সকালে শ্রীবরদী থানা চত্বরে নির্বাচনী আইন শৃঙ্খলা কাজে নিয়োজিত সদস্যদের মাঝে ব্রিফিং করেছেন শেরপুরের পুলিশ সুপার মেহেদুল করীম। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেহেদুল করীম, সহকারী পুলিশ সুপার সার্কেল মোঃ শাহজাহান মিয়া উপস্থিত ছিলেন। রিটানিং অফিসার ও শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মোঃ হায়দর আলী বলেন, অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করা হয়েছে। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তার স্বার্থে পযাপ্ত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে। পাশাপাশি সেনা বাহিনী, র্যাব, বিজিবি ও পুলিশের একাধিক টিম আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে মাঠে কাজ করবে।