মেহের আমজাদ, মেহেরপুর : রবি মৌসুমে মেহেরপুরের চাষীদের অন্যতম একটি আবাদ মুসুরি। এ বছরও মেহেরপুরের চাষীরা মুসুরির চাষ করেছেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের হিসাব মতে মুসুরির আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।
মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের হিসাব মতে, এ বছর মেহেরপুর জেলায় ৪ হাজার ৪২৫ হেক্টর জমিতে মুসুরি চাষ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪শ’ হেক্টর বেশি। গত বছরে জেলায় মুসুরির চাষ হয়েছিলো ৩ হাজার ৯৫২ হেক্টর জমিতে। এ বছরের আবাদ করা মুসুরি উঠা শুরু হয়েছে। এ ফাল্গুনের প্রথম থেকে জেলার মুসুরি চাষীরা বৈরি আবহাওয়ার শিকার হচ্ছেন। ক্ষেতে মুসুরি গাছ দেখে চাষীরা ছিলেন বেজায় খুশি। ফাল্গুনের প্রথম তিন দিনের বৃষ্টিতে ফুল ধুয়ে আগাম লাগানো মুসুরির ক্ষতি হয়েছে। মুসুরি উঠার আগ মুহুর্তে বৃষ্টি এ ফসলের উপর খারাপ প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন জেলার অনেক চাষী।
মেহেরপুর সদর উপজেলার শোলমারী গ্রামের চাষী ফজলু জানান, খুব কম খরচে মুসুরি চাষ করা যায়। এক বিঘা জমিতে মুসুরি চাষ করতে চাষ, বীজ, সার আর বিষ খরচ সব মিলিয়ে ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতি বিঘা জমিতে ৫মন থেকে ৬ মন মুসুরি পাওয়া যায়। প্রতি মন মুসুরি হেসে খেলে প্রায় আড়াই হাজার টাকা মন দরে বিক্রি করা যায়। সে মতে আবহাওয়া প্রতিকুলে থাকলে মুসুরি আবাদে অল্প খরচ করে চাষী বেশী লাভবান হতে পারবেন। তিনি এ বৃষ্টি প্রসংগে বলেন, হালকা বৃষ্টি হলে মুসুরির আবাদে তেমন নেতি বাচক প্রভাব পড়বেনা। তবে প্রবল বর্ষা এবং বেশী দিন স্থায়ী হলে মুসুরি আবাদের চাষী ক্ষতিগ্রস্থ হবেন।
মেহেরপুর সদর উপজেলা সহকারি কৃষি অফিসার আশরাফুল আলম বলেন, এবছর মুসুরির বাম্পার ফলন হয়েছে। চাষীদের সাথে সাথে এ জেলার কৃষি বিভাগও খুশি। তিনি বৃষ্টি প্রসংগে বলেন, ফাল্গুলের প্রথম ৩ দিনের বৃষ্টিতে আগাম মুসুরির ফুল ধুয়ে কিছু ক্ষতি হলেও বর্তমানের বৃষ্টি মুসুরির কোন ক্ষতি করতে পারবে না। তবে বেশি পরিমান বৃষ্টি যাকে বলা হয় ঢল এমন হলে মুসুরির ক্ষতি হবে। তিনি আরো বলেন, এ বৃষ্টিতে ক্ষতি হচ্ছে আমের মুকুলের আর সজনের ফুলের। ফুল ধুয়ে যাওয়ায় আম আর সজনের ব্যাপক ক্ষতি হবে।