ছাতক (সুনামগঞ্জ) : ছাতক উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের নাইন্দার হাওরে পানি শুকিয়ে যাওয়ায় উৎসব মুখর পরিবেশে শ’শ’ এলাকাবাসী হাত দিয়ে মাছ শিকারে মেতে উঠেছে। বৃহস্পতিবার বিভিন্ন গ্রামের কয়েকশ’ ছোট-বড় মাছ শিকারী কম পানিতে মাছ শিকার করতে দেখা গেছে। মাছ শিকারের এমন দৃশ্য বাংলার গ্রামে-গঞ্জে এখনো বিরাজমান রয়েছে। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও বিভিন্ন গ্রামের মানুষ দলবদ্ধ হয়ে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত হাওরের পানিতে মাছ শিকারে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। এভাবে সপ্তাহ ধরে চলবে হাত দিয়ে মাছ শিকার। মাছ শিকারে আসা এলাকার অনেকেই জানিয়েছেন, হাওরের পানি অনেকটা শুকিয়ে গেলে হাত দিয়ে ছোট-বড় মাছ ধরতে উৎসাহিত হয় এলাকার লোকজন। যথেষ্ট পরিমান মাছ না পাওয়া গেলেও বড়দের সাথে ছোটরাও আসেন মাছ শিকারের এ উৎসবে যোগ দিতে। সমিতির নাম ব্যবহার করে প্রভাবশালীরা সময়ের আগেই বৈধ-অবৈধ জাল ব্যবহার করে মাছ শিকার করে নিয়েছে। তবে কাদা সরিয়ে ছোট-বড় বাইম, টাকি ও শৈল জাতীয় মাছ হাত দিয়ে শিকার করছে এলাকাবাসী। এদিকে ইজারা গ্রহনকারী উত্তর সুরমা মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি আফরোজ মিয়ার অভিযোগ, মৎস্যজীবি সম্প্রদায়ের লোকজন নিয়ে গঠিত সমিতির মাধ্যমে বিলটি লিজ নিলেও স্থানীয় গ্রামগুলোর লোকজন বিল হতে জোরপূর্বক মাছ ধরে নিয়ে যায় প্রতি বছর। মৎস্যজীবী হিরন মিয়া জানান, বিলের পার্শ্বে গর্ত করে জোরপূর্বক মাছ শিকার এলাকাবাসীর অভ্যাসে পরিনত হয়েছে। এতে মৎস্যজীবিরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। নোয়ারাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আফজাল আবেদীন আবুল জানান, ছাতকের মধ্যে নাইন্দার হাওর একটি বড় ফিসারি। লক্ষিবাউর, টেংগারগাঁওসহ কয়েকটি গ্রামের মৎস্যজীবি স¤প্রদায়ের লোকজন এখান থেকে মৎস্য আহরন করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। হাওরের নাব্যতা কমে যাওয়ায় শুষ্ক মৌসুমের আগেই হাওরের পানি শুকিয়ে যায়। ফলে এলাকার প্রভাবশালী লোকজন হাওরে বিলের পার জমি হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। সরকারিভাবে হাওর খনন ও বিলের সীমারেখা নির্ধারিত হলে এখানের মাছের চাহিদা অনেকটা পূরণ করা সম্ভব।