কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার ২ উপজেলায় আলাদা ঘটনায় ২ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলার মিরপুরে ছিনতাইকারিদের হামলায় মিলন কুমার ধর (৪০) নামে এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। অপরদিকে রাত সাড়ে ৩টার সময় দৌলতপুর উপজেলায় জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় ওয়াজেদ আলী ওরফে ওয়াজ (৬২) নামে এক বৃদ্ধ নিহত এবং তার ২ ছেলে একরামুল হক (৪৫) ও আক্কাস আলী (৪২) ও বেলাল হোসেন (৩৫) আহত হয়েছেন।

মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহিদুল ইসলাম শাহীন জানান, কুষ্টিয়া শহরের আড়য়াপাড়া এলাকার মডার্ন গার্মেন্টের মালিক মিলন ভেড়ামারা থেকে ব্যবসায়ীদের নিকট টাকা সংগ্রহ শেষে গৌতম নামের এক ব্যক্তিকে সাথে নিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ফিরছিলেন। উপজেলার ডাকাতিয়া পুকুর নামক স্থানে পৌঁছলে পূর্ব থেকে ওত পেতে থাকা ৫/৭ জনের একদল সশস্ত্র ছিনতাইকারী তাদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে এবং গৌতমকে বেঁধে রেখে ব্যবসায়ী মিলন হোসেনকে মাথায় আঘাত করে হত্যা শেষে মোটরসাইকেল ও তার কাছে থাকা ব্যবসার টাকা টাকা লুট করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে গৌতম ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে এলাকাবাসী ও পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে মিরপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। তার বাড়ি শহরের মিলপাড়া এলাকায়। গৌতমের বাড়ি শহরের আড়ুয়াপাড়ায়।
অপরদিকে দৌলতপুর থানার ওসি বেলায়েত হোসেন জানান, জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধ নিয়ে রাতে শালিমপুর এলাকার প্রতিপক্ষ মৃত বক্্র মন্ডলের ছেলে জানবার আলী, মোস্তফা ও আব্দুল মান্নানসহ ৭/৮ জন ওয়াজেদ আলীর ক্ষেতের গম কাটতে থাকে। এদিকে গম কাটার খবর পেয়ে ওয়াজেদ আলী ও তার ৩ ছেলে প্রতিপক্ষের লোকজনকে বাধা দিলে তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে পিতা ও তার ৩ পুত্রকে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে বৃদ্ধ কৃষক ওয়াজেদ আলী মারা যান এবং তার ৩ ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে মান্নান নামের এক ব্যাক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। নিহতের লাশ কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।
উলেখ্য, এর আগে গতকাল বুধবার সকালে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নে পারিবারিক জের ধরে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন হন।
