কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : এবছর কুষ্টিয়ায় পিঁয়াজ চাষ বেড়েছে ১৫৬০ হেক্টর। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে চলতি অর্থ বছরে কুষ্টিয়ায় পিঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৭ হাজার ৩৯০ হেক্টর। বৃদ্ধি পেয়ে চাষ হয়েছে ৮ হাজার ৯৫০ হেক্টর। এবছর হেক্টর প্রতি পিয়াজের গড় ফলন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮ মেট্টিক টন। মোট উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৯ হাজার ১২০ মেট্টিক টন। চাষ বৃদ্ধি পাওয়ায় এবছর উৎপাদনও বৃদ্ধি পাবে। এবছর কুষ্টিয়ায় ৭১ হাজার ৬০০ মেট্টিক টন পিঁয়াজ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে সরকারী লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে। গত বছর কুষ্টিয়ায় ৮ হাজার ৬১০ হেক্টর জমিতে পিঁয়াজ চাষ হয়েছিল এবং উৎপাদন হয়েছিল ১ লাখ ৩ হাজার ৮০০ মেট্টিক টন। হেক্টর প্রতি গড় ফলন হয়েছিল ১২.০৫ মেট্টিক টন। গত বছরের ফলন হিসেবে এবছর কুষ্টিয়ায় প্রায় পোনে ২ লাখ মেট্টিক টন পিঁয়াজ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে এবছর পিঁয়াজের ফলন আরো বেশি হবে বলে আশা কৃষকদের। কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার গ্রাম পোড়াদহের পিয়াজ চাষী আব্দুর রহমান বিগত বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে বলেন, তার ক্ষেতে পিঁয়াজের ফলন সর্বনিম্ন ৫০ মন হবে। কেননা তিনি প্রতি বছরই ৫ বিঘা জমিতে পিয়াজ চাষ করে থাকেন। গত বছরও তিনি বিঘা প্রতি গড় ফলন পেয়েছিলেন ৫৫ মন। এবছর আবহাওয়া পিয়াজ চাষের অনুকুলে রয়েছে। এবছর ভারী বর্ষণ কিংবা শিলাবৃষ্টি হয়নি। এখন পিঁয়াজ উত্তোলন পর্যায়ে রয়েছে। এবছর পিয়াজের ফলন আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছেন আব্দুর রহমান। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জিয়ারখী ইউনিয়নের নুরপুরের পিঁয়াজ চাষী ইয়াকুব আলী মোল্লা বলেন, গত বছরের তুলনায় এবছর ফলন বেশি হবে। এবছর যেমন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়তে হয়নি তেমনি রোগ-বালাই’র আক্রমনও কম ছিল। এদিকে একই ইউনিয়নের মোনাখালির কৃষক উজ্জল জোয়াদ্দার বলেন, এতোদিন পিঁয়াজের ক্ষেতে তেমন রোগ বা বালাইর আক্রমন দেখা যায়নি। রোগ ও পোকার আক্রমন থেকে পিঁয়াজ রক্ষা কৌশল হিসেবে সব সময় আগাম ব্যবস্থাপনা নেয়া হয়েছে। তবে সম্প্রতি পিঁয়াজের আগামরা এবং জাব পোকার আক্রমন দেখা দিয়েছে। তবে এসব রোগ বালাই এখন আর ক্ষতির পর্যায়ে নেই বলে দাবি কৃষি কর্মকর্তাদের। কেননা আর ২০ দিনের মধ্যেই পিঁয়াজ উত্তোলন শুরু হবে। তবে পিঁয়াজ উত্তোলনের শেষ অবস্থা পর্যমত্ম কোন প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবছর পিঁয়াজের ফলন হবে লাভ জনক মত্মব্য কৃষি কর্মকর্তাদের।