নীলফামারী পতিনিধি : নীলফামারীর সৈয়দপুর ১শ’ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মনিরুল ইসলাম মানিককে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। এই হাসপাতালটি কাগজে- কলমে ১শ’ শয্যায় উন্নীত করা হলেও ওষুধপত্রের ও জনবলের অভাব এবং চিকিৎসা সেবার মান নিয়ে জনগণের নানা দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এছাড়া হাসপাতালের দুর্গন্ধ, ময়লা- আবর্জনার পাশাপাশি সেবা নিতে আসা রোগি ও স্বজনদের দীর্ঘশ্বাস লক্ষ্যণীয়। ১৯৬২ সালে সৈয়দপুর শহরে নির্মিত এ হাসপাতালে উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী খানসামা, চিরিরবন্দর, পার্বতীপুর, তারাগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৫ লাখ মানুষের চিকিৎসাসেবার একমাত্র আশ্রয়স্থল। সম্প্রতি নীলফামারী-৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও বিরোধী দলীয় হুইপ আলহাজ্ব শওকত চৌধুরী হাসপাতালটি পরিদর্শনে এসে ওই অব্যবস্থাপনা দেখতে পান এবং আরএমও কে সতর্ক করে দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ( আরএমও) ডা. মনিরুল ইসলাম মানিক কে গতকাল বৃহস্পতিবার এক ফ্যাক্স বার্তার মাধ্যমে স্ট্যান্ড রিলিজ করেন। জেলা সিভল সার্জন ডা. ¯েœহকান্তি চাকমা স্ট্যান্ড রিলিজ ও ফ্যাক্স বার্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এই ঘটনায় হাসপাতালে অবস্থানরত রোগি ও চিকিৎসা নিতে আসা মানুষজনের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এ ব্যাপারে কথা হয় সাংসদ আলহাজ্ব শওকত চৌধুরীর সাথে। তিনি বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই এলাকায় নেক নজর রয়েছে। তিনি নীলফামারী-৪ আসনের সাংসদ ও বিরোধী দলীয় হুইপ নির্বাচিত হয়েছেন। জনগণের সকল সমস্যা তিনি আন্তরিকতার সাথে সমাধান করবেন বলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান।
বিপাকে পুলিশ : ডোমারের লিপা’র লাশ যাবে কবরে না চিতায়

নীলফামারীর ডোমারে লিপার লাশ হস্তান্তর বিপাকে পড়েছে পুলিশ। দুইদিন পেরিয়ে গেলেও লাশ হস্তান্তর করতে পারেনি প্রশাসন। লাশ পাওয়ার জন্য দুপক্ষই অনড় থাকায় সিদ্ধান্ত জানতে আদালতের কাছে যেতে হয়েছে প্রশাসনকে। ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ কফিল উদ্দিন জানান, লিপার বাবা ও শ্বশুর দুজনই লাশ চাওয়ায় আমরা বিষয়টি আদালতের কাছে পাঠিয়েছি। আদালত যেটি বলবে আমরা সেটাই করবো। আদালতের সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত লাশ রংপুরের হিমঘরে থাকবে। জানা গেছে, গত সোমবার গভীর রাতে জেলার ডোমার উপজেলার বামুনিয়া ইউনিয়নের খামার বামুনিয়া নাটুয়াগঞ্জ গ্রামের অক্ষয় কুমার রায়ের মেয়ে লিপা রানী ( হোসনে আরা) বাড়িতে থাকা কীটনাশক পান করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। ওই উপজেলার বোড়াগাড়ি গ্রামের জহুরুলের ছেলে হুমায়ুন ফরিদ লাইজুর সাথে লিপার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে দুজনে বিয়ে করে। ফলে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক লিপা রানী রায় হোসনে আরা নাম ধারণ করেন।
