গাবতলী(বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার গাবতলীতে উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির একাধিক চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী থাকায় বিএনপির ঘাঁটি এবার আ’লীগ ও জামায়াতের দখলে চলে যাবে বলে আশংকা করেছে স্থানীয় ভোটাররা। বিএনপির হাই কমান্ড ও জেলা বিএনপি বারবার সমর্থন রদ বদলের কারনে সাধারন ভোটার ও তৃনমুল পর্যায়ের বিএনপির নেতা কর্মীরা প্রকৃত নেতা অনুসরন করতে পারছেনা। ফলে এই উপজেলা বিএনপির দুর্গ হিসাবে পরিচিত হলেও উপজেলা নির্বাচনে আ’লীগের একক চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছে। বিএনপির একাধিক প্রার্থীর ভোট টানাটানিতে আ’লীগ চেয়ারম্যান প্রার্থী এএইচ আজম খান এই উপজেলা বিজয়ী হওয়ার সম্ভবনা অনেকটাই নিশ্চিত হয়েছে বলে সাধারন মানুষের মুখে ব্যাপক আলোচনা সমলাচনার চলছে। বিএনপির চেয়ারপর্সন বেগম খালেদা জিয়ার নির্দ্দেশে জেলা বিএনপি গত প্রায় ১ মাস পুর্বে গাবতলীতে তফশিল ঘোষনার পরই বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম হেলালকে বিএনপির মনোনিত প্রার্থী হিসাবে পত্রিকার মাধ্যমে ঘোষনা দেয়। এর পরথেকে হেলাল উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়নের বিএনপির নেতাকর্মি ও সাধারন মানুষের কাছে ভোট চেয়ে গনসংযোগ করেন। জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চানসহ জেলা ও স্থানীয় উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে গত ২৩ ফেব্রæয়ারী মনোনয়ন পত্র জমাদেন সে। তখন সমর্থন না পাওয়া বিএনপিনেতা মোরশেদ মিল্টন, এনামুল হক নতুন, শফিকুল ইসলাম ভু-ধন ও আ’ীগ সভাপতি আজম খান, আব্দুল্লাহেল বাকী ও জিন্নাতুল ইসলাম পিস্তলসহ ৭ জন চেয়ারম্যানপদে এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে নারী-পুরুষসহ বিএনপি, জামায়াত ও আ’লীগের পৃথকভাবে ১৪ জন মনোনয়ন জমাদেন। এদের মধ্য বিএনপির মনোনিত বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম হেলাল, লতিফুর রহমান টয়েল ও মাহফুজা আক্তার লাকী, আলীগের মনোনিত এএইচ আজম খান, সাব্বির হাসান জাফরু পাইকার ও রেকসেনা জালাল, জামায়াতের আব্দুল মজিদ দলের সমর্থন লাভ করে। জিন্নাতুল ইসলাম পিস্তল স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও বাকীরা দলের বিদ্র্যোহী প্রার্থী হয়। ৬ মার্চ মনোনয়ন প্রত্যাহরের শেষ দিেেন আব্দুল্লাহেল বাকী, ফজলে রাব্বী মন্ডল ফিরোজ, সাহিদুল ইসলাম, আইয়ুব হোসেন রাজু ও আছিয়া খাতুন মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়। দলের সমর্থন ও একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী ছাড়া মিলটন, নতুন ও ভু-ধন বিএনপির বিদ্র্যোহি প্রার্থী হিসাবে রয়েযায়। কেন্দ্রিয় ও জেলা বিএনপির অনেক নাটকের পর পুর্বের দলিয় সমর্থন দেয়া হেলালকে ভোটের ১৪ দিন আগে পৌর মেয়র মেয়র মোরশেদ মিলটনকে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিএনপির মনোনিত প্রার্থী হিসাবে গত ১০ মার্চ ঘোষনা আসায় দলের নেতাকর্মীদের মাঝে আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। এব্যাপারে বর্তমান উপজেলা ও চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম হেলালের সাথে যোগাযোগ করাহলে তিনি এই প্রতিবেদকে জানান, যেহেতে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নির্দ্দেশে এবং জেলা বিএনপি পত্রিকার মাধ্যমে আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে।এখন পর্যন্ত আমি দলের একমাত্র মনোনিত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে রয়েছি। আমার প্রতিক “মটর সাইকেল” নিয়ে আমি ভোটারদের কাছে ভোট প্রর্থনা করছি, আমি নির্বাচন করব এবং বিপুল ভোটে বিজয়ী হব ইনসাআল্লাহ। আমার সমর্থন প্রত্যারের জন্য কেন্দ্রিয় ও জেলার কেহ চাপ প্রয়োগ বা নিষেধ করেনি। ফলে আমি এখনো বিএনপির মনোনিত একক চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে রয়েছি মর্মে কোন সন্দেহ নেই। মোরশেদ মিলটনের সাথে যোগাযোগ করাহলে সে জানায় গত ১০ মার্চ স্থানীয় পত্রিকার মাধ্যমে জেলা বিএনপি আমাকে মনোনিত করায় আমি এখন বিএনপির মনোনিত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী। উইনিয়ন ওয়ার্ড সকল স্তরের নেতাকর্মী আমার সাথে রয়েছে। ভোটে আমি বিজয়ী হওয়ার শতভাগ আশারাখি। আজম খানের সাথে যোগাযোগ করাহলে সে জানায় আমার দল গত ৫ বছর সুনামের সাথে দেশ শাসন করেছে, এলাকার উন্নয়ন করেছে, সেই দাবী নিয়ে এবং আমি দীর্ঘদিন ধরে মানুষের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন সহায়তা করে এসেছি সেই দাবীর প্রেক্ষিতে আমি এই এলাকায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হব। এই এলাকা যে, বিএনপির দুর্গ নয় তা ভোটারেরা এই নির্বাচনে প্রমান করবে। অপরদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মন্তব্য করেছে বিএনপির একাধিক প্রার্থী থাকায় এবার সুবিধা জনক অবস্থানে রয়েছে আ’লীগ প্রার্থী আজম খান। দলের বিদ্য্রোহি প্রার্থী থাকায় বিএনপির ঘাাঁটি এবার হাতছাড়া হওয়ার সম্ভবনা ও আশংকা করেছে সাধারন ভোটারাও। অপরদিকে জোটের সাথে সমঝোতা না হওয়ায় ভাইচ চেয়ারম্যান পদে উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী আব্দুল মজিদ মাইক প্রতিক নিয়ে অনেকটাই সুবিধা জন অবস্থানে রয়েছে বলে ভোটাররা জানিয়েছে। তবে কমতিনেই যুবদলনেতা আক্তারুজ্জামান লিটনের ও আ’লীগ সমর্থিত সাব্বির হাসান জাফরু পাইকারের। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রেকসেনা জালাল, সহমিনা আকতার বানু রুমা, সুরাইয়া জেরিন রনি, মাহফুজা আকতার লাকি ও অনুপা সমান্তরাল অবস্থান করছেন বলে ভোটাররা মন্তব্য করেছে। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কে আসবেন তার নিশ্চয়তা কোন ভোটার দিতে পারছেনা। আগামী ২৩ মার্চ এই উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এবার ৮৮ কেন্দ্রে, ২ লাখ ২৩ হাজার ৭ শত ১ জন ভোটার তাদের পন্দের প্রার্থীকে বেছে নিতে ভোটধিকার প্রয়োগ করবে।।