ads

বৃহস্পতিবার , ১৩ মার্চ ২০১৪ | ২৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

আমার দেখা সেই ছেলেটি -তালাত মাহমুদ

রফিকুল ইসলাম আধার , সম্পাদক
মার্চ ১৩, ২০১৪ ৭:০১ অপরাহ্ণ

Talat Mahmud

Shamol Bangla Ads

01 Adharযোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা কখনও কখনও ভাগ্যের কাছে হার মানে। কোন কোন ভাগ্য লটারীর মাধ্যমে নির্ধারিত হয়। কারও কারও ভাগ্য আবার আপনা-আপনি ধরা দেয়। কঠোর পরিশ্রম, অধ্যাবসায় আর গভীর সাধনা করেও অনেকে চূড়ান্ত স্বীকৃতি, পুরস্কার ও সফলতা অর্জন করতে পারে না। এটাই নিয়তি। অবশ্য যারা নীরবে-নিভৃতে মানুষের জন্য, সমাজের জন্য ও জাতির জন্য আত্মনিবেদন করে থাকেন, জীব-বৈচিত্র্যের কল্যাণে নিয়োজিত থাকেন-তাদের কথা আলাদা।
জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে অনেক খ্যাতিমান মানুষের প্রারম্ভীক কর্মময় জীবনের কথা বলতে গেলে বলতে হয়, অজানা-অচেনা অবস্থান থেকে উঠে আসা সৃজনশীল মেধার অধিকারী সেসব অনন্য ব্যক্তিত্ব দেশ ও জাতির সেবা করে খ্যাতি অর্জন করেছেন এবং স্ব-স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠালাভ করেছেন। ইংল্যান্ডের কবি এইচ বেলী বলেছেন, ‌‌’Thus let me unseen unknown/Thus unlamented let me die.’ অর্থ্যাৎ ‘এইভাবে আমাকে থাকতে দাও অজানা-অচেনা/ আমাকে মরতে দাও সেইভাবে’।
কিন্তু সেসব ব্যক্তিরা কি অজানা-অচেনা থাকতে পেরেছেন? না, পারেননি। সমাজ বিনিমার্ণে আর জাতি গঠনে মানবপ্রেমিক এইসব কৃতিব্যক্তিত্ব নিজেদের বিলিয়ে দিয়েছেন; রেখে গেছেন তাদের কর্মময় জীবনের বর্ণাঢ্য ইতিহাস। যা মানুষ যুগ যুগ ধরে স্মরণ করে। মহাকবি শেখ সাদী বলেছেন- ‘তজবীহ এবং সিজদা দেখে খোদ এলাহী ভুলবে না/ মানব সেবার কুঞ্জী ছাড়া স্বর্গদ্বার খুলবে না’।
শেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির দ্বিতীয় দফায় নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক, লব্ধপ্রতিষ্ঠ আইনজীবী, কবি, সাংবাদিক, রাজনীতিক, সংগঠক, শিক্ষানুরাগী, জনদরদী ও দানশীল মনোবৃত্তির অধিকারী রফিকুল ইসলাম আধার এই সময়ের এক ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব। একজন অনন্য চেতনাসমৃদ্ধ সৃজনশীল মেধাবী মানুষের নাম। তারুণ্যদীপ্ত চিন্তা-চেতনার ভারে নত এই মানুষটি নীরবে-নিভৃতে তিলে তিলে যা সঞ্চয় করেছেন এবং যে কর্মযজ্ঞের ক্ষেত্র তৈরি করেছেন তা অবগত হয়ে অনেকেই অবাক বনে যায়।
বিশেষ করে বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি, কার্যকরী পরিষদ সভাপতি, সহ-সভাপতি ইত্যাদি পদ অলংকৃত করে একজন শিক্ষানুরাগী হিসেবে তিনি তার যোগ্যতার প্রমাণ রেখেছেন। পত্রিকার সম্পাদক ও সাংবাদিক হিসেবে সৃজনশীলতার স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনি জাতীয় অনলাইন নিউজপোর্টাল ‘শ্যামলবাংলা টুয়েন্টি ফোর ডটকম (shamolbangla24.com)’ এর সম্পাদক ও প্রকাশক। এছাড়া দৈনিক জনকণ্ঠ ও বাংলাদেশ বেতার এর শেরপুর জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন। এছাড়া বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় রাজনীতি, অর্থনীতি ও সামাজিক অবক্ষয়ের উপর বিভিন্ন নিবন্ধ লিখে পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করেন।
রফিকুল ইসলাম আধার বিভিন্ন সাহিত্য-ক্রীড়া ও সংস্কৃতি এবং সামাজিক সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত থেকে এ অঞ্চলের সাহিত্য, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিকাশে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছেন। শুধু তাই নয়, শেরপুরের বিভিন্ন শ্রমজীবী ও পেশাজীবী সংগঠনের উপদেষ্টা ও পৃষ্ঠপোষকতার দায়িত্ব পালন করে তিনি শ্রমিক সমাজের প্রিয়পাত্রে পরিণত হন।
তিনি পেশাগত জীবনে একজন আইনজীবী হিসেবে শেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতিতে ২০০০ সালে যোগদান করেন। এরপর থেকেই জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে পর্যায়ক্রমে নির্বাহী কমিটির সদস্য, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, অডিটর, সহ-সভাপতি ও ২ বারের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের আইনগত সহায়তা দানে সচেষ্ট আছেন। শেরপুর জেলা আইনগত সহায়তা কমিটির একজন সম্মানিত সদস্য হিসেবে তিনি অনেকের কাছেই গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছেন। তার জীবনে ব্যর্থতার কোন স্থান নেই।
রফিকুল ইসলাম আধার ছাত্রজীবন থেকেই সাহিত্য চর্চা করে আসছেন। একজন কবি হিসেবে শুধু শেরপুর জেলাতেই নন- জামালপুর, ময়মনসিংহ ও রাজধানী ঢাকাতেও তার সুনাম রয়েছে। তিনি শেরপুর নজরুল পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি, কবি সংঘ শেরপুর এর উপদেষ্টা, শেরপুর জেলা ইতিহাস পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এই কর্মপাগল ব্যক্তিটিকে আমি তার ছেলেবেলা থেকেই চিনি। আজ থেকে ৩৫/৩৬ বছর আগে; সেটা ১৯৭৭/৭৮ সালের কথা। তখন রফিকুল ইসলাম আধার ৭/৮ বছরের বালক। আশির দশকে অনেকটা সময় আমি দমদমা কালিগঞ্জের সেই সরকার বাড়িতে কাটিয়েছি। কৈশোরে রফিকুল ইসলাম আধার দমদমা-কালিগঞ্জে অনির্বাণ তরুণ সংঘ (অতস) এর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও পরে সভাপতি ছিলেন। তিনি একজন ভালো আবৃত্তিকার ও একজন সুবক্তাও বটে। আমাদের অত্যন্ত প্রিয় মানুষ কবি-সাংবাদিক-সংগঠক ও সফল আইনজীবী রফিকুল ইসলাম আধার তার কর্মনৈপূণ্যের মাধ্যমে আগামীদিনে এই লেখার সূচনা পর্বকে আরও অধিক অর্থপূর্ণ করে তুলবেন বলে আশাবাদী।
আগামীদিনের সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার লক্ষ্যে এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার তার মেধা, যোগ্যতা ও শ্রম দিয়ে নিজেকে একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। প্রচন্ড সাংগঠনিক কর্মক্ষমতার অধিকারী এবং সংস্কারমুক্ত ও গঠনমূলক রাজনীতির প্রবক্তা সর্বোপরি স্বাধীনতার স্বপক্ষ সৈনিক এই কর্মপ্রাণ ব্যক্তিত্ব জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী। তিনি বর্তমানে শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
আমরা জানি, ইতিহাস দেশপ্রেমিকের জন্ম দেয়, আবার দেশপ্রেমিকই ইতিহাস সৃষ্টি করে। অথচ আজ মানুষের কাছে ভালোবাসা নেই, আছে শুধু স্বার্থের রসিকতা। এমন কথার ভীড়ে এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধারের মত মানবপ্রেমিক মানুষেরা টিকে থাকবে-এটা ভাবাই যায় না। অথচ তিনি টিকে আছেন এবং টিকে থাকবেন দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের জন্য।

(বি: দ্র: নিবন্ধটি ৭ মার্চ শুক্রবার এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধারের গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পঠিত) 

Shamol Bangla Ads

লেখক : কবি, সাংবাদিক, কলামিস্ট এবং একটি জাতীয় পত্রিকার প্রধান সহকারী সম্পাদক।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!