ads

মঙ্গলবার , ১১ মার্চ ২০১৪ | ২৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

ঐতিহ্যবাহি রায়সা বিলের ৯৭ একর জমির অবৈধ লিজ বাতিল

রফিকুল ইসলাম আধার , সম্পাদক
মার্চ ১১, ২০১৪ ৩:৩৬ অপরাহ্ণ

Chuadangar Damurhudar_RYSHAR BILচুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি : দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলামসহ মোট ৪৬ জনের নামে অবৈধভাবে নেওয়া কুড়–লগাছি রায়সার বিলের ৯৭ একর জমির বন্দোবস্ত বাতিল ঘোষনা করে উপজেলা ভূমি অফিস দেশসেরা সাফল্য অর্জন করেছে। রায়সার বিলের সায়রাতভূক্ত জলমহালটি বর্তমানে ইজারা চালু থাকা, বিপুল পরিমান সরকারি রাজস্ব আদায়সহ প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও জীব-বৈচিত্র সংরক্ষণের লক্ষেই ওই জলমহালের অবৈধ বন্দোবস্ত বাতিল করা হয়েছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদুর রহমান।

Shamol Bangla Ads

উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কুড়–লগাছির ঐতিহ্যবাহি রায়সার বিলের ২০১৩ সালে নথিপত্র যাচাই-বাছাইকালে দেখা যায়, প্রায় বছর বিশেক আগে এলাকার ভূমিদস্যুরা অফিসের কতিপয় অসত কর্মকর্তাদের যোগসাজসের মাধ্যমে ৯৭ একর সায়রাতভূক্ত বিল শ্রেণীর জমির কোন শ্রেণি পরিবর্তন না করেই অবৈধভাবে বন্দোবস্ত নেয়। জলমহালটির ইজারা চালু থাকা, বিপুল পরিমান সরকারি রাজস্ব আদায়সহ প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও জীব-বৈচিত্র সংরক্ষণের লক্ষেই জলমহালের ওই অবৈধ বন্দোবস্ত বাতিলের প্রথম উদ্যোগ গ্রহন করেন তৎকালিন সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফরিদ হোসেন। তিনি উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার গোলাম মোস্তফা, বড়বাবু জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর, নাজির সোহেল রানা, পিয়ন আব্দুল করিমসহ অফিসের অন্যান্য স্টাফদের সহায়তায় রায়সার বিলের সমস্ত নথিপত্র যাচাই-বাছাই শুরু করেন। যাচাই-বাছাই শেষে দামুড়হুদা বাজার পাড়ার নজরুল ইসলামের ছেলে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলামের নামে ১ একর ৫০ শতক, জহুরুলের পিতার নামে ১ একর ৫০ শতক, একই গ্রামের মৃত ইছাহকের ছেলে আবু হানিফার নামে ১ একর ৫০ শতক, আ. রহিমের ছেলে আ. রশিদের নামে ১ একর ৫০ শতক, রশিদের পিতার নামে ১ একর ৫০ শতক, চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের শহিদুলের স্ত্রী মমতাজ খাতুনের নামে ৩৮ শতক, জেলা শহরের মুক্তিপাড়ার মৃত তৈয়ব আলীর মেয়ে রেক্সোনার নামে ৩ একর ১৩ শতক, জীবননগর উপজেলার হাসাদাহের মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে আবুল কাশেমের নামে ৩ একর ১৫ শতক, দামুড়হুদা উপজেলার কুড়–লগাছি গ্রামের আবু কাইজারের ছেলে আবু ইয়াহিয়ার নামে ৯৪ শতক, ইয়াহিয়ার ভাই আবু হুরাইরার নামে ১ একর ৪৪ শতক, একই গ্রামের দাউদ আলীর ছেলে ইঞ্জিল হোসেনের নামে ৬ একর ৭১ শতক, উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের ছুন্নত আলীর ছেলে ছুরাত আলীর নামে ১ একর ৫০ শতক, একই গ্রামের রূপচাঁদের ছেলে জান মোহাম্মদের নামে ৪৮ শতক, মোস্তবারীর ছেলে আকবারের নামে ১ একর ৩২ শতক, মান্দারের ছেলে হযরতের নামে ১ একর ২৭ শতক, হযরতের ভাই আ. রাজ্জাকের নামে ১ একর ৩০ শতক, বাদশার ছেলে রহিম বক্সের নামে ৮৯ শতক, কেসমতের ছেলে মকসেদের নামের ১ একর ৫০ শতক, পানছদ্দির ছেলে আইজেলের নামে ১ একর ৫০ শতক, ফকির মোহাম্মদের ছেলে ওয়াজেলের নামে ১ একর ৫০ শতক, অমূল্য ম-লের ছেলে আলী হোসেনের নামে ১ একর, শাহাজদ্দিনের ছেলে ইউনুচের নামে ১ একর ৫০ শতক, পাঁচকড়ির ছেলে হামিদের নামে ১ একর ৫০ শতক, গুল মোহাম্মদের ছেলে ওহাবের নামে ১ একর ৫ শতক, ধান্যঘরা গ্রামের বানু ম-লের ছেলে আবু তাহেরের নামে ১ একর ৮৬ শতক, তাহেরের ভাই ইছাহকের নামে ১ একর ৪৮ শতক, একই গ্রামের বাহারের ছেলে বাদশার নামে ১ একর ৫০ শতক, ইদ্রিসের ছেলে ফজলুর নামে ১ একর, ইদুর ছেলে আত্তাপের নামে ১ একর ২৩ শতক, শাহাজদ্দির ছেলে নজরুলের নামে ১ একর ৪২ শতক, তার ভাই বজলুর রশিদের নামে ১ একর ৫০ শতক, সদর আলীর ছেলে রফিকের নামে ১ একর ৫০ শতক, নূর মোহাম্মদের ছেলে মজিবারের নামে ১ একর ৫০ শতক, চ-িপুর গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে শরীফের নামে ১ একর ৪০ শতক, একই গ্রামের খোদা বক্সের ছেলে এরশাদের নামে ১ একর ২৮ শতক, ফরজানের ছেলে জালালের নামে ১ একর ১৭ শতক, নজিরের ছেলে ছানোয়ারের নামে ১ একর ৪০ শতক, পীরু সর্দারের ছেলে লোকমানের নামে ৪০ শতক, প্রতাবপুর গ্রামের আ. গনির ছেলে আলী কদরের নামে ৯৪ শতক, একই গ্রামের আলেকের ছেলে মহাতাবের নামে ১ একর ৫০ শতক, মহাতাবের ছেলে খাজার নামে ১ একর ৫০ শতক, কানাই ম-লের ছেলে আয়ুবের নামে ১ একর ৫০ শতক, সুবুলপুর গ্রামের রমজানের ছেলে মজিবারের নামে ৬৬ শতক, কার্পাসডাঙ্গার গফুরের ছেলে ওহাবের নামে ১ একর ৫০ শতক, একই গ্রামের আমোদ আলীর ছেলে জয়নালের নামে ১ একর ৫০ শতক ও তার ভাই আনছারের নামে ১ একর ৫০ শতকসহ মোট ৪৬ জনের নামে ৯৭ একর জমির অবৈধ বন্দোবস্ত বাতিলের জন্য অক্টোবর মাসের উপজেলা ভূমি বরাদ্দ সভায় উপস্থাপন করেন। সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি জেলা প্রশাসক বরাবর প্রেরণ করেন। জেলা প্রশাসক মোঃ দেলোয়ার হোসাইন বিষয়টির বিস্তারিত বিবরণসহ নথিসৃজন করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে প্রস্তাব পাঠানোর সুপারিশ করেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে সম্প্রতি ওই ৪৬ জনের নামে নেওয়া অবৈধ বন্দোবস্ত বাতিল ঘোষনা করেন।
এ বিষয়ে তৎকালিন সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফরিদ হোসেন বলেন, আমি দামুড়হুদায় যোগদান করার পর এলাকায় সরকারি জমির অবৈধ দখলমুক্ত করণের উদ্যোগ গ্রহন করি। সে মোতাবেক রায়সার বিল ছাড়াও উপজেলার বটতলীর বিলের ৫১ একর এবং পাকুড়িয়ার বিলের ২৪ একর জমির অবৈধ বন্দোবস্ত বাতিল করা হয়। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফরিদুর রহমান বলেন, দামুড়হুদা উপজেলায় যে পরিমান সরকারি খাস জমি অবৈধদখলমুক্ত করা হয়েছে তা বাংলাদেশের আর কোথাও হয়েছে বলে আমার জানা নেই। এটাকে দেশসেরা সাফল্য হিসেবে উল্লেখ করার মত ঘটনা। আর এর সবটুকু কৃতিত্ব তৎকালিন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ ফরিদ হোসেনের।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!