ads

সোমবার , ১০ মার্চ ২০১৪ | ২৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

নীলফামারীর সৈয়দপুরে মজুরী বৈষম্যের শিকার ১০ হাজার শিশু শ্রমিক

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
মার্চ ১০, ২০১৪ ৪:৩৯ অপরাহ্ণ

Chaild-2 Chaild labourনীলফামারী প্রতিনিধি : উত্তরের শিল্প শহর হিসেবে পরিচিত নীলফামারীর সৈয়দপুরের মজুরী অধিকার বঞ্চিত ১০ হাজার শিশু পানির দামে শ্রম বিক্রি করছে। মঙ্গাপীড়িত এ অঞ্চলের হতদরিদ্র পরিবার থেকে আসা এসব শিশু পরিবারের অভাব মেটাতে শ্রম বিক্রিতে নেমেছে। বর্তমানে এর সংখ্যা দিন দিন আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। শ্রম বাজারে শিশু শ্রমিকদের অবস্থা দিন দিন অবনতি ঘটছে। বেসরকারী জরীপে জানা যায়, সৈয়দপুরে বিভিন্ন মিল, শিল্প, কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠানে জড়িত শিশু শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। তবে অভাব-অনটনে এর সংখ্যা প্রতিবছর ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সৈয়দপুরে ক্ষুদ্র, মাঝারি ও হালকা শিল্প মিলে প্রায় ৫হাজার মিল ফ্যাক্টরি ও কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মিনি গার্মেন্টস, গুল ও আগরবাতি ফ্যাক্টরি, বাক্স-বালতি কারখানা, মোমবাতী ফ্যাক্টরী, লেদার ফ্যাক্টরী, কাঠের ফার্নিচার দোকান, চাতাল, ওয়েলডিং, হোটেল রেঁস্তোরা, মোটরসাইকেল গ্যারেজ, নির্মাণ শ্রমিক, বেকারী শিল্প সহ অসংখ্য মিল, ফ্যাক্টরি, কারখানা ও প্রতিষ্ঠান। এসব শিল্প ও প্রতিষ্ঠান ঘিরে গড়ে উঠেছে বিশাল শ্রম বাজার। ফলে এই শ্রম বাজারে বয়স্কদের পাশাপাশি শিশুরা শ্রম বিক্রি করছে। অনেক শিশু স্বাস্থের জন্য অনেক ঝুকিপুর্ণ কাজে নিয়োজিত রয়েছে। অভাবি পরিবারের এসব শিশু সংসারের ব্যায় মেটাতে নাম মাত্র শ্রম বিক্রি করছে। সারাদিন হাড়ভাঙ্গা খাটুনির পর শিশু শ্রমিকদের মুজুরি হিসেবে দেওয়া হচ্ছে মাত্র ১০-১৫ টাকা। কর্মক্ষেত্রে নিজেদের নেই কোন স্বাধীনতা। তারপরও চুন থেকে পান খসলেই নেমে আসে অমানবিক নির্যাতন। এসব নির্যাতন ও বঞ্চনা সহ্য  করে ওরা শ্রম বিক্রি করছে বছরের পর বছর। মালিকরা পরিবারের দরিদ্য্রের সুযোগ নিয়ে সস্তা মজুরিতে কাজ করতে বাধ্য করে। শহরের মিস্ত্রি পাড়ার একটি বালতি ফ্যাক্টরিতে কাজ করে আসিফ (১২)। তার বাড়ি সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের। বাবা ভাটায় কাজ করেন। আসিফ জানায়, প্রতিদিন সকারে ৯টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত তাকে কাজ করতে হয়। বিনিময়ে তাকে সপ্তাহে মজুরী দেয়া হয় ৮৪ টাকা। পাশের একটি বক্স তৈরী কারখানায় কাজ করে গুড্ডু (১৩)। সে জানায়, সারাদিন কাজ করে তাকে দৈনিক ১০ টাকা মজুরি দেয়া হয়। শহরের রেলওয়ে বাজারের বিভিন্ন হোটেলে কাজ করে মজিদ, হাবিব, জয়নাল, কাশেম ও মিঠু। এদের গড় বয়স ১২ থেকে ১৪ বছর। তারা জানায়, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত- হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে মজুরি পায় ৩০ থেকে ৪০ টাকা। এই টাকা তাদের বাবা-মায়ের সংসারে ব্যয় হয়। এদের মধ্যে কারও বাবা, আবার কারও মা নেই। ফলে বাঁচার অবলম্ব¦ন হিসাবে এই শিশুরাই হাল ধরেছে তাদের বাবা-মায়ের সংসারে। রংপুর সড়কে হালকা প্রকৌশল শিল্পে কাজ করে আরমান (১৪)। সে জানায়, ভোর থেকে রাত অবধি সে লোহ লক্করের কাজ করে। অথচ কাজ শেষে তার মজুরি মেলে মাত্র ৩০ টাকা। বাঁশবাড়ি এলাকার একটি গুল ফ্যাক্টরীতে কাজ করে ওয়াসিম (১০)। মজুরি প্রসঙ্গে সে জানায়, সকালে মায়ের সাথে সে গুল ফ্যাক্টরিতে কাজ করতে আসে। এখানে সে ডিব্বায় গুল ভরা ও লেবেল লাগানোর কাজ করে। কাজ শেষে তার মায়ের হাতে সপ্তাহে ৬০ টাকা দেয়া হয়। গুল ভরাতে গুলের গুঁড়া নাকে চোখে লেগে দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। কষ্ট হলেও সহ্য করেই তাকে কাজ করতে হয়। এ ব্যাপারে সৈয়দপুর হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা আব্দুল জলিল বলেন, এ শহরে শিশু শ্রম বেশি পরিলক্ষিত হয়। শিশু শ্রমিকরা বঞ্চনার শিকার হলেও আমাদের সংগঠনের সাথে শিশু শ্রমিকদের কোন সর্ম্পক না থাকায় কিছুই করতে পারি না। তবে তিনি এসব প্রতিষ্ঠানের মালিক ও সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!