ডিলাররা চিনি উত্তোলন না করায় ঠাকুরগাঁও সুগার মিলে ৬২ কোটি টাকার চিনি অবিক্রিত : চাষীদের পাওনা ১১ কোটি টাকা : শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন ভাতা বন্ধ
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : করপোরেশনের নিয়োগকৃত ডিলাররা চিনি উত্তোলন না করায় ঠাকুরগাঁও সুগারমিলে উৎপাদিত চিনির পাহাড় জমেছে। বছরের পর বছর চিনি অবিক্রিত থাকায় চরম অর্থ সংকটে পড়েছে এই মিল। ফলে চাষীদের কোটি কোটি টাকা আখের মূল্য পরিশোধ করতে পারছেনা কর্তৃপক্ষ। বেতন ভাতাও বন্ধ হয়ে গেছে শ্রমিক কর্মচারীদের।
সুগার মিলস্ সূত্র জানায়,২০১১-২০১২ ও ২০১২-২০১৩ এবং চলতি মাড়াই মৌসুমে প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার মেট্রিকটন চিনি গুদামে অবিক্রিত অবস্থায় পরে আছে। দাম কমিয়ে দিলেও ডিলাররা চিনি উত্তোলনে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। দীর্ঘ দিন গাদা গাদি করে গুদামে চিনি পড়ে থাকায় এর মান নিয়েও এখন সমস্য দেখা দিয়েছে।
আগে ছিল প্রতিকেজি চিনির দাম ৫০ টাকা। দর কমিয়ে এখন ৪০ টাকা করা হলেও তা বিক্রি হচ্ছেনা।
প্রায় ৬২ কোটি টাকার চিনি অবিক্রিত থাকায় চাষীদের প্রায় ১০ কোটি টাকা বকেয়া পড়েছে। অন্য দিকে এই মিলের শ্রমিক কর্মচারী ও কর্মকর্তাদেরও ৩ মাস ধরে বেতন ভাতা বন্ধ রয়েছে। ধার দেনায় মিলটি এতদিন চললেও এখন কোন মতেই চালাতে পারচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত মিলটি চালু থাকবে। তবে উৎপাদিত চিনি মজুদ নিয়ে আরেক সমস্যায় দেখা দিয়েছে। গুদামে জায়গা না থাকায় আবাসিক বাসা বাড়িতে চিনি রাখা হচ্ছে। কারখানা উৎপাদন বিভাগের রসায়নবিদ নুরুল কবির জানান,গুদামে স্যাঁত স্যাঁত ভাব দেখা দিলে চিনি গলে যেতে পারে। এ ছাড়া রং নিয়ে ব্যবসায়ীরা অজুহাত তুলতে পারে।
শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস জানান, বকেয়া বেতন ভাতা পরিশোধ করা না হলে আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে।
অন্য দিকে আখ চাষী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বলেন,চাষীদের বকেয়া পরিশোধ করা না হলে আগামীতে আবাদে আগ্রহ হারাবে কৃষকরা।
চিনি কল ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল আজিজ বলেন সৃষ্ট সমস্যা নিরসনে উদ্যোগ নেয়ার জন্য সংশ্রিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।